Source : BBC NEWS

এক ঘন্টা আগে
বিভিন্ন অবকাঠামোর কিছু কাজ বাকি থাকলেও এই পথে নিয়মিত বাণিজ্যিক ট্রেন চলছে। তবে এই প্রকল্পে অর্থায়নকারী চীনের এক্সিম ব্যাংক শেষ পর্যায়ে ঋণের অর্থ ছাড় না করায় ঠিকাদারের বিল পরিশোধ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে এই খবরে বলা হয়েছে, চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণের অর্থ ছাড় না করায় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১০টি বিল বাবদ ঠিকাদারের প্রায় ১ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। অর্থ ছাড়ের জন্য ব্যাংকটিকে গত বছর থেকে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তিন থেকে চারবার এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি, ঋণের অর্থও ছাড় হয়নি।
প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঋণের মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত । এই সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করে বিল পরিশোধ করতে হবে , না হলে জটিলতা তৈরি হবে।

এই খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগেই যদি কেউ পদ হারান, সেটা এক দিনের জন্য হলেও একবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন বলে গণ্য হবে। তিনি পরবর্তী সময়ে আরেকবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। সেবারও যদি সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগে পদ হারান, তা দু’বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ঐকমত্য কমিশন সূত্র পালন করেছেন গণ্য হবে।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে সমকালের খবরে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো দু’বার এবং মেয়াদের ফারাক ধরতে পারেনি। বিএনপি বলছে, কেউ পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। এক মেয়াদ বিরতি দিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। জামায়াতেরও মত, দু’বার নয়, দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
গত ২০ এপ্রিল বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন নতুন প্রস্তাব করে- জীবনে তিনবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তবে টানা দু’বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না। দু’বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর বিরতি দিয়ে তৃতীয় এবং শেষবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে। তবে এ প্রস্তাবেও একমত হয়নি বিএনপি।

এই খবরে বলা হয়েছে, গত বছর ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আহত হওয়ার ঘটনায়ও অনেক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রকৃত আসামি, সন্দিগ্ধ ব্যক্তির পাশাপাশি হয়রানিমূলকভাবেও অনেককে আসামি করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, অন্যত্র থাকা মানুষ ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিও রয়েছেন।
খবরে বলা হয়, কোথাও কোথাও সাজানো ঘটনার পাশাপাশি কোথাও সত্য ঘটনার মামলায় এ রকম অনেককে আসামি করে ‘মামলা–বাণিজ্য’ হচ্ছে। মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আশ্বাস, ভুলবশত আসামি করা হয়েছে মর্মে হলফনামা দিয়ে ও পুলিশ প্রতিবেদনে নির্দোষ দেখানোর প্রতিশ্রুতিসহ নানাভাবে এই বাণিজ্য করার অভিযোগ যেমন আছে, আবার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েও কাউকে কাউকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগও রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতসহ বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ১ হাজার ৪৯৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলা ৫৯৯টি। অন্যান্য ৯০০টি। এসব মামলায় ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা মামলার মধ্যে অনেকগুলোর তদন্তে অগ্রগতি আছে বলেও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।

‘Over 12,700 arrested in eight days’ শিরোনামে ডেইলি স্টার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, গত আট দিনে দেশে ১২,৭০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের সদর দপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে ৭,৯০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে নিয়মিত মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে, আর প্রায় ৪,৭০০ জনকে অন্যান্য মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। পুলিশ ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাশ মিছিলের পর তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই খবরে বলা হয়, বর্তমানে সারাদেশে বিশেষ অভিযান চলার কারণে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া নিয়মিত মামলা এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
ডেইলি স্টার গত ২৩ এপ্রিল রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো বিশেষ অভিযানের গ্রেফতার সংক্রান্ত একটি তালিকা হাতে পেয়েছে। তালিকার প্রথম কলামে লেখা রয়েছে “স্থিতিশীলতা নষ্টের উদ্দোক্তা/পরিকল্পনাকারী/সহযোগীদের গ্রেফতার”, আর অন্য কলামগুলো অবৈধ অস্ত্র, চোরাচালান, ডাকাতি ও ছিনতাই এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযানের তথ্য নিয়ে তৈরি।

