Source : BBC NEWS
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
রাসেল সারোয়ার বিবিসি বাংলাকে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মারধরের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। অন্য আরও মানুষ এসএমএসের মাধ্যমে
তারা ডেকে এনেছে সিসিটিভির ফুটেজে সেটাও পাওয়া গেছে।”
তারা হলেন মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল,
আলভী হোসেন জুনায়েদ এবং আল আমিন সানি।
এই তিন জন বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী কী না, সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজী হননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে
জানান মি. সারোয়ার।
সাংবাদিকদের কাছে পুলিশের
পাঠানো এক খুদে বার্তায় জানানো হয়েছে, আসামিরা ওই ঘটনার সময়
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল বলে সাক্ষ্য প্রমাণ
পাওয়া গেছে। সিসি টিভি ফুটেজেও তাদের উপস্থিতি দৃশ্যমান রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মহাখালী ওয়ারলেছ
গেইট এলাকাসহ আশেপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গত রাত সোয়া বারোটায়
গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা মামলার এজাহারনামীয় ও ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য
অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদেরকে চেনে এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানে বলেও জানিয়েছে
পুলিশ।
নিহত
মি.
পারভেজ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
বিভাগের ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
গত শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই
ছাত্রীকে নিয়ে হাসাহাসি করার অভিযোগে মি. পারভেজের সাথে তর্কাতর্কি হয় তারই
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর। এ বিষয়ে মীমাংসা করতেও বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে পরে প্রাইম
এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বনানী ক্যাম্পাস
থেকে বের হওয়ার পর প্রশাসন ভবনের গেটের সামনে ১০ –
১৫ জন মিলে শিক্ষার্থী পারভেজকে
পিটিয়েছে। এ সংক্রান্ত সিসিটিভির ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচিত
হয়।
ওই
ফুটেজে দেখা যায়, মারধরের এক পর্যায়ে ঐ শিক্ষার্থী প্রশাসন ভবনের ভেতরে
ঢোকার চেষ্টা করার সময় একজন তাকে ছুরিকাঘাত করে ।
এক পর্যায়ে প্রশাসন
ভবনের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা ঐ শিক্ষার্থীকে ভেতরে ঢুকিয়ে কলাপসিবল গেট
বন্ধ করে দেন। এরপর হামলাকারীরা চলে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর
পারভেজের মৃত্যু হয়।
এ হত্যার ঘটনায় তার ভাই
হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে আট জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

ছবির উৎস, ARJU AHMAD/FACEBOOK