Source : BBC NEWS

এক ঘন্টা আগে
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা এখন ভয়ানক চাপে রয়েছেন। কারণ, ভারত সরকার অবৈধ নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
ইতোমধ্যে অনেক বাংলাদেশিকে আটক করে পুশব্যাক করা হয়েছে। যদিও এখনো আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযান শুরু হয়নি, তবে আগস্ট থেকে তা জোরালো হবে বলে জানা গেছে।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে থাকা আওয়ামী লীগের প্রায় দেড় লাখ নেতা-কর্মী ও তাদের পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অনেকে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন, কেউ কেউ ইতোমধ্যেই আমেরিকা বা ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন।
দেশে ফিরে যাওয়ার মতো নিরাপদ পরিস্থিতি না থাকায়, নেতারা দ্বিধায় রয়েছেন। ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাইকে ভারত ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে এবং অন্য দেশে আশ্রয় নিতে বলেছে।
এরিমধ্যে, আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, যা তাদের দেশে ফেরাকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।
শেখ হাসিনাও ভারতীয় সরকারের চাপের মুখে নেতাদের দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু তাতে নেতাদের দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।
ভারতের নতুন অনুপ্রবেশ আইন অনুযায়ী, নাগরিক নয় এমন কাউকে দেশটিতে থাকতে দেওয়া হবে না। ফলে ভারতের অবস্থান এখন আশ্রিত আওয়ামী লীগ নেতাদের জন্য বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকায় ‘নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা’ নামে এক ব্যতিক্রমী পদযাত্রায় নারী ও পুরুষ একসঙ্গে অংশ নিয়ে নারীর অধিকার, সমতা ও নিরাপত্তার দাবিতে সরব হন।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে স্লোগান, গান ও পদযাত্রায় নারী নিপীড়ন, পিতৃতন্ত্র, বৈষম্য, ধর্ষণ, শ্রমের অবমূল্যায়ন ও ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়।
আয়োজকেরা জানান, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে হেফাজতের আপত্তিকর বক্তব্য এবং সম্প্রতি নারীদের পোশাক ও আচরণ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক হামলার প্রতিবাদেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতা বাড়ছে এবং সরকার এসব বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না।
বক্তৃতা ছাড়া এই আয়োজনে গান, নাট্যাংশ ও পদযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, গৃহকর্মী, পোশাকশ্রমিকসহ সবাই।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংস্কার কমিশন নারীদের অধিকার নিয়ে ৪৩৩টি প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
আয়োজকেরা দাবি করেন, নারীর মর্যাদা, সম্পত্তির অধিকার, নিরাপদ জীবন ও ন্যায়ের প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না।
তারা সরকারের কাছে নারীর প্রতি সহিংসতা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বহুদিনের রাজনৈতিক মিত্র হলেও বর্তমানে তাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। ৫ই অগাস্টের পর থেকে এই দূরত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
লন্ডনে খালেদা জিয়া ও জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ কিছুটা আশাব্যঞ্জক মনে হলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
আদর্শ ও রাজনৈতিক কৌশলগত পার্থক্য, মতভেদ ও পরস্পরের প্রতি সন্দেহ তাদের সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলেছে।
বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও সামাজিক মাধ্যমে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলছে।
বিএনপি মনে করছে, জামায়াত এখন নিজেদের বিরোধী দল হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে এবং অনেক আসনে প্রার্থী ঠিক করেও ফেলেছে।
জামায়াতের কিছু অনুসারী সামাজিক মাধ্যমে বিএনপির বিরুদ্ধে গুজব ও অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা তৃণমূলে ক্ষোভ তৈরি করেছে।
সংবিধান, নির্বাচনি পদ্ধতি, ভোটার বয়স, নির্বাচনের সময় নিয়েও তাদের অবস্থান ভিন্ন। বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে, আর জামায়াত চায় আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন।
