Source : BBC NEWS

ছবির উৎস, Asif Mahmud Shojib Bhuyain/ Facebook
সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবা বিল্লাল হোসেনের ঠিকাদারি লাইসেন্স।
বিল্লাল হোসেনের
আবেদনের পর লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে
ক্ষমা চেয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এ সময় তার বাবার লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি
তিনি নিশ্চিত করেন।
আসিফ মাহমুদ তার
ফেসবুক স্ট্যাটাসে শুরুতেই তার বাবার ভুলের জন্য “ক্ষমা প্রার্থনা” করেন।
ফেসবুক পোস্টে
তিনি লেখেন, “গতকাল (বুধবার) রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে
ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত
হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত)
একটি লাইসেন্স করেছেন”।
তিনি লেখেন. “বিষয়টি
ওই সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা
আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম”।
আসিফ জানান, তার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক।
স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে তার বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য তাকে
লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন।
“বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি
ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের
যেকোনো ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোনো লাইসেন্স করতেই পারেন। তবে তিনি
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো
স্পষ্টভাবেই ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বা স্বার্থের সংঘাত,” লিখেছেন মি. আসিফ।
বিষয়টি বোঝার পর আজ (বৃহস্পতিবার) তার বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি
বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী
সরকারের এই উপদেষ্টা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি
বুঝতে পারেননি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা
করছি।’
এই লাইসেন্স ব্যবহার করে মধ্যবর্তী সময়ে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি
বলেও ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।