Source : BBC NEWS

পত্রিকা
১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৪ +০৬

আপডেট হয়েছে এক ঘন্টা আগে

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি সাম্প্রতিক সংস্কার প্রস্তাবের কিছু বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের চারটি সংস্কার কমিশন ১৫ই জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তাতে বিশেষত সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের সুপারিশে দলটি আপত্তি তুলেছে।

সংবিধান সংস্কার কমিশন “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” নাম পরিবর্তন করে “জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ” রাখার প্রস্তাব দিয়েছে এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এই প্রস্তাব বিএনপি মেনে নিতে নারাজ।

বিএনপির এক নেতা জানান, নির্বাচন-সংক্রান্ত সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে দলের আপত্তি নেই, তবে সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন বিএনপি মানবে না।

সংবিধানের জাতীয়তাবাদ বাদ দিয়ে বহুত্ববাদ যোগ করার প্রস্তাবও দলটির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।

এ কারণে বিএনপি প্রথমে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নিতে চায়নি, তবে শেষে একজন প্রতিনিধি পাঠায়।

বিএনপি বলছে, সংস্কারের কারণে নির্বাচনের বিলম্ব হওয়া উচিত নয়। দলের নেতারা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।

বিএনপির দাবি, সংস্কার চলবে, তবে নির্বাচন প্রক্রিয়াও একই সঙ্গে চলতে হবে। দলটি জুলাই-অগাস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করেছে এবং দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে।

পত্রিকা

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Students suffer as NCTB fails to deliver books‘ অর্থাৎ, ‘এনসিটিবি বই দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর দুই সপ্তাহ পরেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা পুরোপুরি পাঠ্যপুস্তক পায়নি।

জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এখন পর্যন্ত ৪০ কোটি ১৫ লাখ বইয়ের মধ্যে মাত্র ১৫ কোটি, অর্থাৎ ৩৭ শতাংশ বিতরণ করতে পেরেছে।

এরমধ্যে প্রাইমারি স্কুলের নয় কোটি ১৯ লাখ বই অর্থাৎ প্রাইমারির ৭৫ শতাংশ বই এবং মাধ্যমিকের ৩১ কোটি বই অর্থাৎ ৩০ শতাংশ বই এখনও শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি।

ফলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

এনসিটিবি জানায়, কারিকুলাম পরিবর্তন, সরবরাহ ব্যবস্থার ব্যাঘাত এবং মুদ্রণ জটিলতার কারণে বই বিতরণে বিলম্ব হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে পুরোনো কারিকুলামে ফিরে যাওয়ার ফলে ৪৪১টি বই সংশোধন করতে হয়। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রিন্টিং প্রেসগুলোর দায়িত্বহীনতা পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে।

চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে। অনেক এলাকায় ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণির জন্য মাত্র কয়েকটি বই দেওয়া হলেও পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণির কোনো বই পৌঁছেনি।

প্রাথমিক স্তরে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই এখনও অনেক স্কুলে পৌঁছেনি। অনেকে এনসিটিবির ওয়েবসাইট থেকে বই ডাউনলোড করে ব্যবহার করছেন।

তবে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা হতাশ। এনসিটিবি বলছে, তারা ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব বই বিতরণে চেষ্টা করছে।

আরও পড়তে পারেন
পত্রিকা

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চান বেশি মানুষ

প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক জরিপের বরাতে বলা হচ্ছে, দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান। তবে বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এই প্রস্তাবের বিপক্ষে।

তারা মনে করে, বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনই দেশের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এখন জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার কৌশল হতে পারে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পক্ষে ৬৫ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন।

আবার ২৯ শতাংশ মানুষ জাতীয় নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। জরিপে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ৭০ শতাংশ মানুষ নির্দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়, যেখানে ২৮ শতাংশ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের পক্ষে।

এই প্রস্তাব নিয়ে বিএনপি কড়া অবস্থান নিয়েছে। দলটি বলছে, তিনটি জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে না হওয়ায় মানুষ এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জাতীয় নির্বাচনকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

বিএনপির মতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার চিন্তা অপ্রাসঙ্গিক এবং সরকারের নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশলের অংশ।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক কথা বললেও বিএনপির মতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য কোনো নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে গঠিত কমিশনের সুপারিশে দুটি প্রস্তাব বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে: একজন ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এবং দলীয় প্রধান সংসদ নেতা ও সরকারপ্রধান হতে পারবেন না।

এসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গুণগত পরিবর্তন না হলে শুধু আইন করে পরিবারতন্ত্র বা প্রচলিত ধারা বদলানো কঠিন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতার বাস্তবতা এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির অভাবে এই সুপারিশগুলো কার্যকর হওয়া কঠিন।

উদাহরণস্বরূপ, ওয়ান-ইলেভেনের সময় দুই নেত্রীকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের অভাব এবং শীর্ষ নেতাদের একচ্ছত্র ক্ষমতা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই পরিবারতন্ত্রে আবদ্ধ। শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবারের সদস্যদের আধিপত্য রয়েছে।

যদিও সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা হয়েছে, অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে না।

বিএনপি সংবিধান সংস্কার কমিশনে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে, যার মধ্যে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সংসদে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ উল্লেখযোগ্য। তবে দলটি জানিয়েছে, সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে মতামত দেবে।

