Source : BBC NEWS

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লোগো

ছবির উৎস, জামায়াতে ইসলামী ফেসবুক

লন্ডনে শুক্রবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

এক লিখিত বিবৃতিতে দলটি অভিযোগ করেছে, বিএনপির সাথে বৈঠক করে নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্য দেয়ার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন’।

শনিবার দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকের পর গণমাধ্যমে লিখিত বিবৃতি পাঠায় জামায়াতে ইসলামী, যেখানে পুরো বিবৃতির কোথাও বিএনপির নাম উল্লেখ করা হয়নি।

বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী বলেছে, “তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বিগত ছয়ই জুন জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। তার এই ঘোষণার পর লন্ডনে সফরকালে একটি রাজনৈতি দলের সাথে বৈঠক শেষে বিদেশে যৌথ ব্রিফিং এবং বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয় বলে আমরা মনে করি।”

“এর মাধ্যমে তিনি একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন, যা তার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ করেছে। আমরা মনে করি দেশে ফিরে এসে প্রধান উপদেষ্টা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে তার অভিমত প্রকাশ করাই সমীচীন ছিল।”

বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী আরো বলেছে, একটি দলের সাথে বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দেয়ার কারণে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার বিষয়ে ‘জনগণের মধ্যে আশংকা’ সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া দেশে ‘অনেকগুলো রাজনৈতিক দল থাকার পরও একটি মাত্র রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ করে দেশের সামগ্রিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের’ সমালোচনা করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

শুক্রবার ১৩ই জুন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ডরচেস্টার হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল নয়টা ১০মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বহুল আলোচিত ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি ও যৌথ সংবাদ সম্মেলনের
মাধ্যমে জানানো হয়, সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি‌ অর্জন করা গেলে,
২০২৬ সালের রমজানের আগেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের আগামী
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এ নিয়ে আরো পড়তে পারেন:

মুহাম্মদ ইউনূস এবং তারেক রহমান।

ছবির উৎস, CA PRESS WING