Source : BBC NEWS

এক ঘন্টা আগে
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে প্রয়োজন জাতীয় সমঝোতা বা রিকনসিলিয়েশন।
এ জন্য ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, তবে কারা এর আওতায় আসবে তা পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে বলে তিনি জানান।
সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, সংবিধানের মূলনীতিতে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ রাখলেও ধর্মীয় সমতা ও স্বাধীনতা রক্ষা পাবে।
আনুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনের বিরোধিতা করে বিএনপি বলছে, এতে রাষ্ট্র পরিচালনায় জটিলতা ও অনিশ্চয়তা বাড়বে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাবে বিএনপি বিকল্প চিন্তা করছে যাতে বিচার বিভাগ না জড়ায়, কারণ অতীতে এর কারণে বিচার বিভাগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি নয়, বরং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা উচিত।
তিনি মনে করেন, সংসদের বাইরে সংবিধান সংস্কার আইনানুগ হবে না, তাই আগামী সংসদের মাধ্যমেই তা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা থাকলেও একে পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট বলা ঠিক নয়।
আওয়ামী লীগের বিচার আদালতের মাধ্যমেই হওয়া উচিত, কোনো নির্বাহী আদেশে নয়। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ ও আইন- তিনি বলেন।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, ‘Luxury housing market reels as political buyers vanish post-regime change‘ অর্থাৎ, ‘রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রাজনীতির ক্রেতারা উধাও হয়ে যাওয়ায় বিলাসবহুল আবাসন খাতে ধস’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বাজারে বড় ধস নেমেছে।
আগের সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, এমপি ও মন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ফলে, তারা যেসব বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন, সেগুলোর চুক্তি বাতিল হয়ে গেছে। অনেকেই কিছু কিস্তি দিয়ে আর টাকা দেননি এবং টাকা ফেরত চেয়ে ফ্ল্যাট ছাড়তে বলেছেন।
ঢাকার বারিধারার একটি ছয়তলা বিলাসবহুল প্রকল্পে এমন তিনজন সাবেক এমপি ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন, কিন্তু ছয়টি কিস্তি দিয়ে আর দেননি। এখন সেই ফ্ল্যাটগুলো ফের বিক্রি করার চেষ্টা চলছে।
গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বসুন্ধরা, নিকেতনসহ অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ৭০০টির বেশি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বিক্রি হলেও ওই বছরের অগাস্ট থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩৯টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট।
শুধু বিলাসবহুল নয়, মাঝারি ও সাধারণ ফ্ল্যাট বিক্রিও কমে গেছে। অনেক প্রকল্পে শত শত ফ্ল্যাট বিক্রির অপেক্ষায় আছে।
রিহ্যাব বলেছে, বাজার স্থিতিশীল করতে সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার। আগে যে গোপন অর্থ দিয়ে অনেকেই বিনিয়োগ করতেন, তা এখন বন্ধ হয়ে গেছে।
সরকার বলছে, বৈধ আয়ে ফ্ল্যাট কিনলে বাধা নেই, তবে অন্যভাবে সহায়তা করার সুযোগ তাদের হাতে সীমিত।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই মাসের গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আরও একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই ট্রাইব্যুনালটি বিদ্যমান ট্রাইব্যুনাল-১–এর পাশেই পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে বসবে, যার সংস্কার কাজ প্রায় শেষ। নতুন ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধসহ বিভিন্ন সময়ের গুম, খুন এবং জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার এখন চলমান ট্রাইব্যুনালে চলছে।
এসব মামলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে।
পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১-এ শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে তিনটি বড় মামলা চলছে।
একটি মামলায় তাকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে, অন্য দুটি মামলায় গুম-খুন ও হেফাজতের মিছিল দমনের ঘটনায় দায়ী করা হয়েছে।
এসব মামলার তদন্ত এখন প্রক্রিয়াধীন এবং ২৪শে জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
শহীদ পরিবারের সদস্যরা ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা মনে করে, এতে বিচারের গতি বাড়বে, তবে যথাযথ তদন্ত ও দক্ষ প্রসিকিউশন জরুরি।
বর্তমানে প্রসিকিউশন ও তদন্ত বিভাগে জনবল বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘর্ষ বাড়ায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশও বেড়েছে।
প্রতি মাসে গড়ে ছয় হাজারের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। জীবন রক্ষায় পালিয়ে আসা এই মানুষদের আশ্রয় ও মানবিক করিডরের প্রস্তাব দিয়েছে জাতিসংঘ, যা বাংলাদেশে নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
