Source : BBC NEWS

সংস্কার নিয়ে মতবিরোধ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

সেই হিসেবে বলা যায় এই সরকারের মেয়াদ আর বাকি আছে এক বছর থেকে সবোর্চ্চ দেড় বছর।

কিন্তু এর মধ্যেই সংস্কারের বিভিন্ন প্রস্তাব তৈরি হচ্ছে।

ফলে এক থেকে দেড় বছরের যে সময়টা সরকারের হাতে আছে, সেই সময়ের মধ্যে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের বলেই মনে করেন অনেকে।

যেসব চ্যালেঞ্জ আসতে পারে

সংস্কার নিয়ে অন্তত তিনটি চ্যালেঞ্জ এখন প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে।

এক. সংস্কারের প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি করা।

কমিশন রিপোর্ট দিলে অন্তর্বর্তী সরকার সেটা নিয়ে সরাসরি বাস্তবায়নে নামতে পারবে না। কারণ তাতে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে হতে পারে।

সুতরাং সংস্কার প্রস্তাব হাতে আসলেও শেষ পর্যন্ত সংস্কার কোন কোন খাতে, কীভাবে হবে তা নিয়ে সরকারকে বসতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে।

দুই. সংস্কার ব্যাপকভাবে হবে নাকি স্বল্প পরিসরে হবে সেটা নিয়েও দলগুলোর সঙ্গে সরকারকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।

তিন. সংস্কার এই সরকার করবে নাকি নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার করবে এই বিষয়গুলো নিয়েও আছে নানা মত।

সম্প্রতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন সেখানেও এটা ফুটে উঠেছে।

ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি প্রধান সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে বারবার আবেদন জানিয়ে আসছেন।

“রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে আমাদেরকে যদি, আবার বলছি ‘যদি’, অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে,” বলেছেন তিনি।

তার ভাষণেই স্পষ্ট সংস্কার ‘অল্পকিছু’ হবে নাকি ‘প্রত্যাশিত মাত্রায়’ হবে সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

আরো পড়তে পারেন
জাতীয় সংসদ ভবন

রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন বিবিসি বাংলাকে বলেন, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ছাড়া সরকারের পক্ষে সংস্কার নিয়ে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হবে। কারণ বিএনপি’র মতো দলগুলো নির্বাচনে গুরুত্ব দিচ্ছে।

“এখানে কমিশন যখন সবগুলো রিপোর্ট দিয়ে দেবে তখন রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে পৌছানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এরসঙ্গে চ্যালেঞ্জ হবে এই সংস্কার প্রস্তাবে হয়তো কিছু মানুষ বা গোষ্ঠীর কথা বাদ পড়ে যেতে পারে। কিন্তু তাদেরও তো কথা থাকবে। সেগুলোকে আমলে নেয়া।”

তবে এর বাইরে আরেকটি চ্যালেঞ্জের কথা বলছেন সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান।

“এখন সংস্কার করা জরুরি কাজ, কিন্তু সেটা চ্যালেঞ্জের। কারণ আপনি কোথায় সংস্কার করবেন, কীভাবে সংস্কার করবেন সেগুলোর প্রসেস ঠিক করা। এছাড়া সংস্কার হচ্ছে একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা অনেকদিন করিনি বলে আমোদের ওপর এখন চাপ বেড়েছে।”

কমিশনগুলোর রিপোর্ট জমা হবে কবে?

বাংলাদেশে সংস্কারের জন্য সরকার ইতোমধ্যেই ১১টি কমিশন গঠন করেছে। এরমধ্যে প্রথম ছয়টি কমিশনের রিপোর্ট দেয়ার কথা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।

বাকিগুলোর রিপোর্ট দেয়ার কথা ফেব্রুয়ারি নাগাদ।

কিন্তু একদিকে এসব কমিশন নির্দিষ্ট সময়ে রিপোর্ট জমা দিতে পারবে কি না সেটা নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে, তেমনি এসব সংস্কারের অনেকগুলোতেই আছে নানা জটিল হিসাব-নিকাশ।

যেখানে একটা বড় আলাপ হচ্ছে, সংবিধান সংস্কার নিয়ে।

শুরুতে সংবিধান সংস্কার হবে নাকি নির্বাচন কমিশন– সেটা নিয়ে নানা আলাপ তো আছেই, সংস্কার কমিশন কী কী বিষয়ে প্রস্তাবনা তুলে ধরে সেগুলোও দেখার বিষয়।

