Source : BBC NEWS

ছবির উৎস, Getty Images
১৯ মিনিট আগে
বিভিন্ন সময় বিদেশের মাটিতে টার্গেট করে চালানো বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নাম এসেছে। বিশেষ করে এসেছে তাদের গোয়েন্দা তৎপরতার গল্প। তাদের এসব অভিযানগুলোকে গোয়েন্দা উপন্যাসের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছে।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রথমদিনেই ইরানে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। তবে এধরণের হামলা এটিই প্রথম নয়।
২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন লেবাননের ইরানপন্থি শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ’র প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ।
দক্ষিণ বৈরুতের দাহিয়াহ এলাকায় হাসান নাসরাল্লাহ এবং তার দলের অন্য সিনিয়র কমান্ডাররা নিহত হন।
হেজবুল্লাহর যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও লক্ষ্যবস্তু করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। হেজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহৃত পেজার ও ওয়াকি-টকির বিস্ফোরণ ঘটায় তারা যার কারণে প্রায় ৩৭ জন নিহত হন।
২০২৪ সালের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে হেজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন, বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে এক সপ্তাহের মাথায়।
এই সংগঠনটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এর আগে, ২০০৬ সালে এই দুই প্রতিপক্ষ এক অমীমাংসিত যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল।
২০২৪ সালের এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কূটনৈতিক ভবনকেও লক্ষ্যবস্তু করেছিল ইসরায়েল এবং এই হামলায় ইরানি বিপ্লবী গার্ড ও অন্যান্য কর্মীসহ মোট ১৩ জন নিহত হন।
ওই বছর জুলাই মাসে আরেক হামলায় ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ে তেহরানে নিহত হন।
ইসরায়েল এই হত্যার দায় স্বীকার করেনি, কিন্তু ধারণা করা হয় যে এই হামলার পেছনেও ইসরায়েলই ছিল।
এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন ওঠে—ইসরায়েল কীভাবে তার শত্রুদের বিরুদ্ধে এত সফল অভিযান চালাতে পারে? ইসরায়েলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক কীভাবে কাজ করে? তাদের কী ধরণের সক্ষমতা রয়েছে?

ছবির উৎস, EPA
প্রধান দুই ইউনিট
মোসাদ:
মোসাদ গঠিত হয় ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার প্রায় দেড় বছর পর, ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে।
তাদের কাজ ছিল ইসরায়েলকে বাইরের হুমকি থেকে রক্ষা করা। এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই ছিল ইসরায়েলের অস্তিত্ব নিরাপদ রাখা।
শাবাক বা শিন বেট:
শাবাক বা শিন বেট গঠিত হয় ১৯৪৯ সালে।
এই গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব হলো দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
শিন বেট দাবি করে, তারা পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আসা হুমকির বিরুদ্ধে ‘অদৃশ্য ঢাল’ হিসেবে কাজ করে।

ছবির উৎস, IDF
আমান
আমান হলো ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা, যা প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাধারণ সদর দপ্তরের অধীনে কাজ করে।
এই সংস্থার মূল কাজ হলো তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে সামরিক কমান্ডকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা।
ইসরায়েলে গোয়েন্দা সংস্থার ইতিহাস ইসরায়েলের অস্তিত্বের চেয়েও পুরনো।
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯২২ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত “শাই” নামে একটি গোয়েন্দা সংস্থা এখানে কাজ করত, যা ছিল ইহুদি আধা-সামরিক সংগঠন “হাগানাহ”-এর গোয়েন্দা শাখা।
ইসরায়েল সৃষ্টির পর “আমান” তৈরি করা হয় হাগানাহর ধারণার ওপর ভিত্তি করে।
আমান বেশ কয়েকটি ইউনিট নিয়ে গঠিত, তবে ৮২০০, ৯৯০০ এবং ৫০৪ হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট, যারা গাজায় ইসরায়েলের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এই ইউনিটগুলোর দায়িত্ব হলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান থেকে আসা গোয়েন্দা ও সামরিক হুমকি সনাক্ত করা।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমে এমন খবরও প্রচারিত হয়েছিল যে, ইসরায়েল তাদের গোয়েন্দা বাহিনীর আওতায় নতুন একটি ইউনিট যুক্ত করেছে, যার নাম “ব্রাঞ্চ ৫৪”।
এই ইউনিট সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে “ব্রাঞ্চ ৫৪” দেশের সামরিক গোয়েন্দা দপ্তরের অধীনে কাজ করবে
এবং এর দায়িত্ব হবে ইরান ও বিশেষ করে “পাসদারান-ই-ইনকিলাব” (ইরানি বিপ্লবী গার্ড) এর সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া।