ইতিমধ্যে নতুন আসা এক লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া আরো পাঁচ থেকে ১০ হাজার অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা সীমান্ত এলাকায় রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের জন্মহারও বাড়ছে—প্রতিদিন প্রায় ৯০ জন শিশু জন্ম নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে এটি কেবল মানবিক নয়, বরং কৌশলগত নিরাপত্তার বড় হুমকি হয়ে উঠবে।
রাখাইন এলাকা আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর স্বার্থে স্পর্শকাতর। এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্য ও সংসদের অনুমোদন ছাড়া সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হতে পারে।
বিজিবির সীমান্ত নজরদারিতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে আধুনিক প্রযুক্তি, আলো ও অতিরিক্ত ব্যাটালিয়নের আবেদন করা হয়েছে।
বিজিবির মতে, শুধু তাদের পক্ষে অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব নয়, স্থানীয়দেরও সহায়তা প্রয়োজন। আশ্রয় না পেলে রোহিঙ্গারা এত সহজে প্রবেশ করত না।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
হামলার পেছনে কারা, তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চলছে। ভারত দাবি করছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা এই হামলার সঙ্গে জড়িত।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতই এই হামলার পরিকল্পনা করে পাকিস্তানকে দোষারোপ করতে চায়। হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টানা আট রাত ধরে গোলাগুলি হচ্ছে।
ভারত নিরাপত্তা জোরদার করে ব্যাপক তদন্ত চালাচ্ছে, ২৮০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং বহু এলাকায় অভিযান চলছে।
এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় বড় সামরিক মহড়া চালিয়েছে এবং যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে আজাদ কাশ্মিরে দুই মাসের খাদ্য মজুদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বহু ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
দুই দেশের রাজনীতিবিদ ও সেনাপ্রধানরা একে অপরকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, যার ফলে এই অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করছেন কেউ কেউ।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘266 journalists face criminal cases so far‘ অর্থাৎ, ‘এখন পর্যন্ত ২৬৬ জন সাংবাদিক ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৪ সালের ৫ই অগাস্টের পর বাংলাদেশে সাংবাদিক দমন-পীড়নের রূপ বদলে গেছে।
আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয় ছিল, এখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে খুন ও হামলার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হচ্ছে।
বিশেষ করে জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের পর সরকার যেভাবে দমন অভিযান চালিয়েছে, তাতে সাংবাদিকরাও প্রতিশোধের শিকার হচ্ছেন।
“দ্য ডেইলি স্টার”-এর এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের জুলাই-আগস্টের ঘটনায় অন্তত ২৬৬ জন সাংবাদিকের নামে মামলা হয়েছে।
ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ৮৮ জন, এরপর সিলেটে ৩৯ জন ও চট্টগ্রামে ৩৬ জন সাংবাদিক মামলা খেয়েছেন। এসব মামলার বেশিরভাগই রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক।
অনেক সাংবাদিক সরাসরি ঘটনার সময় ওই এলাকায়ই ছিলেন না, তবুও মামলার আসামি হয়েছেন। কেউ কেউ জেলে গেছেন, কেউ চাকরি হারিয়েছেন।
সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম ঘটনার সময় অন্যত্র থাকার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ১৬ দিন জেলে ছিলেন। অন্যদিকে, সাংবাদিক হেদায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে, যা তার অবস্থান অনুযায়ী অসম্ভব।
আরএসএফ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই মামলাগুলো সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর বড় হুমকি।
অনেক সাংবাদিক ভয়ে চুপ থাকছেন, কারণ হামলার শিকার হলেও বিচার মিলছে না। সংস্থাগুলো নিরপেক্ষ তদন্ত ও সাংবাদিকদের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার গণমাধ্যমের জন্য একটি নতুন সম্প্রচার আইন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
২০১৮ সালের খসড়া আইনের ভিত্তিতে তৈরি এই অধ্যাদেশে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের আইনে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ কোটি টাকা জরিমানার কথা থাকলেও নতুন খসড়ায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
খসড়া অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারে এমন কোনো গোপন তথ্য প্রকাশ করলে কঠোর শাস্তি হতে পারে।
তেমনি রাষ্ট্রবিরোধী বা জনস্বার্থবিরোধী কোনো সংবাদ বা বিজ্ঞাপন প্রচার করলেও জেল ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
লাইসেন্স ছাড়া সম্প্রচারে জড়িত হলে কিংবা নিষিদ্ধ পণ্য বা ধর্মীয় উসকানিমূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করলেও কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
