Source : BBC NEWS

পত্রিকা

এক ঘন্টা আগে

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনার শাসনামল শেষে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উত্তেজনা সীমান্তে নতুন পরিস্থিতির অবতারনা করেছে। সীমান্তে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া ও স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করলে বিজিবি বাধা দেয়। এরপর উভয়পক্ষ অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করে এবং স্থানীয় গ্রামবাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিজিবির পাশে দাঁড়ায়।

সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকের পর উত্তেজনা কিছুটা কমলেও উভয়পক্ষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া লালমনিরহাট, নওগাঁ ও সুনামগঞ্জ সীমান্তেও বিএসএফের স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

বিজিবির বাধায় কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হলেও সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। সুনামগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

বিএসএফ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সীমান্ত নজরদারি জোরদার করেছে। নাইট ভিশন ক্যামেরা ও সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুপ্রবেশ রোধের চেষ্টা করছে।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার সীমান্ত রক্ষায় কড়া নির্দেশ দিয়েছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিশ্রুতির পরও পরিস্থিতি বদলায়নি।

তবে বর্তমান সরকার সীমান্তে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সীমান্তের উত্তেজনা এখনো প্রশমিত হয়নি, এবং উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সতর্কভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়তে পারেন
পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের পর থেকেই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা চলছে। বিএনপি ও অন্য দলগুলো সরকারের কাছে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবি করছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৬ই ডিসেম্বর নির্বাচনের প্রাথমিক রোডম্যাপ প্রকাশ করলেও তা সব দলের সন্তুষ্টি অর্জন করেনি। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।

সরকার বলছে, জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচন করলে জনগণের সেবা নিশ্চিত করা যাবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে, স্থানীয় নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয়।

ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মনে করেন, স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করতে পারে।

অন্যদিকে, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একসঙ্গে হলে খরচ কম হবে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া নির্বাচন কমিশন ও সরকারের দায়িত্ব।

বিএনপি, জামায়াত ও নাগরিক ঐক্যসহ অনেক দল মনে করে, জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়া উচিত। তাদের মতে, স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর চেইন ভেঙে পড়তে পারে এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে।

তবে সরকার বলছে, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে নির্বাচনের প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন সক্রিয়। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচন চলতি বছরের শেষ দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে হতে পারে।

সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন।

সেনাপ্রধান বলেছেন, রাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যবস্থার পুনর্গঠনের জন্য একটি রাজনৈতিক সরকারের প্রয়োজন। নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারা জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং অন্তর্বর্তী সরকার যখন চাইবে, তখনই নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সংস্কার প্রক্রিয়াকে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে পরিচালনার পক্ষে।

বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনকেন্দ্রিক পরিকল্পনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে। দলগুলোর শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কার্যকর রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ড দেখে ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরই নির্বাচনের পথনকশা তৈরি হবে। জাতীয় ঐকমত্য হলে এ বছরেই নির্বাচন হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছে বিভিন্ন মহল।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে সরকার শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং শুল্ক বাড়িয়েছে। এতে দৈনন্দিন জীবনের খরচ বাড়তে পারে।

মুঠোফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়বে, কারণ সিম বা রিচার্জের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশ করা হয়েছে।

পোশাকের দোকানগুলোতে ভ্যাট সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করায় পোশাকের দামও বাড়তে পারে।

রেস্তোরাঁয় খাওয়ার খরচও বাড়বে, কারণ রেস্তোরাঁর বিলের ওপর ভ্যাট পাঁচ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। মিষ্টির দোকান, টিস্যু, এবং শিশুদের প্রিয় বিস্কুট ও জুসের দামও বাড়তে পারে।

এলপি গ্যাস এবং ওষুধের ওপরও ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। আম, আপেল, সিগারেট এবং বিভিন্ন ধরনের ফল ও পণ্যের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এনবিআর জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, এই পদক্ষেপ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য।

পত্রিকা

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর ‘Government debt now in uneasy territory‘ অর্থাৎ, ‘সরকারি ঋণ এখন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকারি ঋণ রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে গত অর্থবছরে ১৮ দশমিক তিন লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা ১৩ দশমিক তিন শতাংশ বেড়েছে।

মোট ঋণের মধ্যে ৫৫ দশমিক সাত শতাংশ দেশীয় এবং বাকি অংশ বিদেশি ঋণ। ঋণের তুলনায় রাজস্ব আদায় কম থাকায় অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।

আইএমএফ-এর হিসাব অনুযায়ী, জিডিপি-অনুপাতিক ঋণের হার ৩৬ দশমিক তিন শতাংশ, যা নিরাপদ মনে হলেও রাজস্ব ও ডলারের মজুতের তুলনায় ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি।

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলছেন, রাজস্ব সংগ্রহ দুর্বল এবং ঋণের সুদ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। বিদেশি ঋণ কম পাওয়ায় সুদ পরিশোধ ও বকেয়া বিল পরিশোধে সমস্যা হচ্ছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সুদ পরিশোধে ব্যয় ২১ শতাংশ বেড়ে এক দশমিক এক লাখ কোটি টাকা হয়েছে, যা জাতীয় বাজেটের এক-ষষ্ঠাংশ।

বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ ৬০ শতাংশ এবং দেশীয় ঋণের সুদ ১৭ শতাংশ বেড়েছে। সুদ পরিশোধের এই ব্যয় কম হলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ সম্ভব হতো।

দেশীয় ঋণেও সমস্যা বাড়ছে। রাজস্ব প্রবৃদ্ধি কম, সুদের হার বেশি এবং বাজেট ঘাটতি বেড়েছে। কঠোর মুদ্রানীতির কারণে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ বাড়ছে। বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে বড় প্রকল্পের ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ায় সুদ ও কিস্তি পরিশোধের চাপ বাড়ছে।