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য কিংবা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংস্কার ইত্যাদি নানা বিষয়ে কোন দলের শেষ পর্যন্ত কী মত থাকবে তা নিয়ে সংশয় আছে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ অবশ্য বলছেন, তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেবেন বলে আশা করছেন।

তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, যথাসময়েই কমিশন রিপোর্ট দিতে পারবে। এখানে আমাদের রিপোর্টে আমরা স্পষ্ট বলবো কী কী সংস্কার করা দরকার। এখন কীভাবে সেই সংস্কার করা হবে সেটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য তৈরি করে সরকারকেই এগিয়ে যেতে হবে।”

“এখন এর কোন অংশটা এই মুহূর্তে করা দরকার সেটা ঐকমত্যের ভিত্তিতেই হতে হবে। আমাদের কাজ হচ্ছে এমনভাবে এই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো তৈরি করা যেগুলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে, ক্ষমতা এককেন্দ্রিক করবে না এবং জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করবে” বলেন তিনি।

তবে সংবিধান সংস্কারে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই সংস্কার করতে হলে আরও কিছু সংস্কারেও হাত দিতে হবে। এ বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন,

“গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাসহ যেসব বিষয় সংস্কারে আসবে সেগুলো করতে হলে কী লাগবে? এখানে প্রথমেই যেটা লাগবে সেটা হচ্ছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, নির্বাচনের এমন ব্যবস্থা করতে হবে যেন মানুষ ভোট দিতে পারেন।”

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে পারবেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ

সংস্কার কে করবে?

নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ, আইন ও বিচার বিভাগ, সংবিধানসহ যেসব খাতে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো দুয়েক মাসে সম্ভব নয়।

আবার রাজনৈতিক দলগুলোর একটা বড় অংশ বিশেষত বিএনপি সংস্কারের অপেক্ষা না করে দ্রুত নির্বাচনে আগ্রহী।

এটা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কথা বললেও ঐকমত্য যে সহজ হবে না তা ইতোমধ্যেই স্পষ্ট।

ফলে এটাই এখন বড় প্রশ্ন যে সংস্কার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করবে নাকি নির্বাচনের পর নতুন সংসদ করবে?

বিএনপি এক্ষেত্রে নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলছে।

জানতে চাইলে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বিবিসি বাংলাকে বলেন, তারা সংস্কারের বিপক্ষে নন। নির্বাচনের জন্য কিছু সংস্কার হতেই পারে। কিন্তু মূল সংস্কার হতে হবে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে।

“আগে রিপোর্টগুলো আসুক। রিপোর্টগুলো নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা হতে পারে। তাতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ধরেন এখন সংস্কার রিপোর্ট নিয়ে বাস্তবায়ন করলেন, কার কাছে অনুমতি নিয়ে বাস্তবায়ন করলেন?”

“ভোট যদি না হয়, পার্লামেন্ট যদি না থাকে তাহলে এই সংস্কারটা কার কাছে কোথায় পাশ করবেন? প্রেসিডেনসিয়াল অর্ডার দিয়ে? কিন্তু সেটাও তো পরে পার্লামেন্টে নিতে হবে, তখন আবার সংসদে আলোচনা করতে হবে। সেজন্যেই আমরা বলছি, নির্বাচনের পরেই সংসদে আলাপ হোক, তখনই ঠিক করা হোক,” বলছিলেন মি. টুকু।

তবে কোনো কোনো দল আবার নির্বাচনের আগেই সংস্কার চায়।

বিশেষত জামায়াতে ইসলামী বেশ স্পষ্ট করেই সংস্কারের কথা বলছে।

গত বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারা যৌক্তিক সময় দিতে চান।

জামায়াতের আমির মি. রহমান বলেন, “দেশের মানুষ কিছু মৌলিক বিষয়ে সংস্কার চায় যাতে আগামীতে আবার কোনো স্বৈরতন্ত্র কায়েমের সুযোগ না থাকে।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচনের জন্য তিন মাস কিংবা পাঁচ বছর, এমন কোনো সময় আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বেঁধে দেইনি। আমরা সংস্কারের যৌক্তিক সময়ের কথা বলেছি। উপদেষ্টারা বিবেকবান মানুষ, তারা বুঝতে পারেন কতটুকু সময় প্রয়োজন।”

আবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকেও সংস্কারে জোর দেয়া হচ্ছে।

