Source : BBC NEWS

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন বলছে, উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে লড়াই করছে

ছবির উৎস, Getty Images

উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীতে থাকার সময়ের যেসব স্মৃতি হ্যানেউলের মনে গেঁথে আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি তার মনে পড়ে অনবরত ক্ষুধা লাগার দিনগুলোর কথা। চাকরিতে যোগদানের প্রথম মাসেই তার ১০ কেজি ওজন কমে গিয়েছিল। কারণ সেখানে খাবার হিসাবে দেওয়া হতো ফাটা ভুট্টা ও পচা বাঁধাকপি।

তিনি জানান যে প্রশিক্ষণের তিন মাসের মাথায় তার পুরো ব্যাটালিয়ন অপুষ্টিতে ভুগছিল এবং তাদের অনেককেই ওজন বাড়ানোর জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল।

পরে তাদেরকে যখন দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে ফ্রন্টলাইন গার্ড বা সম্মুখসারির প্রহরী হিসাবে মোতায়েন করা হয়, তখন তাদেরকে ভুট্টার বদলে ভাত দেওয়া শুরু হয়।

কিন্তু বাটিতে তাদের জন্য ভাত দিলে অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকা ইউনিটগুলো তার বেশিরভাগটাই নিয়ে নিতো। ফলে বাটি এসে পৌঁছাতে পৌঁছাতে অবশিষ্ট যতটুকু ভাত থাকতো, তার সঙ্গে বালি মেশানো থাকতো।

হ্যানেউল বলেন, যেসব ইউনিটে সবচেয়ে ভালো খাবার দেওয়া হতো, তার ইউনিট সেগুলোর অন্যতম। এটি করা হয়েছিল যাতে তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে না যায়।

যদিও ওই উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত হ্যানেউলকে পালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি।

তিনি ২০১২ সালে জীবন বাজি রেখে ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজেড) অতিক্রম করেন। এটি মূলত দুই কোরিয়াকে পৃথককারী বিভাজন রেখা। এখানে রাষ্ট্র, সামরিক শক্তি বা প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চুক্তি বা সামরিক স্থাপনা, কার্যকলাপ বা কর্মী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

হ্যানেউল ও উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর অন্যান্য পলাতকদের অভিজ্ঞতা আমাদেরকে এটা বুঝতে অন্তত সাহায্য করে যে উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার সম্মুখসারির প্রহরী রাশিয়ায় অবস্থান করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কোন অবস্থায় যুদ্ধ করে যাচ্ছে।

আরও পড়তে পারেন:
হ্যানেউল

ছবির উৎস, BBC/Hosu Lee

উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনের আক্রমণে দখল হয়ে যাওয়া রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের একটি অংশ পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে প্রায় ১১ হাজার সেনা পাঠিয়েছে।

এই সপ্তাহের শুরুতে সোল, ওয়াশিংটন ও কিয়েভ জানিয়েছে যে প্রচুর সংখ্যক সেনা ওই যুদ্ধে যোগ দিয়েছে এবং হতাহতদের খবরও এসেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ইতোমধ্যে শতাধিক সৈন্য নিহত হয়েছেন, আরও অনেকে আহত হয়েছেন। যদিও এই পরিসংখ্যানটি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।

তবে, পলাতক এবং অন্যান্য সামরিক বিশেষজ্ঞরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার এই সৈন্যদেরকে অবমূল্যায়ন করা বা অবহেলার চোখে দেখা উচিত নয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ সেনা এলিট স্টর্ম কর্পস ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত এবং তাদের মনোবল দৃঢ়। যদিও আধুনিক যুদ্ধের বিষয়ে তাদের খুব বেশি জ্ঞান নেই।

পলাতক লি হিউন সিউং বলেন, যাদের উচ্চতা বেশি এবং যারা শারীরিকভাবে দক্ষ, শুধুমাত্র তাদেরকেই স্টর্ম কর্পসের জন্য নির্বাচন করা হয়। মি. সিউং ২০০০ সালের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়ার স্পেশাল ফোর্সকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য ২০১৪ সালে তিনি পালিয়ে আসেন।

তাদেরকে তিনি মার্শাল আর্ট থেকে শুরু করে ছুরি চালানোর কৌশল, রান্নাঘরের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে অস্ত্র তৈরি করতে শিখিয়েছিলেন।

যদিও স্টর্ম কর্পসের প্রশিক্ষণ উত্তর কোরিয়ার অন্যান্য সাধারণ ইউনিটের চেয়ে আধুনিক। তবুও এই কর্পসের সেনারা অপুষ্টিতে ভুগে।

রাশিয়ায় মোতায়েন করা সৈন্যদের কিছু অনলাইন ভিডিও হ্যানেউল দেখেছেন। সেখানে তরুণ ও “দুর্বল” সেনাদের দেখা যাচ্ছিল। এগুলো পিয়ং ইয়ং-এর প্রচারিত ভিডিও’র বিপরীত। তারা যেসব ভিডিও প্রচার করেছে, সেগুলোতে পুরুষদেরকে লোহার শেকল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে এবং এক ঘুষিতে বরফের ব্লক ভেঙ্গে ফেলতে দেখা যায়।