পত্রিকা

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘পটপরিবর্তনেই খরচ কমলো ৪৮ শতাংশ

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে আগে খরচ বাড়ানোর প্রবণতা থাকলেও পটপরিবর্তনের পর তা কমেছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৭ সালে অনুমোদিত একটি প্রকল্পে খরচ প্রায় ৪৮ শতাংশ বা ২৭৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা কমানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা বারবার বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে এর মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রকল্পে কিছু কাজ বাদ দেওয়া হয়েছে, যেমন ডিএলআর ডিভাইস ইনস্টল ও টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেমের হালনাগাদ। এতে খরচ কমে এসেছে।

প্যাকেজগুলোর কাজ একীভূত এবং পুনর্বিন্যাস করায় খরচের লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে।

প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন আধুনিকায়ন, ফ্রি গভর্নর মোড বাস্তবায়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে কারিগরি সহায়তা প্রদান।

তবে বিদেশি ঋণের প্রকল্পে দেরি হওয়ায় বাড়তি চার্জ দিতে হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে। প্রকল্প পরিচালক জানান, কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং খরচ কমানো এই প্রকল্পের একটি বড় সাফল্য।

পত্রিকা

ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘খরচ বৃদ্ধির চাপে উদ্যোক্তারা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত কঠিন সময় তৈরি করেছে। ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়া, ভ্যাটের চাপ, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা উদ্যোক্তাদের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি করেছে।

এসব কারণে নতুন শিল্প স্থাপন বা বিনিয়োগ প্রায় বন্ধ। চালু শিল্পগুলো টিকিয়ে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, খেলাপি ঋণের নতুন নীতি এবং টাকার অবমূল্যায়নের ফলে কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় বেড়ে গেছে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, তৈরি পোশাক রপ্তানির চাহিদা কমে যাওয়া এবং আমদানি খরচ বৃদ্ধির কারণে দেশের অর্থনীতি চাপে রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, উচ্চ সুদহারের কারণে ঋণের খরচ বেড়েছে, যা তাদের মুনাফা কমিয়ে দিচ্ছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, এবং কর বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি উৎপাদনে পড়ছে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা জটিল ঋণপ্রক্রিয়ার কারণে সমস্যায় পড়েছেন।

বিশ্বব্যাংক বলছে, দেশের অর্থনীতি সংকটময় অবস্থায়। মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যের মন্দা, এবং ঋণসেবার ব্যয়ের চাপে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার আশঙ্কা।

নীতিনির্ধারকদের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বাড়াতে ব্যবসায়ীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি।

বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন
পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যের বাজার বিশাল, যার আকার প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার। দেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ এই বাজার ঘিরেই।

খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও সেগুলো খুব বেশি কার্যকর প্রমাণ হচ্ছে না।

অর্থনীতিবিদ ও উদ্যোক্তাদের মতে, বাজারে পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি না করে কেবল অভিযান বা দামের সীমা নির্ধারণ করলে কার্যকর ফল পাওয়া যায় না।

সরবরাহ সংকট থাকলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করার সুযোগ পায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদন বা আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বাড়ানোই বাজার স্থিতিশীল করার প্রধান উপায়।

তাছাড়া, পণ্যের দামে নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করাই বেশি কার্যকর।

বাংলাদেশের চাল, মাংস, সবজি, মাছসহ প্রধান খাদ্যদ্রব্যের দাম প্রায়ই অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।

টিসিবি স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি করে নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে তেমন ভূমিকা রাখতে পারে না।

স্থানীয় কোম্পানিগুলো খাদ্যপণ্যের বাজারে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। উদ্যোক্তাদের মতে, পরিকল্পিত চাহিদা-জোগান এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারই দাম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।

চাঁদাবাজি ও সরবরাহ চেইনের সমস্যাগুলো ঠিক করলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি এলেও পেঁয়াজ, মুরগি, চাল, তেল ও মাছের দাম এখনো বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি নতুন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫০-৬০ টাকা হয়েছে।

বিদেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও চাষিদের লাভ কম হওয়ায় তারা দাম বাড়িয়েছেন।

ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগে থেকে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি। তবে শীতকালীন সবজির দাম তুলনামূলক কম।

বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকায়, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। টমেটো ৫০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের দামও কমেনি। মোটা চাল ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা, মাঝারি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, এবং সরু চাল ৭০ থেকে ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, তবে সংকট পুরোপুরি কাটেনি।

মাছের দামও বেড়েছে। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বড় রুই-কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, ইলিশ দুই হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা বেশি থাকায় মাছের দাম ক্রমাগত বাড়ছে।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.১ শতাংশে নেমে আসবে, যা তাদের আগের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক কম।

এর পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগ কমে যাওয়া, এবং নীতি-সংক্রান্ত অনিশ্চয়তাকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, জ্বালানি ঘাটতি ও আমদানিতে বিধিনিষেধের কারণে শিল্প খাত দুর্বল হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে সেবা খাতেও প্রভাব ফেলেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে মূল্যস্ফীতি কমলেও বাংলাদেশে তা এখনও উচ্চ মাত্রায় রয়ে গেছে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর অর্থনৈতিক দুর্বলতা বাংলাদেশের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার।

তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আর্থিক খাতের সংস্কারের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি আবার ৫.৪ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

বিশ্বব্যাংক আরও বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের অবস্থা তুলনামূলক দুর্বল।