Source : BBC NEWS
বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বুধবার।
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেছেন।
মিজ জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে বলেন, বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাসী। “এই মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সকল আসামি আগামীকাল খালাস পাবেন।”
তিনি এও বলেন যে এই মামলাটি দেওয়াই হয়েছিলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যাতে করা খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে। সেই সাথে, আওয়ামী লীগের শাসনকাল দীর্ঘায়িত করার জন্য।
এসময় সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলো যে যদি রায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যায়? উত্তরে তিনি বলেছেন, “যদি’র কোনও প্রশ্ন নাই।” উপস্থিত অন্যান্য আইনজীবীও তার কথায় মত দিয়েছেন।
মূলত, ২০০৮ সালে তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই মামলাতেই সাজা পেয়ে দুর্নীতির দায়ে প্রথমবারের মতো কারাগারে যেতে হয় খালেদা জিয়াকে। এর আগে তাকে অন্তরীণ হতে হয়েছিল রাজনৈতিক কারণে।
২০১৮ সালের আটই ফেব্রুয়ারি পুরনো ঢাকার বিশেষ আদালতের বিচারক তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওইদিনই কারাগারে যান তিনি। সেই থেকে প্রায় ছয় বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি।
এ মামলার অভিযোগ ছিল, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া দুই কোটি ১০ লাখের বেশি টাকা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দেয়া হলেও, তা এতিম বা ট্রাস্টের কাজে ব্যয় করা হয়নি। বরং সেই টাকা নিজেদের হিসাবে জমা রাখার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
রায়ে খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমান, যিনি এখন ব্রিটেনে বসবাস করছেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন, তাকেও দশ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এই মামলা সম্বন্ধে আরও জানতে পড়তে পারেন…