তবে জামায়াত দাবি করছে, মতপার্থক্য থাকলেও ঐক্য ভাঙেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অনৈক্য দেশের জন্য ক্ষতিকর।
তারা মনে করেন, সংকট থেকে বের হতে হলে সব দলের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলাই এখন সবচেয়ে জরুরি।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১৬৬টি প্রস্তাব নিয়ে দেশের ৩৯টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত চেয়ে সংলাপ শুরু করেছে।
প্রথম দফায় ৩৩টি দল অংশ নেয়। কিছু প্রস্তাবে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলেও গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে মতভেদ রয়ে গেছে।
বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংবিধানের মূলনীতি, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, নির্বাচন পদ্ধতি, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, সংসদের মেয়াদ, একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়া, ও প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা নিয়ে বিভাজন স্পষ্ট।
বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো বেশিরভাগ মৌলিক পরিবর্তনের প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করেছে, যদিও কিছু বিষয়ে তারা একমত।
যেমন—নারীর জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসন বাড়ানো, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার দেওয়া, স্থানীয় সরকারে নির্দলীয় নির্বাচন।
জামায়াত সংবিধানে ইসলামি নীতির পুনঃস্থাপন চায়, আর এনসিপি ৭২-এর মূলনীতি বাতিলের পক্ষে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি, সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, মৌলিক অধিকার বিষয়ে নতুন অধ্যায়, ও তরুণদের জন্য আলাদা আসন নিয়েও মতভেদ রয়েছে।
এই মতানৈক্যের মাঝেও কমিশন আশা করছে দ্বিতীয় দফা সংলাপে কিছু বিষয়ে ঐকমত্য সম্ভব হবে।
জুলাইয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্য রয়েছে, যেখানে সবাই স্বাক্ষর করে সংস্কার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেবে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রশাসন ও রাজপথজুড়ে চলছে বিক্ষোভ-অস্থিরতা।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন, শেয়ারবাজার ধুঁকছে, বিনিয়োগে স্থবিরতা। রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, এসব সংকটের মূল সমাধান হচ্ছে একটি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন।
তারা বলছেন, যত দেরিতে নির্বাচন হবে, ততই দেশ, গণতন্ত্র ও শান্তি-শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। তবে তারা মনে করছে, দ্রুত একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা দিয়ে সব দলকে আস্থায় এনে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনেই যেতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে রুটিন দায়িত্ব পালন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, কিন্তু বর্তমান সরকার তার এখতিয়ার ছাড়িয়ে নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেই সবাই প্রস্তুতি নিতে পারবে এবং রাজনৈতিক দাবিদাওয়া কমে যাবে।
বিএনপি ও অন্যান্য দলও ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। মোটকথা, একটি নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়—এটাই এখন অধিকাংশের অভিমত।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বর্তমানে সরকারের সাধারণ সেবা খাতে খরচ বেড়েই চলেছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সংস্কার হয়নি।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন দীর্ঘদিন আগে কিছু সুপারিশ দিয়েছিল, যেমন সচিবদের সংখ্যা কমানো, জবাবদিহিতা বাড়ানো এবং প্রশাসনকে জনবান্ধব করা।
তবে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের সাধারণ সেবা খাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা বেশি।