ছবির উৎস, IDF
ইউনিট ৮২০০
ইউনিট ৮২০০-কে ইসরায়েলি গোয়েন্দা ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয় এবং এই ইউনিটের মাধ্যমেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইলেকট্রনিক মাধ্যমে তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা পরিচালনা করে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে, এটি তাদের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট।
তথ্য অনুযায়ী, ইউনিট ৮২০০-তে ১০ হাজারের বেশি লোক কাজ করে এবং এখানে যারা কাজ করে তারা এলিট এবং শিক্ষিত বাহিনী থেকে বাছাই করা।
এমনও বলা হয়, এই ইউনিটে কাজ করা সদস্যদের সংখ্যা মোসাদ ও শিন বেটের সদস্যদের থেকেও বেশি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে, গোয়েন্দাগিরির জন্য ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক যন্ত্র বানানোর দায়িত্বও ইউনিট ৮২০০-এর।
তারা তথ্য সংগ্রহ করে, তা বিশ্লেষণ করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাঠায়।
ইউনিট ৮২০০ ইসরায়েলের সব অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তারা সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে কাজ করে, যাতে তথ্য সংগ্রহের গতি বাড়ানো যায়।
ইউনিট ৮২০০-কে দেওয়া দায়িত্বসমূহ:
- যোগাযোগ ব্যবস্থার ওয়্যারট্যাপিং (গোপনে আড়ি পাতা)।
- গোয়েন্দা ও সামরিক তথ্য ডিকোড করা।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেট থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা।
- সাইবার হুমকির শনাক্তকরণ।
- গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ইলেকট্রনিক ও সাইবার ডিভাইস তৈরি করা।
প্রযুক্তির দিক থেকে ইউনিট ৮২০০-র তুলনা করা হয় বিশ্বের বড় বড় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে। কারিগরি দিক থেকে একে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) সমতুল্য মনে করা হয়।

ছবির উৎস, GOV.IL
ইউনিট ৮২০০-এর কার্যক্রম সবসময় গোপন রাখা হয়। তবুও সামরিক ও গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে এই ইউনিট ইসরায়েলকে রক্ষা করতে কিংবা ইসরায়েলের হয়ে আক্রমণ করতে এক কথায় প্রতিরক্ষা ও হামলা উভয় ধরনের অভিযানে প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছে।
এমনও বলা হয়, ২০১০ সালে ইরানে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সাইবার হামলায় ইউনিট ৮২০০ জড়িত ছিল। ইরানি স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করতে স্টাক্সনেট (Stuxnet) নামে একটি ভাইরাস ব্যবহার করা হয়েছিল।
ইউনিট ৮২০০-এর উপ-কমান্ডার ইউরি সিভ ইসরায়েলি পত্রিকা হারেতসে-এ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সাইবার জগতে ইরানের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধের মতো নজির পৃথিবীতে আর দুটি নেই।”
ইউনিট ৮২০০ গোপন তথ্য পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে কাজ করা ব্যক্তি ও দলগুলোকেও ব্যবহার করে।
এই ইউনিট গঠিত হয় ১৯৫২ সালে এবং প্রথম নাম ছিল ‘সেকেন্ড ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস ইউনিট’ অর্থাৎ, ‘দ্বিতীয় গোয়েন্দা পরিষেবা ইউনিট’। পরে এই ইউনিটকে ৮৪৮ বা ৫১৫ নামেও ডাকা হতো।
বলা হয়, ১৯৬৭ সালের আরব দেশগুলোর সঙ্গে হওয়া ছয় দিনের যুদ্ধে ইউনিট ৮২০০ মিসর ও সিরিয়া থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে মূল ভূমিকা রেখেছিলো।
এই যুদ্ধ ইসরায়েলিদের জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছিল।
২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইউনিট ৮২০০ ইসরায়েলি মিডিয়ায় আলোচনায় আসে।
আমেরিকান পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, হামাসের হামলার এক বছর আগে ইউনিট ৮২০০ হামাসের রেডিও পর্যবেক্ষণ বন্ধ করে দেয়।

