Source : BBC NEWS
৪১ মিনিট আগে
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা পরিবারের সদস্যদের চারটি রিসোর্ট ও বাগানবাড়ির সন্ধান মিলছে গাজীপুরে।
বিভিন্ন সময়ে কেনা এসব রিসোর্ট ও বাগানবাড়ি অবসর সময় কাটানোর জন্য করা হয়। সরকার পতনের পর কয়েকটি রিসোর্ট ও বাগানবাড়িতে বিক্ষুব্ধ মানুষের হামলার ঘটনাও ঘটে।
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রেহানা পরিবারের সদস্যদের সম্পদের খোঁজ করছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য মিলেছে।
গাজীপুরের কানাইয়া এলাকায় ‘টিউলিপ’স টেরিটরি’, বাঙালগাছ এলাকায় ২৫ বিঘা জমির ওপর বাগানবিলাস, ২৩ বিঘা জমির ওপর ফাওকাল বাগানবাড়ি, ১৫ থেকে ১৬ বিঘা জমির ওপর কালিয়াকৈরে মৌচাকের বাগানবাড়ির তথ্য পেয়েছে দুদকের অনুসন্ধান দল।
এসব স্থাপনার আনুমানিক মূল্য ১৬৫ কোটি টাকার বেশি।
স্থানীয়রা এগুলো শেখ রেহানার বাগানবাড়ি বলে জানতেন।
তবে এগুলোর মালিকানায় রয়েছেন তার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিক, দেবর তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তাদের নিকট আত্মীয়-স্বজনেরা।
শিরোনামে প্রাধান্য পেয়েছে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেয়ার বিষয়টি।
ঢাকাকে কোন চোখে দেখবে ওয়াশিংটন— দেশ রূপান্তরের একটি শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, বরাবরের মতো এবারও নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে দুনিয়াব্যাপী জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নেই।
এখানে আলোচনা হচ্ছে, নতুন প্রেসিডেন্টের সময় যুক্তরাষ্ট্র কি ঢাকাকে নিজের চোখে দেখবে, নাকি দিল্লির চোখে দেখবে?
কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, গত চার বছর বাইডেন প্রশাসনের সময় বাংলাদেশ ইস্যুতে ওয়াশিংটন সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করেছে।
নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রম অধিকারসহ তাদের সম্পৃক্ত বিষয়গুলোয় বাইডেন সরকারের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিগত সময়গুলোয় বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর নির্ভর করত। এই অঞ্চলে অন্যতম মিত্র হিসেবে দিল্লির চোখেই তারা ঢাকাকে দেখেছে। কিন্তু বাইডেনের নতুন নীতিতে ধাক্কা খায় ভারত।
কিন্তু ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর মনে করা হচ্ছে, ওয়াশিংটনের এই নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন আসবে।
কারণ, এর মধ্যে দায়িত্ব নেয়ার আগেই গত দুই মাসে দিল্লি সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন।
বাইডেনের সব উল্টে দিচ্ছেন ট্রাম্প— আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেই সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সব উল্টেপাল্টে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অবশ্য ট্রাম্প আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি ‘প্রায় ১০০টি’ নির্বাহী আদেশ জারি করবেন। বাইডেন প্রশাসন বিগত চার বছরে যা যা করেছে, তার অনেক কিছু রদ অথবা বাতিল করতেই এসব নির্বাহী আদেশ জারি করা হবে।
শপথ নেয়ার পর প্রথম ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘ঠিক এ মুহূর্ত থেকে শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগ। আজ থেকে আমাদের দেশ সমৃদ্ধ হবে এবং সম্মানিত হবে। আমি যুক্তরাষ্ট্রকে সর্বাগ্রে রাখব।’
ট্রাম্প তার বক্তব্যে বাইডেন প্রশাসন এবং অভিবাসী সংকট মোকাবেলায় বিদায়ী প্রেসিডেন্টের কৌশলের তীব্র সমালোচনা করেন।
আমেরিকার বাণিজ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের সমৃদ্ধ করার জন্য আমরা বিদেশি রাষ্ট্রগুলোতে শুল্ক আরোপ এবং কর আরোপ করব।’
গুম হন নারীরা, রেহাই পায়নি কোলের শিশুও— আজ প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম এটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও গুমের শিকার হয়েছেন। এমনকি মায়েদের সঙ্গে শিশুদেরও তুলে নিয়ে বন্দিশালায় আটকে রাখার মতো ঘটনা ঘটেছে। বাদ যাননি অন্তঃসত্ত্বা নারীও।
পুরুষ বন্দীকে মানসিক নির্যাতন করতে স্ত্রীকে আটকে রেখে কোলের সন্তানকে মায়ের দুধপান থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করা হয়।
গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর ভয়াবহ নির্যাতনের এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ (সত্য উন্মোচন) শীর্ষক প্রতিবেদনে অন্তত চারজন নারীর গুমের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন এখনো ফিরে আসেননি।
প্রতিবেদনে কমিশন জানিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের কারণে নারীদের গুমের জন্য নিশানা করা হয়।
অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নারীদের তুলে নেয়া হয়েছে।
এসব ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ও মনগড়া অভিযোগে তাদের তুলে নেয়া হয়। নারীরা গুমের শিকার হলেও সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে এ নিয়ে তারা মুখ খোলেননি।
কী চাইছে জামায়াত— সমকালের প্রথম পাতার খবর এটি। এতে বলা হচ্ছে, সংস্কার ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের অবস্থান তাদের দুই যুগের মিত্র বিএনপির চেয়ে ভিন্ন।
বরং শেখ হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রনেতৃত্বের কাছাকাছি জামায়াতের অবস্থান।
ছাত্রদের সঙ্গে জোটের কথা শোনা না গেলেও অন্য দলগুলোকে নিয়ে বিএনপির বিকল্প নির্বাচনী মোর্চা তৈরির চেষ্টা করছে জামায়াত।
আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় নতুন সমীকরণে বিএনপির নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার চেষ্টা করছে জামায়াত।
পাঁচ অগাস্টের পর দলটি দেশজুড়ে কর্মী সম্মেলন, সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে।
জামায়াত নেতারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় বিএনপির পর তারাই বড় দল। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত।
অংশ নিলেও ভোটে সাফল্যের সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ বাস্তবতায় সংসদে সম্মানজনক আসন নিয়ে জামায়াতের বিরোধী দল হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
শুধু জাতীয় সংসদ নয়, স্থানীয় নির্বাচনেও সম্ভাব্য প্রার্থী ঠিক করে প্রচার চালাচ্ছে দলটি।
জনসমর্থন ও নির্বাচনী সাফল্য পেতে বিএনপিকে আওয়ামী লীগের মতো লুটপাটকারী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে জামায়াত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বাজারে নির্মাণকাজের অন্যতম উপকরণ রড বিক্রিতে ধস নেমেছে। আগের তুলনায় বিক্রি কমেছে ৭০ শতাংশ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রভাবে এই হাল।
বিক্রি কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে স্টিল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো।
শুরুতে চাহিদা কমে যাওয়ায় রডের দাম অনেকটাই কমে এলেও এখন ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে কাঁচামাল আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় টনপ্রতি পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার পরিবর্তনের পর মেগাপ্রকল্পসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজ স্থবির হয়ে পড়েছে।
নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত ঠিকাদারদের অনেকে গাঢাকা দিয়েছেন। স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বাদ দেয়ায় সেখানকার উন্নয়নকাজেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, রাজনৈতিক সংকটের দ্রুত সমাধান না হলে এবং সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো পুনরায় শুরু না হলে স্টিলশিল্প দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পোশাকে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পুলিশের পোশাক হবে লোহার (আয়রন) রঙের। র্যাবের পোশাক হবে জলপাই (অলিভ) রঙের। আর আনসারের পোশাক হবে সোনালি গমের (গোল্ডেন হুইট) রঙের।
পুলিশের সংস্কারসহ তাদের ইউনিফর্ম নিয়ে নানা দাবি-আলোচনার পর এই তিন বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলো অন্তর্বর্তী সরকার।
এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সবার মন-মানসিকতা পরিবর্তন করা জরুরি। সেজন্য পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন করা হচ্ছে।
কবে থেকে পোশাক পরিবর্তন হবে, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ধীরে ধীরে পরিবর্তন হবে। পুলিশকে জনবান্ধব করতে হলে বাহিনীটির প্রশিক্ষণেও পরিবর্তন আনতে হবে।
তবে, শিগগিরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নতুন পোশাক অনুমোদন হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগসহ সব দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, তা জামায়াতের কাছে জানতে চেয়েছে ঢাকা সফররত জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল।
জবাবে জামায়াত থেকে বলা হয়, কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষে আইনগত কোনো বিষয় নিয়ে দলটি কোনো মতামত দিচ্ছে না।
এটা জনগণ, সামাজিক ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করবে। এখানে তাদের বিশেষ কোনো স্ট্যান্ড (অবস্থান) নাই।
প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে গতকাল সোমবার দেখা করেন জামায়াতের চার নেতা। এরপর দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
অযথা সময় ক্ষেপণ না করে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে জামায়াত নির্বাচন চায় বলেও জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলটিকে জানানো হয়।
এতে বলা হচ্ছে, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে চালু হয় দাশেরকান্দি পয়োবর্জ্য শোধনাগার। দেশে চীনা ঋণে বাস্তবায়িত অন্যান্য প্রকল্পের মতো দাশেরকান্দি প্রকল্পটি থেকেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
সংযোগ লাইন নির্মাণ না হওয়ায় এর আওতাভুক্ত এলাকার সিংহভাগেরই পয়োবর্জ্য পরিশোধন করা সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকা ওয়াসা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম পয়োবর্জ্য পরিশোধনাগারটি আওতাভুক্ত এলাকার মাত্র ২৫ শতাংশের বর্জ্য পরিশোধন করতে পারছে।
সে অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রার অধীন ৭৫ শতাংশ এলাকার পয়োবর্জ্য পরিশোধনে কোনো কাজেই আসছে না এটি।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ৭০ শতাংশের কাছাকাছি ঋণ সহায়তা নেয়া হয়েছে চীনা এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে। দুই শতাংশ সুদে ২০২৭ সাল থেকে এ ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
রাজধানীর পয়োবর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০১৩ সালে একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করে ঢাকা ওয়াসা।
এরই অংশ হিসেবে হাতিরঝিল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে আফতাবনগরের কাছে দাশেরকান্দিতে পরিশোধনাগার প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়।