তারা মনে করছেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে নির্বাচনের আগে সংস্কার না করলে পরে এটা অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।

জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিবিসি বাংলাকে বলেন, সংস্কার ভোটের আগেই হওয়া দরকার।

“ভোট বড় না রক্ত বড়? যদি ভোট বড় হতো তাহলে মানুষ ভোটের জন্য রাস্তায় নামতো। সেটা সাতই জানুয়ারিতে মানুষ তো নামে নাই। কেন নামে নাই? কারণ মানুষ মনে করেছে, তারা যে লড়াই করবে, ভোট দেবে, সে ভোটের মাধ্যমে যাকে নির্বাচিত করে আনবে, এর মাধ্যমে কতটা পরিবর্তন আসবে সে আস্থা, বিশ্বাস মানুষের মধ্যে ছিল না। ফলে তারা নামে নাই।”

“৫৩ বছরের অভিজ্ঞতা আমাদের বলে যে নির্বাচিত বা অনির্বাচিত সরকার কিংবা সেনাশাসন হোক, কোনো ফর্মেটেই এ সংস্কারের কাজ কেউ করতে পারেনি। এটা নব্বইয়ে এসেছিলো, একাত্তরে এসেছিলো। চব্বিশের পরে এখন যে সুযোগটা এসেছে, সেটা তরুণ প্রজন্ম মিস করবে না,” বলছিলেন মি. পাটওয়ারী।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

তাহলে সমাধান কী?

রাজনীতি বিশ্লেষকদের কাছে দুই ধরনের মত পাওয়া যাচ্ছে।

প্রথমটি হচ্ছে, বিস্তারিত সংস্কারে হাত না দিয়ে নির্বাচনের পরই সংস্কার শুরু করা।

এক্ষেত্রে কারণ হিসেবে উঠে আসছে প্রথমত দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান অনৈক্য এবং দ্বিতীয়ত সংস্কার বাস্তবায়নে নানা চ্যালেঞ্জ আসবে, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে বিভিন্ন খাতে। তখন সেসব সামাল দেয়ার সক্ষমতা নাও থাকতে পারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। তখন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।

জানতে চাইলে সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেন, দলগুলো না চাইলে সরকারের পক্ষে সংস্কার করা সম্ভব হবে না।

“দেখেন সরকারের এখন নানা দুর্বলতা আছে। জনপ্রশাসনের কিছু সংস্কার প্রস্তাব প্রকাশ হওয়ার পর ক্যাডারগুলোর মধ্যে বিক্ষোভ, অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। সংস্কার করতে গেলে অন্যান্য খাতেও এমন হতে পারে। তখন রাজনৈতিক সমর্থন না থাকলে সরকার কি সেটা সামাল দিতে পারবে?” বলছিলেন মি. খান।

“সরকার এখানে একটা কাজ করতে পারে, তাদের কাছে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিশ্রুতি দিতে পারে যে ক্ষমতায় গেলে তারা এগুলো বাস্তবায়ন করবে। এই প্রতিশ্রুতি তারা দেবে জনগণের সামনে, মিডিয়ার সামনে এবং প্রতিশ্রুতির আলোকেই তারা গঠনতন্ত্র এবং তাদের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন করবে,” যোগ করেন তিনি।

দ্বিতীয় যে মত পাওয়া যাচ্ছে সেটা হচ্ছে, বিরোধিতা হলেও নির্দিষ্ট কিছু সংস্কার করে ফেলা। যেমন নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ ইত্যাদি।

“কিছু সংস্কার কিন্তু হতেই হবে। কারণ তা না হলে আমরা যে কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের কথা বলছি, সে নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে না। আমরা যে কাঙ্ক্ষিত ন্যায়বিচারের কথা বলছি, সে ন্যায়বিচারটা পাবো না,” বলেন রাজনীতি বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীন।

সংস্কার নিয়ে কমিশনগুলো যেসব প্রস্তাব তৈরি করছে, শেষপর্যন্ত তার চেহারা কেমন হবে সেটা স্পষ্ট নয়।

আবার জনপ্রশাসনের মতো কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংস্কারের দুয়েকটি বিষয়ে আগাম বিক্ষোভ-বিরোধিতাও দেখা যাচ্ছে।

ফলে জনপ্রশাসন, পুলিশের মতো খাতে সংস্কার কী প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেটা কতটা সামাল দিতে পারবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন।

এরসঙ্গে পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে যদি সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি না হয়।