সরকারের অনিয়ন্ত্রিত ঋণ নেওয়ার প্রবণতা অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করেছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, পরিবহন ও ব্যাংকিং খাতে অপ্রয়োজনীয় ঋণ অর্থনীতির ভারসাম্যহীনতা বাড়িয়েছে।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি অভিযোগ করেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুই হাজার ২৭৬ জন দলীয় নেতা-কর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে এবং ১৫৩ জনকে গুম করা হয়েছে।

এ নিয়ে তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিয়েছে। বিএনপির অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করতে গুম ও ক্রসফায়ারের মতো দমন-পীড়ন চালিয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে ক্রসফায়ারের নামে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে। একইসঙ্গে তারা বিভিন্ন মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের মাধ্যমে বিএনপিকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে।

বিএনপি জানায়, এসব হত্যাকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ছিল দলীয় সমর্থকদের ভীতি প্রদর্শন, দলের অভ্যন্তরীণ মেধা ধ্বংস করা এবং সমর্থকদের দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা।

এছাড়া গুমের অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে বিএনপির ১৫৩ নেতা-কর্মীকে অপহরণ করে গুম করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন এম ইলিয়াস আলী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বিএনপি এ ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রধান আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে ক্রসফায়ারের জেলাভিত্তিক তালিকাও সংযুক্ত করা হয়েছে।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের এজলাসে বুধবার মধ্যরাতে আগুন লাগে, যা আদালতের সব নথি ধ্বংস করে দেয়।

আগুনের ফলে বুধবার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক আইনের মামলার শুনানি স্থগিত করা হয়। ঘটনার রাতে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী আদালত সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ করে।

তাদের দাবি, বিচারকাজের কারণে শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হয়। এক পর্যায়ে তারা টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে এবং এজলাসে অগ্নিসংযোগ করে।

ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও বিক্ষোভকারীদের বাধায় আগুন নেভাতে দেরি হয়। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি জানান, আদালত মেরামত ছাড়া বিচার কার্যক্রম সম্ভব নয়। আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা রয়েছে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০০৯ সালে করা দুটি মামলার একটি, বিস্ফোরক আইনের মামলায় গতকাল শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এজলাস ধ্বংস হওয়ায় বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত হয়।

এদিকে পিলখানা হত্যার পুনঃতদন্ত, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল ও মুক্তির দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবার ও বিডিআর সদস্যরা শাহবাগ অবরোধ করেন। এতে রাজধানীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

আন্দোলনকারীরা দাবি মানা না হলে আরও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন, যা দেশ-বিদেশে আলোড়ন তোলে।

বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন
পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ১০টি বিশেষ যৌথ তদন্ত দল গঠন করেছে।

এই দলগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিগত সরকারের সঙ্গে যুক্ত ১০টি ব্যবসায়ী গ্রুপের দুর্নীতির তদন্ত করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিটি দলে তিনজন সদস্য থাকবে, যার মধ্যে একজন হবেন দলনেতা। মূলত দুদক, সিআইডি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সমন্বয়ে এই দলগুলো কাজ করবে।

এ পর্যন্ত ব্যাংক লুট, মেগা প্রকল্পের অর্থ অপব্যবহার এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠায় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব ও লেনদেনের তথ্য ইতোমধ্যে চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দুর্নীতির তদন্ত চলছে।

এস আলম, বেক্সিমকো, বসুন্ধরা এবং আরও কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপের অনিয়ম ও পাচার হওয়া অর্থের তদন্ত করছে দলগুলো। বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী এই তদন্ত চলছে, এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলা দায়ের ও অর্থ ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ কাজের সমন্বয় করছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)।

পত্রিকা
পত্রিকা

ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, ‘Rajuk wants to regain wetland it lost 25 years ago‘ অর্থাৎ, ‘২৫ বছর আগে হারানো জলাভূমি ফিরে পেতে চায় রাজউক’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাজউক প্রায় ২৫ বছর আগে হারানো সাভারের আমিনবাজার এলাকায় ৫৫০ একর ভরাট জলাভূমি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছে।

এই জায়গায় মধুমতি মডেল টাউন নামে একটি অবৈধ আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছিল। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা) এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে মামলা করলে হাইকোর্ট এটি অবৈধ ঘোষণা করে।

পরে ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টও একই রায় দিয়ে জলাভূমি পুনরুদ্ধার এবং প্লট ক্রেতাদের টাকার দ্বিগুণ ফেরতের নির্দেশ দেয়।

তবে রাজউকের দীর্ঘ নিস্ক্রিয়তায় প্রকল্প এলাকায় বিলাসবহুল বাড়ি, রিসোর্ট, এবং বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। রাজউক ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ পাওয়ার পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

সম্প্রতি রাজউক প্লট মালিকদের স্থাপনা অপসারণ ও জায়গাটি পূর্বের জলাভূমিতে পরিণত করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এই নির্দেশনায় কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি, যা কার্যকর হতে সময়ক্ষেপণ করবে।

মধুমতি প্রকল্পের কারণে ওই অঞ্চলের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গবেষণা বলছে, ওই অঞ্চলের জলপ্রবাহ নষ্ট হয়ে নদী মৃতপ্রায়।

সামাজিক মাধ্যমেও প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে অবৈধ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলো এবং কেন এতদিন রাজউক নিষ্ক্রিয় ছিল। এখন রাজউকের নির্দেশ কার্যকর হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।