হ্যানেউল বলেন যে সেনাবাহিনীতে থাকার পুরোটা সময় তিনি একবার মাত্র তিনটি গুলি করেছিলেন। সেটিও শুধুমাত্র অস্ত্র চালানো’র প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুবাদে।

সেসময় ডিএমজেডে (ডিমিলিটারাইজড জোন) ঢুকে এক ক্ষুধার্ত কৃষক শাকসবজি খুঁজছিল। হ্যানেউল বলেন, তখন অনুপ্রবেশকারীদের উপর গুলি করার নির্দেশনা উপেক্ষা করে ওই কৃষককে তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন।

লি হিউন সিউং

ছবির উৎস, BBC/Maxine Collins

হ্যানেউল পালিয়ে যাওয়ার পর গত এক দশকে উত্তর কোরিয়ার পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তন হয়েছে, তা বলা কঠিন। কারণ উত্তর কোরিয়া থেকে তথ্যের প্রবাহ খুবই সীমিত।

তবে মনে করা হচ্ছে, দেশটির শাসক কিম জং উন তার সীমিত সম্পদের বেশিরভাগটাই ব্যয় করছেন ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য, দেশের সেনাবাহিনীর জন্য় নয়।

কিন্তু ২০১৯ সালে পালিয়ে যাওয়া আরেক সৈন্য রিউ সেওংহ্যুন বলেন যে, সেনাবাহিনীতে প্রথম তিন বছর “অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন”, এমনকি স্পেশাল ফোর্সের জন্যও।

সাত বছর বিমান বাহিনীতে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেছেন ২৮ বছর বয়সী রিউ। তিনি জানিয়েছেন যে তাদের সময় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এমনকি, ধীরে ধীরে খাবার হিসাবে ভাত দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

“সৈন্যদের কয়েকদিনের জন্য অল্প পরিমাণ চাল দিয়ে পর্বতাঞ্চলে পাঠানো হয় এবং বলা হয় যে এটা তাদের সারভাইভাল ট্রেনিংয়ের (বেঁচে থাকার প্রশিক্ষণ) অংশ।”

যেহেতু এই সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কোরিয়ার উপদ্বীপের পর্বতাঞ্চলে যুদ্ধ করার জন্য, সেহেতু পলাতক সেনারা এখন প্রশ্ন তুলেছেন, তারা রাশিয়ায় কুরস্কের সমতলভূমি ও পরিখার মতো স্থানে কীভাবে মানিয়ে নেবেন?

মূখ্য বিষয় হলো, স্টর্ম কর্পস ফ্রন্টলাইন ইউনিট নয়। “তাদের মিশন হলো শত্রুর সীমানায় অনুপ্রবেশ করে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা,” বলেন রিউ।

তিনি আরও বলেন, কিম জং উনের কাছে স্পেশাল ফোর্স পাঠানো ছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না। কারণ সাধারণ সৈন্যদের বেশিরভাগই কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করে, কেউ কেউ কাঠ কাটে।

“কিম জং উনকে এমন কিছু সেনা পাঠাতে হয়েছিল, যারা অন্তত কিছুটা হলেও যুদ্ধের সক্ষমতা দেখাতে পারবে, যাতে রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”

বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:
পালিয়ে যাওয়া সৈন্য রিউ সেওংহ্যুন

ছবির উৎস, BBC/Hosu Lee

ভাষাগত প্রতিবন্ধকতাও একটি বাড়তি সমস্যা তৈরি করেছে। গত রোববার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা ইউনিট জানিয়েছে যে যোগাযোগের সমস্যার কারণে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা ভুল করে একটি রাশিয়ান ব্যাটালিয়নে গুলি চালায়, যার ফলে আট জন নিহত হয়েছে।

এতে সহজেই মনে হতে পারে যে, এই সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে শুধু ঘুটি হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং এটি আসলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হতাশার নিদর্শন।

কিন্তু পলাতক সৈন্যরা বলেন, এরকম ধারণা করে নেওয়া ভুল হবে। শাসন ব্যবস্থার প্রতি সৈন্যদের আনুগত্য এবং লড়াইয়ের মনোবল অনেক কিছু হিসাব করবে।

“স্টর্ম কর্পসের অধিকাংশ সৈন্যই শ্রমিক বা কৃষক পরিবার থেকে আসে, যারা দলের প্রতি অত্যন্ত অনুগত এবং প্রশ্নাতীতভাবে আদেশ মেনে চলে,” বলেন হ্যানেউল, যার বাবা ও চাচা ছিলেন স্পেশাল ফোর্সে।

প্রতিদিন সকালে অনুষ্ঠিত তীব্র মতাদর্শিক “মগজ ধোলাই” সেশন তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখতে আরও সাহায্য করবে, বলেন লি।

তিনি বিশ্বাস করেন, উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা “যুদ্ধক্ষেত্রের সাথে অভ্যস্ত হবে, শত্রুর সঙ্গে লড়াই করার কৌশল শিখবে এবং বাঁচার উপায় খুঁজে নেবে।”

