Source : BBC NEWS

ঢাকার বিভিন্ন পত্রিকা

১৯ মিনিট আগে

প্রস্তাব ফাঁসে সংকটে সংস্কার— দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খাত ও ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রস্তাব তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত ১১টি কমিশন গঠন করেছে। তবে, সংস্কার কমিশনের সম্ভাব্য প্রস্তাব নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বিশেষ করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রস্তাব ঘিরে পুরো প্রশাসন উত্তাল হয়ে উঠেছে। ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন প্রশাসনের প্রভাবশালী প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

কমিশনপ্রধান ড. আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর অপসারণ দাবিতে আলটিমেটামও দিয়েছেন তারা। পুনর্গঠনের আগে এই কমিশনের কোনো সুপারিশ জমা দেয়ার দরকার নেই বলেও উল্লেখ করেছেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

এছাড়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ক্যাডার সার্ভিস থেকে আলাদা করার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ অন্য ক্যাডার সংগঠনগুলোও। সংবিধানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

এর আগে, বিভিন্ন সময়ে কোনো খাতে সংস্কারের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার পর তা বাস্তবায়নে কমিটি গঠন করে সরকার। তখন সেসব সুপারিশ নিয়ে সমালোচনা বা বিতর্ক তৈরি হয়। কিন্তু এবার ঘটছে উল্টোটা। সংস্কার কমিশন সরকারের কাছে তাদের প্রস্তাব জমা দেয়ার আগেই তা জানাজানি হয়ে যাচ্ছে বা কমিশনের পক্ষ থেকেই সম্ভাব্য সুপারিশের বিষয়গুলো জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা বলছেন, সংস্কারের প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি করা।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতীয় অর্থায়ন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পাঁচ প্রকল্পে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দেশটির ঋণের আওতায় রেলের মোট প্রকল্প ছয়টি। এর মধ্যে গত ১০ বছরে আলোর মুখ দেখেছে কেবল খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্প।

প্রকল্পগুলো হলো— দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে রংপুরের কাউনিয়া রেলপথ প্রকল্প, এর মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি। সার্বিক অগ্রগতি মাত্র শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। খুলনা-দর্শনা রেলপথ নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথের কাজের অগ্রগতি ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ। কাজ চলমান ঢাকা-টঙ্গী ডাবল লাইন ও কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ প্রকল্পের।

এলওসি ঋণের শর্তে বলা হয়েছিল, প্রকল্পগুলোর ৭৫ শতাংশ অর্থায়নই হবে ভারত থেকে। বাকি ২৫ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুসারে প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ পণ্য-সেবাই ভারত থেকে আমদানি করতে হবে।

শেখ হাসিনার পতনের পর এসব প্রকল্পের কাজে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। ৫ আগস্টের পর প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে টানাপোড়েনের জেরে কয়েকটি প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদার নিজ দেশে চলে যান।

রেলসূত্র বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের রেলপথ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এগুলোসহ রেলের বিভিন্ন প্রকল্প গুরুত্বসহকারে দেখছেন। তবে ইতোমধ্যে কয়েকবার আলোচনা হলেও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।

আজকের পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কোণঠাসা। সেনাবাহিনীতে পক্ষ বদলের মতো বিরল ঘটনাও ঘটছে। দেশটির এই যখন অবস্থা, তখন জান্তা বাহিনীর হাতে মিয়ানমারের চারভাগের মাত্র একভাগেরও কম ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

এরইমধ্যে চীন সীমান্তে বিদ্রোহীদের কাছে বেশিরভাগ চেকপোস্টের নিয়ন্ত্রণও হারিয়েছে সামরিক জান্তা, যা জান্তা বাহিনীর সাপ্লাই চেইনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

আর নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোতেও ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ অবস্থায় রয়েছে সামরিক জান্তা। রাজধানী নেপিদোর দিকে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অগ্রসর হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিদ্রোহীদের ঢেউ রাজধানীর দিকে অগ্রসর হলে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার পতন হতে পারে সিরিয়ার বাশার আল আসাদের মতো— এমনটা বলছেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার মতো মিয়ানমারের শীর্ষ জান্তা কমান্ডারদের মধ্যেও বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে। যদিও এ সংকটের বাইরে রয়েছে জান্তা নেতা মিন অং হ্লাইংয়ের চারপাশের একটি ছোট গোষ্ঠী। মিন অং হ্লাইং বারবার সিনিয়র কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করছেন, পদ পরিবর্তন করেছেন। তার এমন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে অনেকেই সামরিক বাহিনীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অন্ধকারে।

বণিক বার্তা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটি তাদের লন্ডন প্রতিনিধির মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করেছে। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের বরাতে সংবাদটি প্রকাশ করেছে এই পত্রিকা।

এর মধ্যে কেম্যান দ্বীপ ও হংকংয়ের শেল কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করা হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।

এ নিয়ে দুদকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ”ঘটনাটি অনেকাংশে সত্য, আমরা ভবিষ্যতে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে পারি, এ বিষয়ে আমরা পরে সরাসরি কথা বলব।”

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৯ সেপ্টেম্বর এফবিআই এর প্রতিনিধিদল দুদকের মহাপরিচালক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে দেখা করেছিলেন এবং বিপুল পরিমাণ নথি হস্তান্তর করেন।

৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করেছে দুদক। সংস্থাটির কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্লোবাল ডিফেন্স করপোরেশনকে জানিয়েছেন, এই অভিযোগটি অধিকতর তদন্তের জন্য দুদক মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

পাঁচ বিষয় সামনে রেখে চলছে তদন্ত— মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর এটি। সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় ৫টি বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত কার্যক্রম চলছে বলে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র মানবজমিনকে জানায়, রাজনৈতিক কারণে সৃষ্ট বড় নাশকতা কি না, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কোনো সূত্রের সম্পৃক্ততা, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে চলমান বিবাদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এফআইডিসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ফাইল ধ্বংস, শর্টসার্কিট, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকাদের দায়িত্বে অবহেলা— এসব বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজতে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা গতকাল শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি পরিদর্শন করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আট সদস্যদের কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এদিকে, নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত সচিবালয়ের ভেতরে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাকেও মূল প্রবেশপথের বাইরে গাড়ি রেখে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

দ্যা ডেইলি স্টার

এতে বলা হচ্ছে, শিক্ষা প্রশাসনে বদলি-পদায়নসহ নানা ক্ষেত্রে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় গতি আসছে না। এছাড়া, দেড় শতাধিক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় মাঠ পর্যায়ে শিক্ষার তদারকি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারকে কাঠামোর বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর তা প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন।

শিক্ষা ক্যাডারদের এই সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে ১৫ দফা দাবি জানিয়েছে। এসব দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— বিসিএস সাধারণ শিক্ষাকে ক্যাডারবহির্ভূত করার পরিকল্পনা ও উদ্যোগ থেকে সরে আসার সুস্পষ্ট ঘোষণা; সকল প্রকার কোটা-বৈষম্য তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে সরকারের উপসচিব পদে যোগদান নিশ্চিত করা; মন্ত্রণালয়সহ ক্যাডার সংশ্লিষ্ট সকল পদে নিজ নিজ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন; শিক্ষা ক্যাডারে ছয় স্তরের পদসোপান প্রতিষ্ঠা; অধ্যাপক পদকে তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত ও আনুপাতিক হারে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডের পদ সৃষ্টি; অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের প্রাধিকারের ভিত্তিতে গাড়ি প্রদান; ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে শিক্ষা ক্যাডারের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করা।

এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট অগ্রগতি না হলে ৩১ ডিসেম্বর তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলেও জানায়। এতে পুরো শিক্ষা ক্যাডারেই অস্থিরতা আরো বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।

উল্লেখ্য, বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার। তাদের কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার।

নয়া দিগন্ত

ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে ‘ঐক্য কোন পথে’ শীর্ষক রাজধানীতে আয়োাজিত দুই দিনব্যাপী সংলাপে গতকাল শুক্রবার ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সংস্কার বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন। এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিকে ছাড়া কোনোটি সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না।

সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে বলেও জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। নাগরিকদের নির্বাচনের তারিখ না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ায় সময় দিতে হয় না। কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা ভোটার, তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, তার সঙ্গে যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন, তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেদের নিয়োজিত করুন।

সংস্কারের জন্য গঠিত ১৫টি কমিশনের প্রতিবেদন আগামী জানুয়ারি মাসে জমা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ১৭ হওয়া উচিত।

যুগান্তর

Talks with parties necessary before placing reports— ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার শিরোনাম এটি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার প্রতিবেদন জমা দেয়ার আগে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা জরুরি।

জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে ‘ঐক্য কোন পথে’ শীর্ষক রাজধানীতে আয়োাজিত সংলাপের প্রথম অধিবেশনে এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, তিনি শুনেছেন কমিশন তাদের প্রস্তাব তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দেবে। তারপর সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। আগে থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হলে তা আরও কার্যকর ও ভালো হতো বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল।

সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, সংস্কার নিয়ে যত বেশি সময় যাবে আমার কাছে মনে হয়, আমাদের কাছে মনে হয় যে, সমস্যাগুলো তত বাড়বে। আপনি এটা ইমপ্লিমেন্ট করবেন কাদের দিয়ে? গভর্নমেন্ট ম্যাশিনারি তো পুরোপুরিভাবে এখনও ফ্যাসিবাদের মধ্যে আছে।

সংস্কার না করে বিএনপি ভোট চায়, এটি ভুল ধারণা বলেও মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সারাদেশে পেট্রোল ও অকটেনের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে অপরিশোধিত কনডেনসেট। এতে সরকার বছরে শতকোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, এই ভেজাল তৈরিতে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সহায়তা করছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি রিফাইনারি ও ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট। ক্ষতি হচ্ছে যানবাহনের ইঞ্জিন। পরিবেশ দূষণেও রাখছে ভূমিকা।

সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারি রিফাইনারি কোম্পানির কনডেনসেট উত্তোলন এবং পরিশোধিত জ্বালানি বিক্রির পরিসংখ্যান থেকে এ ভয়াবহ চিত্র পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

পেট্রোল পাম্পগুলোয় সরাসরি কনডেনসেট বিক্রি প্রসঙ্গে বিপিসি চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান বলেন, এসব অভিযোগে প্রতিনিয়ত সারাদেশে মোবাইল কোর্ট চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।