কাশ্মীরে হামলার পর গত কয়েকদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ঘিরে প্রায় প্রতিটি খবরের কাগজই গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
‘হয় সিন্ধুর পানি বইবে, নয় ওদের রক্ত’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক যুগান্তর। এই খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সিন্ধু চুক্তি নিয়ে কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন ভারতকে। তিনি বলেছেন, ‘সিন্ধু আমাদের আর আমাদেরই থাকবে। হয় সিন্ধুর পানি বইবে, নয় ওদের রক্ত বইবে।
পহেলগামে হামলার পরই ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করায় তিনি এ হুশিয়ারি দেন।
এই খবরে বলা হয়, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর বিভিন্ন ফ্রন্টে শুক্রবার রাতেও ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। ভারতের এনডিটিভি ও হিন্দুস্থান টাইমসের বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করেছে খবরের কাগজটি।
এদিকে পাকিস্তানের কাশ্মীরের প্রধান নদীতে হঠাৎ করে বেড়েছে পানি প্রবাহ। এতে করে সেখানে মাঝারি বন্যা দেখা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও খবরে প্রকাশিত হয়েছে।
পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়া ও বন্যা সৃষ্টির বিষয়টিকে ভারতের সংবাদপত্র টাইমস অব ইন্ডিয়া ওয়াটার সার্জিক্যাল অ্যাটাক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বলেও এই খবরে বলা হয়েছে।
বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সিন্ধু চুক্তি নিয়ে শনিবার কড়া হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পেহেলগাও কাণ্ডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত অভিযোগ তুলছে। সঙ্গে নিজের দুর্বলতা ঢাকতে মোদি মিথ্যা অভিযোগ সাজাচ্ছেন আর মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন। তিনি এককভাবেই সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে চুক্তিতে ভারত মেনেও নিয়েছে যে সিন্ধু পাকিস্তানের।
‘Saudi Arabia, Iran offers to mediate amid Indo-Pak tension’ অর্থাৎ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব সৌদি আরব ও ইরান। দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তাতে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে সৌদি আরব ও ইরান।
এই খবরে বলা হয়, নতুন দিল্লির কূটনৈতিক মহলে জোরাল আলোচনা চলছে যে, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা কিছু দেশ গোপন তৎপরতার মাধ্যমে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। এই প্রেক্ষাপটেই সৌদি আরব ও ইরান মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে।
শুক্রবার, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাঘচি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে “আরও গভীর বোঝাপড়া তৈরির” প্রস্তাব দেন। একইসঙ্গে, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর তৈরি হওয়া উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতের এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।
এই খবরে বলা হয়, বুধবার ভারত সরকার অভিযোগ করেছিল যে, জম্মু ও কাশ্মীরে ২৬ জন নিহত হওয়া হামলার সঙ্গে “সীমান্ত পেরিয়ে আসা সংযোগ” রয়েছে, এবং এর পর থেকে দুই দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে আরাঘচি বলেন, “এই কঠিন সময়ে ইসলামাবাদ এবং নয়াদিল্লির মধ্যে আরও ভাল বোঝাপড়া তৈরির জন্য তেহরান তার সদিচ্ছা ব্যবহারে প্রস্তুত।

‘বড় দলের ভোটে ভাগ বসাতে ছোট ছোট দল’ শিরোনামে দৈনিক দেশ রূপান্তরের খবরে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই চলছে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ। প্রায় প্রতিদিন কয়েকজন মিলে রাজনৈতিক দল ঘোষণার খবর আসছে। গত কয়েক মাসে অন্তত ২৭টি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের খবর পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়, মূলত দুই কারণে ছোট রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটছে- নির্বাচনে বেশিসংখ্যক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ দেখানো ও বড় রাজনৈতিক দলের ভোটে ভাগ বসানো।
জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে রূপ দিতে বদ্ধপরিকর সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য নির্বাচনে বেশিসংখ্যক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। সরকারের নির্বাচনকেন্দ্রিক এ মনোভাব টের পেয়ে নতুন নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করছে। সর্বশেষ নিবন্ধন পাওয়া দলসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগে নিজেকে প্রচার করার মনোবাসনা রয়েছে অনেকেরই। এছাড়া ব্যক্তিস্বার্থ ও ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করার জন্যই এত এত রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটছে। তাদের অভিমত, ছোট দল দিয়ে বড় দলের ভোটে ভাগ বসানোও একটি কৌশল হয়ে থাকতে পারে।

পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠানের খবর বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সংবাদপত্রই গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে। ‘অন্তিম শয়ানে পোপ’ শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাকের খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১৪০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য গতকাল শনিবার রোমের সান্তা মারিয়া ম্যাজিওরে ব্যাসিলিকায় সম্পন্ন হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ এই মাহেন্দ্রক্ষণে অংশ নেন। বিশ্বনেতারাসহ প্রায় ৪ লাখ মানুষ সরাসরি ভ্যাটিকানে সমবেত হন এবং আরো কোটি কোটি মানুষ বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে টেলিভিশন ও অনলাইন সম্প্রচারের মাধ্যমে অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
এই খবরে বলা হয়, বহু মানুষ ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নিরাপত্তা ছিল নজিরবিহীন। ইতালীয় কর্তৃপক্ষ প্রায় ২ হাজার ৫০০ পুলিশ ও ১ হাজার ৫০০ সৈন্য মোতায়েন করে, আকাশপথ বন্ধ করে এবং উপকূলে টর্পেডো জাহাজ মোতায়েন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
ভ্যাটিকানের প্রধান গেট দিয়ে যখন পোপের বড় কাঠের কফিনটি ১৪ জন সাদা দস্তানাধারী বাহক বহন করে বাইরে আনা হয়, তখন করতালি ও উল্লাসে মুখরিত হয়ে ওঠে সমগ্র স্কয়ার। পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি মানুষের ভালোবাসার এ এক অপূর্ব প্রকাশ ছিল। এ দিনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিশ্বনেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।