ছবির উৎস, ISRAELI MINISTRY OF DEFENCE
ইউনিট ৯৯০০
যদি ইউনিট ৮২০০-কে ইসরায়েলের “কান” বলা হয়, তাহলে ইউনিট ৯৯০০-কে তার “চোখ” বলা যেতে পারে।
এই ইউনিটের দায়িত্ব হলো ছবি ও ভিডিও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা। এজন্য এই ইউনিট স্যাটেলাইট, গোয়েন্দা বিমান ও ড্রোন ব্যবহার করে।
এসব ছবি ও ভিডিওর তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে সেনা কমান্ডার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের কাছে রিপোর্ট পৌঁছে দেয়াও এই ইউনিটের দায়িত্ব।
ইউনিট ৯৯০০-র কাছে আধুনিক প্রযুক্তি আছে, যার মাধ্যমে তারা যুদ্ধে লিপ্ত ইসরায়েলি সেনাদের জন্য থ্রিডি মানচিত্র তৈরি করে দেয়।
সম্প্রতি, ২০২০ সালে এই ইউনিটের ভেতরে আরেকটি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যার দায়িত্ব হলো গোয়েন্দা ড্রোনের কার্যক্রম আরও বাড়ানো।
সেই ২০২০ সালে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ইউনিট ৯৯০০-র ক্ষমতা ও দক্ষতা দেখানোর জন্য।
তখন মিডিয়া বলেছিল, নতুন ইউনিট গঠনের মাধ্যমে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এমন প্রযুক্তি চাচ্ছে যাতে নগর এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
তথ্য অনুযায়ী, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইরানকে পর্যবেক্ষণ করাও ইউনিট ৯৯০০-এর দায়িত্ব,
যা ইসরায়েলের গোয়েন্দা স্যাটেলাইট ‘হরাইজন ১৩’ দিয়ে করা হয়।

ছবির উৎস, IDF
ইউনিট ৫০৪
ইউনিট ৫০৪ গঠন করা হয়েছে মানুষের গোয়েন্দা তথ্য (হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স) সংগ্রহের জন্য।
এই ইউনিটের প্রধান দায়িত্ব হলো দেশের ভেতরের হুমকিগুলো নজরে রাখা, তবে এর পাশাপাশি এই ইউনিট ইসরায়েলের সীমান্তের বাইরেও গুপ্তচর নিয়োগ করে।
এই ইউনিটে কাজ করা সৈন্য ও গোয়েন্দারা গাজাসহ অন্যান্য দেশেও সক্রিয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে, “দেশের নিরাপত্তায় এই ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে এবং এটি শত শত সফল অপারেশন চালিয়েছে, তবুও এই ইউনিটের কার্যকলাপ সম্পর্কে খুব কম লোক জানে।”
ইউনিট ৫০৪ সাধারণ মানুষের মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে এবং কাজের প্রয়োজনে তারা মোসাদ ও শিন বেট-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে।
এই সব দায়িত্ব ছাড়াও ইউনিট ৫০৪ লেবাননের সীমান্তে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের দায়িত্বও পালন করে।
তবে ৭ই অক্টোবর হামলার পর ইউনিট ৫০৪ দক্ষিণ ইসরায়েলে তাদের কমান্ড হেডকোয়ার্টার স্থাপন করেছে এবং এখন তারা গাজার দিকেও নজর দিয়েছে।
ব্রাঞ্চ ৫৪
২০২৩ সালের জুনে ইসরায়েলি মিডিয়া জানায়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে নতুন একটি গোয়েন্দা ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার কাজ হবে ইরান এবং “পাসদারান-ই-ইনকিলাব” (ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী)-এর সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া।
এই খবর “ওয়াই নেট” নামে এক ইসরায়েলি ওয়েবসাইট প্রথম প্রকাশ করে।
তারা জানায়, ব্রাঞ্চ ৫৪ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইরানের সামরিক কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ কৌশল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য।
রিপোর্ট অনুযায়ী, তখন এই ইউনিটে মাত্র ৩০ জন সদস্য কাজ করতেন।
এই ইউনিটের এক কমান্ডার বলেন, “ব্রাঞ্চ ৫৪ প্রতিষ্ঠা এই ইঙ্গিত দেয় যে ইরানি সামরিক হুমকি সম্পর্কে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন এসেছে”।
তিনি আরও বলেন, “ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধ, হেজবুল্লাহ, হামাস বা ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে যুদ্ধের মতো একেবারেই হবে না।”
এই ইউনিটের কমান্ডারের নাম মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিজের কাজ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ইরানের নিরাপত্তা কাঠামো এবং সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা।”
এই গোয়েন্দা ইউনিটের একটি অংশ ইরানের সেই স্থানগুলো শনাক্ত করে, যেখানে যুদ্ধ শুরু হলে আক্রমণ চালানো যাবে।
ব্রাঞ্চ ৫৪-এর কমান্ডার বলেন,”আমাদের কার্যক্রম শুধু ইরানের ‘পাসদারান-ই-ইনকিলাব’ (বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী) ঘিরেই।”
তিনি বলেন, “আমরা প্রতিদিন টার্গেট শনাক্ত করছি এবং গবেষণা করছি কীভাবে সেগুলোতে প্রভাব ফেলা যায়। আমরা ইতিমধ্যেই ইরানের অনেক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করেছি এবং তাদের পরমাণু শক্তি থাকলেও তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।”
তিনি আরও বলেন, “ইরানের সঙ্গে যেকোনো সামরিক সংঘর্ষ হবে সম্পূর্ণ আলাদা রকমের যুদ্ধ।”
ইরানের ওপর সাম্প্রতিক হামলায় ইসরায়েলের এই গোয়েন্দা ইউনিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।