এই আইনের অধীনে ‘সম্প্রচার ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করার কথাও বলা হয়েছে, যেখানে নির্দিষ্ট নিয়মে মামলা পরিচালিত হবে। তবে কেউ ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ করতে পারবে না, কমিশনের অনুমোদন ছাড়া।
খসড়া অনুযায়ী, মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের মালিকানা পরিবর্তনের ওপরেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে। আইন বাস্তবায়নে একটি কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে, যারা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত এবং সরকারের কাছে শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে।
তবে সরকার জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট মহলের মতামত নিয়ে আইনটি চূড়ান্ত করা হবে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়—সবখানেই শিক্ষার্থীরা নানা কারণে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছে। তুচ্ছ কারণেও সংঘর্ষ শুরু হচ্ছে এবং অনেক সময় প্রাণহানির মতো ভয়াবহ ঘটনাও ঘটছে।
যেমন ঢাকার বনানীতে হাসাহাসি নিয়ে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। নিরাপত্তার অভাব, প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং শিক্ষার্থীদের উসকানিমূলক আচরণ এসব ঘটনার মূল কারণ।
ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় একাধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে, যার ফলে সাধারণ মানুষও দুর্ভোগে পড়ছে।
এছাড়া চাকরি ও উচ্চশিক্ষার দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সারা দেশে আন্দোলনে নেমেছে।
একইভাবে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করা, রাজশাহীতে ট্রেন চলাচল বন্ধ—এসব আন্দোলনের ঢেউ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, সমাজের অস্থিরতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুর্বল প্রশাসন এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। সরকার সমস্যাগুলোর সমাধানে উদ্যোগ নিলেও কার্যকর পরিবর্তন এখনো দৃশ্যমান নয়।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে গ্যাসের ঘাটতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দৈনিক ৩৮০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ২৭০ কোটি ঘনফুট।
এর মধ্যে ১১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে, ফলে শিল্প, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনগুলো গ্যাস পাচ্ছে না।
এতে সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলের গার্মেন্টস, সিরামিক, ইস্পাত, রি-রোলিং ও টেক্সটাইল শিল্পে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
ব্যবসায়ীরা অর্ডার রক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবল বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে সংকটের সমাধান সম্ভব নয়, প্রয়োজন দেশীয় গ্যাস উত্তোলনে জোর দেওয়া।
এদিকে গ্রীষ্মে লোডশেডিং ঠেকাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ালেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।
গ্রামের অনেক এলাকায় এখনও লোডশেডিং চলছে। দেশের গ্যাস উৎপাদন এখন দৈনিক ১৭০ কোটি ঘনফুটে নেমেছে।
এলএনজি টার্মিনালের সংখ্যা বাড়ানোর পূর্ব পরিকল্পনা বাতিল হওয়ায় সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। নতুন টার্মিনাল স্থাপন সময়সাপেক্ষ হওয়ায় দ্রুত সমাধান কঠিন।
পেট্রোবাংলা জানায়, তিতাস ও বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকেও সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। সব মিলিয়ে, দেশে গ্যাস-সংকট সামনের দিনে আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সারা দেশে এখন ৭০টি ট্রেন বন্ধ রয়েছে, যার মূল কারণ ইঞ্জিন ও কোচ সংকট। এসব ট্রেনের মধ্যে রয়েছে কমিউটার, লোকাল, মেইল, মিশ্র ও শাটল ট্রেন, যা সাধারণত স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বে চলত এবং স্বল্প আয়ের মানুষদের যাতায়াতে বড় ভরসা ছিল।
করোনা মহামারির সময় বন্ধ হওয়া অনেক ট্রেন এখনো চালু হয়নি। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ মেইল ট্রেন বন্ধ থাকায় সেখানকার মানুষের যাতায়াতে খরচ ও দুর্ভোগ বেড়েছে।
রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল দুই এলাকাতেই বহু ট্রেন বন্ধ রয়েছে, যার ফলে প্রতিদিনের যাত্রীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
অতিরিক্ত ভিড় ও ছাদে যাত্রী ওঠা এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, কোচ ও ইঞ্জিন সংকট ছাড়াও চালক ও জনবল কম থাকায় ট্রেনগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে। রেলের অনেক ইঞ্জিন পুরোনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় চালু করা যাচ্ছে না।
রেলওয়ে নতুন ইঞ্জিন কেনার উদ্যোগ নিয়েছে এবং প্রথম ধাপে ৩০টি ইঞ্জিন কেনার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
যদিও কিছু নতুন ট্রেন চালু হয়েছে, কিন্তু পুরোনো ট্রেনগুলো আবার চালু করতে সময় লাগবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রেলের উন্নয়ন একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া এবং তাৎক্ষণিক সমাধান আশা করা ঠিক নয়।