Source : BBC NEWS

পত্রিকা

এক ঘন্টা আগে

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখা যায় না। ফলে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।

আজিজ খান ১৯৮৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করছেন এবং ২০১৬ সালে সামিটের প্রধান কার্যালয় সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করেন।

আজিজ খান ২০১৮ সাল থেকে ফোর্বসের সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় আছেন। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার।

এতদিন তিনি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন, কিন্তু এবার তাকে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

ব্যবসায়ী জীবন শুরু করেছিলেন ১৮ বছর বয়সে। জুতা তৈরির মাধ্যমে শুরু করা ব্যবসা পরে বিদ্যুৎ, বন্দর ও ফাইবার অপটিক খাতে বিস্তৃত হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে সামিট গ্রুপ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণের কারণে তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব হারানো ও নতুন পরিস্থিতি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নতুন দিক নির্দেশ করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

আরও পড়তে পারেন
পত্রিকা

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘ইসিকে দায়বদ্ধ করার কথা ভাবছে কমিশন‘। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়নের প্রস্তাবের চিন্তা করছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।

তাদের পরিকল্পনা হলো, ইসি যদি নির্বাচনী অপরাধে যুক্ত হয়, তাহলে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার আইনি বিধান তৈরি করা।

ইসি দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও বিগত তিনটি বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের দায় তাদের রয়েছে বলে মত দিয়েছে সংস্কার কমিশন। এর মধ্যে ২০১৪, ২০১৮, ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ইসির ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ও রয়েছে। বর্তমানে ইসির ভোট বন্ধের ক্ষমতা সীমিত, আগের মতো ভোটের আগে পরিবেশ অনুকূল না হলে তা বন্ধের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হতে পারে।

এছাড়া, নির্বাচনী অপরাধে মামলা করার ছয় মাসের সময়সীমা বাড়ানো বা তুলে দেওয়ার সুপারিশ থাকতে পারে। তবে বিএনপি বলেছে, প্রস্তাবের বিস্তারিত দেখে প্রতিক্রিয়া জানাবে।

আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবে।

পত্রিকা

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘মুয়ীদের পদত্যাগে ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা কমিশন প্রধান ড. আবদুল মুয়ীদের পদত্যাগের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্যাডারদের ক্যাডার সার্ভিস থেকে আলাদা করার প্রস্তাবে বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তা নেওয়া হবে, যা বিদ্যমান ৭৫ শতাংশ কোটার তুলনায় কম।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কর্মকর্তারা কমিশন পুনর্গঠনের দাবি তুলেছেন।

এক যৌথ প্রতিবাদ সভায় প্রশাসন ক্যাডারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা কমিশনের প্রস্তাবকে ষড়যন্ত্রমূলক এবং বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছেন।

তারা কোটামুক্ত পদোন্নতি, ক্যাডারদের নিজেদের মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব প্রদান, এবং সমঅধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। সেইসাথে তারা ছয় দফা দাবির মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারিও করেন।

পরিস্থিতি শান্ত করতে সরকার কী পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি এখন সরকারের দিকে।

পত্রিকা

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘অনিশ্চিত প্রবাসীদের ভোট‘। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা কার্যকরের দাবি উঠলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সদস্য এই ব্যবস্থায় আস্থা না পাওয়ায় এ উদ্যোগে ভাটা পড়েছে।

তাদের শঙ্কা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মতো পোস্টাল ব্যালটও নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে পারে।

এই ব্যবস্থার অভাবে প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী ভোটার, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা, এবং বিভিন্ন কারণে নিজ এলাকায় উপস্থিত থাকতে না পারা ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন না।

পোস্টাল ব্যালট বাস্তবায়নের জন্য প্রবাসীদের অনলাইন মতামত আহ্বান করা হলেও খুব কম সাড়া পাওয়া গেছে।

পোস্টাল ব্যালট কার্যকরে প্রয়োজনীয় আস্থা অর্জনকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

পত্রিকা

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘ফিনিক্স পাখির মতো জেগেছে বিএনপি‘। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বছরের শুরুতে সংকটে পড়লেও বিএনপি এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মামলা, হামলা, নির্যাতন সহ্য করেও দলটি ভাঙেনি।

বিশেষ করে ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন শক্তিতে উজ্জীবিত হয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলটি আবারও শক্তিশালী হয়েছে।

নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। এর ফলে দেশে-বিদেশে কূটনৈতিক মহলে বিএনপির গুরুত্ব বেড়েছে।

তবে বিএনপির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলটি বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে। তারা চায় একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রোডম্যাপ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএনপির বড় ভূমিকা ছিল। এই আন্দোলনে দলটির নেতাকর্মীরা সামনে থেকে কাজ করেছেন।

পত্রিকা

ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘সীমান্তে আরাকান আর্মি বাড়ছে নিরাপত্তাঝুঁকি’। এ খবরে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হাতে। এ কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এবং নতুন করে রোহিঙ্গা ঢলের আশঙ্কা বেড়েছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৭০ কিলোমিটার এলাকাও এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন।

সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব না হলে, ‘ব্যাক চ্যানেল’ ব্যবহার করে সংলাপ চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। এছাড়া সীমান্তে মানবপাচার, মাদক পাচার ও নিরাপত্তা হুমকি বাড়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।

আন্তর্জাতিকভাবে আরাকান আর্মি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। ভারত, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে জানা গেছে। এতে বাংলাদেশ ভূরাজনৈতিক চাপে পড়তে পারে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরাকান আর্মির অবস্থান অনিশ্চিত। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের মাধ্যমে এই সংকট সমাধানের চেষ্টা করতে পারে।

এর পাশাপাশি বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সীমান্তে টহল জোরদার করেছে। নাফ নদীতে নৌযান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

পত্রিকা
বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘উন্নয়ন কর্মসূচিতে বড় কাটছাঁট‘। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য তুলনামূলক ছোট একটি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়ন করছে।

নতুন এডিপির আকার হবে দুই লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি বছরের তুলনায় মাত্র দুই শতাংশ বেশি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি ছিল দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, তবে এর থেকে ১৮ শতাংশ কমিয়ে সংশোধিত এডিপি দুই লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বছরের মাঝামাঝি সময়েও বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ খরচ করা সম্ভব হয়নি। জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত বাস্তবায়ন হার মাত্র ছয় শতাংশ।

অন্তর্বর্তী সরকার কিছু রাজনৈতিক প্রকল্প স্থগিত করায় এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। এডিপি বাস্তবায়নের হার বাড়াতে অর্থ বিভাগ বেশ কিছু সুপারিশ করলেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।

পত্রিকা

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, ‘One VAT rate for most products, services from next fiscal‘ অর্থাৎ, ‘আগামী অর্থবছর থেকে বেশিরভাগ পণ্য, পরিষেবার জন্য একই ভ্যাট হার হবে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগামী অর্থবছর থেকে বেশিরভাগ পণ্য ও সেবার উপর একক ১৫ শতাংশ ভ্যাট হার চালুর পরিকল্পনা করছে। এটি আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী ২০১২ সালে প্রণীত একটি আইন বাস্তবায়নের অংশ।

বর্তমানে পাঁচ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত হয়, এমন প্রায় ২০টি পণ্য ও সেবা এই মাসের মধ্যেই একক ১৫ শতাংশ ভ্যাটের আওতায় আসবে।

এছাড়া অনেক শিল্পে দেওয়া ভ্যাট ছাড় বাতিল এবং পরিপূরক শুল্ক বাড়ানোর আশঙ্কাও রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ক্ষেত্রে ভ্যাট হার কমিয়ে রাখার রীতি বজায় রাখা হতে পারে।

২০১২ সালে একক ভ্যাট হার চালুর পরিকল্পনা হলেও ব্যবসায়ীদের বিরোধিতার কারণে এটি স্থগিত হয়।

এবার আইএমএফ এর শর্ত পূরণের জন্য এটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

পত্রিকা

ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, ‘Too many landless, 6% large farmers command one fourth of total land‘ অর্থাৎ, ‘ব্যাপক ভূমিহীন, ৬% বড় কৃষক মোট জমির এক চতুর্থাংশের মালিক’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলেও জমির মালিকানায় এখনও বিশাল বৈষম্য রয়ে গেছে।

আইএফআরআরআই-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের ৪১ শতাংশ প্রান্তিক কৃষক মাত্র ১১ শতাংশ জমি পরিচালনা করেন, অথচ ছয় শতাংশ বড় কৃষক দেশের এক-চতুর্থাংশ চাষযোগ্য জমি নিয়ন্ত্রণ করেন।

জমিহীন কৃষকের সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। যেমন: গ্রামীণ অঞ্চলের ৫৬ শতাংশ পরিবার জমিহীন। অঞ্চলভেদে জমিহীনতার হার ভিন্ন; খুলনায় এটি ৪৭ শতাংশ যেখানে কিনা চট্টগ্রামে ৬৮ শতাংশ।

এর বড় কারণগুলোর মধ্যে একটি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ব্যাংক ঋণ পাওয়ার সুযোগ খুব কম। ২০২২ সালে প্রান্তিক কৃষকদের মাত্র দুই দশমিক সাত শতাংশ ব্যাংক ঋণ পেয়েছেন।

বেশিরভাগ কৃষক উচ্চ সুদে এনজিও বা স্থানীয় মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হন।

সেইসাথে কৃষি সম্প্রসারণ সেবায় বৈষম্য আরেকটি বড় কারণ। আইএফআরআরআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৩ শতাংশ কৃষক সম্প্রসারণ সেবা পান, তবে প্রান্তিক কৃষকদের এই সেবায় প্রবেশাধিকার মাত্র ১৬ শতাংশ।