রাশিয়ায় মোতায়েন হওয়ার ব্যাপারে সৈন্যদের কিছু করার ছিল না বলে মনে করেন রিউ। তার মতে, অনেকেই চলে যেতে চেয়েছিল। তবে উচ্চাকাঙ্ক্ষী সৈন্যরা এটিকে তাদের ক্যারিয়ারে উন্নতির একটি সুযোগ হিসেবে দেখবে, এও বলেন তিনি।

এবং, যেহেতু উত্তর কোরিয়ায় সেনাবাহিনীতে কাজ করা অত্যন্ত কঠিন, কিছু সৈন্য হয়তো প্রথমবারের মতো বিদেশে জীবনের অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ পেয়ে উল্লাসিত হয়েছেন।

“আমি মনে করি, রাশিয়ার সৈন্যদের চেয়ে লড়াই করতে বেশি আগ্রহী হবে তারা,” তিনি বলেন এবং এটিও স্বীকার করেন যে তিনি যদি থাকতেন, তাহলে তিনিও এই পরিস্থিতিতে আগ্রহী হতেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার স্পেশাল ফোর্সের সাবেক কমান্ডার চুন ইন-বাম পলাতকদের এই পর্যবেক্ষণের সাথে একমত। “যতই তারা খাবারের অভাবে থাকুক আর প্রশিক্ষণে দুর্বল হোক, তা তাদের অক্ষম করে তোলে না। তারা দ্রুত মানিয়ে নেবে। আমাদের তাদের অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।”

তবে ১১ হাজার সৈন্য এই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে না, ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়া প্রতিদিন এক হাজারের বেশি হতাহতের সম্মুখীন হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা মনে করেন, এটি কেবল প্রথম ধাপ হতে পারে এবং উত্তর কোরিয়া আরও ৬০ হাজার বা এক লাখ সৈন্য পাঠাতে সক্ষম।

এছাড়া, সাবেকসৈন্যরা এও বলেন যে কিম জং উন বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হলেও তিনি তার শাসন ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হবেন।

উত্তর কোরিয়ার সেনাদের প্রশিক্ষণ

ছবির উৎস, Reuters

“যাদেরকে পাঠানো হয়েছে, তারা কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি নয় – সরাসরি বলতে গেলে, তারা এমন মানুষ, যাদেরকে সহজেই বিসর্জন দেওয়া যেতে পারে,” বলেন হ্যানেউল।

তিনি মনে করেন, ফ্রন্টলাইন ইউনিটে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কোনও সন্তান ছিল না। “তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা বর্জ্য,” তিনি বলেন।

তিনি আশা করেন না যে নিহত সৈন্যদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনও প্রতিবাদ করবে। বরং, তাদের ছেলের জন্য তারা গর্ববোধ করবে, সম্মানিত হবে।

“অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানকে সেনাবাহিনীতে পাঠিয়ে হারিয়েছেন,” তিনি বলেন।

তার চাচাতো ভাইয়ের কথা মনে করেন তিনি, যিনি মারা গিয়েছিলেন। মৃত্যুর পর তার চাচা একটি সনদ পেয়েছিলেন, যেখানে তার ছেলের বীরত্বপূর্ণ অবদানের প্রশংসা করা হয়।

সৈন্যদের আনুগত্য ও তাদের পরিবারের মনোভাব ইউক্রেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার এই ধারণা ভেঙ্গে দিতে পারে যে তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর পালিয়ে যাবে।

সৈন্যদের উপর সাইকোলজিক্যাল অপারেশন পরিচালনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে কিয়েভ ও সোল।

তবে মনে করা হচ্ছে, তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারে না।

ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার মতে, শুধু উত্তর কোরিয়া না, উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের সাথে দেখা করার আগে রাশিয়ার সৈন্যদের ফোনও বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়।

রিউ ও হ্যানেউল দু’জনেই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ায় পাঠানো সরকার-বিরোধী প্রচারণা পড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু রাশিয়ায় এমন কিছুু কাজ করবে কি না তাদের সন্দেহ আছে।

তারা বলেন, পালানোর সাহস ও ইচ্ছা সঞ্চার করতে অনেক সময় লাগে।

এছাড়া, হানউলের মতে, অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে যারা পালানোর চেষ্টা করবে তাদের গুলি করতে হবে। তিনি মনে করেন, তার সহকর্মীরা যখন তাকে ডিএমজেড পার করার জন্য দৌঁড়াতে দেখেছিল, তখন তারা গুলি ছুঁড়েছিল।

“বারোটি গুলি আমার মাথার উপর থেকে মাত্র এক মিটার দূরে চলে যায়,” তিনি বলেন।

এমনকি, উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের বন্দী করাটাও ইউক্রেনের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

উত্তর কোরিয়ায় যুদ্ধবন্দী হওয়া একটি অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয় এবং মৃত্যুর চেয়েও খারাপ বলে মনে করা হয়। এর পরিবর্তে, সৈন্যদের শেখানো হয় যে তারা নিজেরাই নিজেকে গুলি করে অথবা নিজের উপর গ্রেনেড বিস্ফোরণ করে নিজেদের জীবন শেষ করতে পারে।