এর বড় অংশই বেতন-ভাতা ও নিরাপত্তা খাতে খরচ হয়েছে। তবে এত ব্যয় সত্ত্বেও নাগরিকরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জরিপে দেখা গেছে, ৮৪ শতাংশ মানুষ জনপ্রশাসনে সংস্কার চান, ৮০ শতাংশ মনে করেন এটি জনবান্ধব নয়। দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপকেই বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি, নইলে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। প্রশাসনকে শুধু বেতন বাড়িয়ে ঠিক করা যাবে না, জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত করাও জরুরি। সরকারের খরচ বাড়ছে, কিন্তু নাগরিক সুবিধা বাড়ছে না, যা ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগজনক।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Private airlines caught in a bind‘ অর্থাৎ ‘সংকটের মুখে দেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের বেসরকারি এয়ারলাইন খাত ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান—ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও এয়ার অ্যাস্ট্রা—এখনো টিকে আছে।
গত তিন দশকে ১০টি বেসরকারি এয়ারলাইন বাজারে এলেও বাকিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য, অতিরিক্ত সারচার্জ এবং অনুকূল নীতির অভাব এ খাতকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে।
নভোএয়ার বন্ধ থাকার পর আবার চালু হতে যাচ্ছে, কিন্তু আর্থিক সঙ্কটে তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের সাপোর্ট না থাকায় বিদেশি এয়ারলাইনগুলো বাজার দখল করে নিয়েছে।
বর্তমানে ৭৫ শতাংশ যাত্রী বহন করছে বিদেশি এয়ারলাইন, যেখানে দেশি মাত্র তিনটি। জ্বালানি তেলের দাম, উচ্চ ফি, পুরনো নিয়মনীতি এবং দক্ষ জনবল তৈরির ঘাটতি প্রধান সমস্যা।
স্থানীয় এয়ারলাইনগুলোকে জ্বালানি কিনতে ৪২ শতাংশ কর দিতে হয়, যেখানে ভারতে তা চার শতাংশের নিচে। আর ঢাকায় বিমান অবতরণের খরচ কুয়ালালামপুরের চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি।
সারচার্জের হার এত বেশি যে অনেক এয়ারলাইন দেনা শোধ করতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে।
পরিকল্পনার অভাব, ভুল রুট এবং প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব সমস্যাকে আরও বাড়িয়েছে। সরকারের নীতিগত সহায়তা ও সংস্কার ছাড়া এই শিল্প টিকে থাকা কঠিন হবে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বিজি-৪৩৬ ফ্লাইটে ৭১ জন যাত্রীসহ ৭৫ জন ছিলেন।
উড্ডয়নের সময় কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমানের একপাশের একটি ল্যান্ডিং গিয়ারের চাকা যান্ত্রিক কারণে খুলে যায়।
পাইলট ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহ দ্রুত বিষয়টি বুঝে কন্ট্রোল টাওয়ারকে জানান এবং জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। শাহজালাল বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
অবশেষে পাইলটের দক্ষতায় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে এবং যাত্রীরা অক্ষত অবস্থায় নেমে আসেন।
ঘটনার পর যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়ালেও কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই চাকা খুলে পড়ে বলে বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
তবে উড্ডয়নের আগে টেকনিক্যাল পরীক্ষা ঠিকমতো হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে একটি চাকা দিয়েও জরুরি অবতরণ সম্ভব। ক্যাপ্টেন জামিলের আট হাজার ঘণ্টার উড়ানের অভিজ্ঞতা যাত্রীদের রক্ষা করতে সাহায্য করেছে।
যাত্রীরা পাইলট ও বিমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ২০১৭ সালের পর আবারও এমন ঘটনা ঘটায় বিমান নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ হয় মাত্র ২৭০ কোটি ঘনফুট।
এর মধ্যে আমদানিকৃত এলএনজি থেকে আসে ৭০ কোটি ঘনফুট। ফলে প্রতিদিন ১৩০ কোটি ঘনফুট ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।
এই সংকট মোকাবিলায় সরকার ১৫টি গ্যাস কূপ অনুসন্ধান ও খনন প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই সিলেট গ্যাসফিল্ডের আওতায়।
এসব প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা এবং ২০২৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা।
অনেক কূপ থেকে ইতোমধ্যে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে এবং প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
হরিপুর, কৈলাশটিলা, রশিদপুর ও সিলেট কূপগুলো থেকে উৎপাদন চলছে। তবে নতুন কূপগুলোর কাজের অগ্রগতি প্রকল্পভেদে ভিন্ন। কয়েকটি প্রকল্প শেষের পথে, আবার কিছু কূপে কাজ শুরু হতে সময় লাগছে।
চায়নার দুটি প্রতিষ্ঠান এসব খনন ও রিগ ফাউন্ডেশন প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে বাপেক্সকে অফশোর (সমুদ্র) অনুসন্ধানে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, প্রযুক্তির উন্নয়ন ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যবস্থাও জরুরি। এসব উদ্যোগ সফল হলে গ্যাস সংকট অনেকটাই কমে যাবে।