Source : BBC NEWS

শহীদ মিনারে বিডিআর সদস্য পরিবার

এক ঘন্টা আগে

রাজধানীর পুরানো ঢাকার বকশীবাজারে অবস্থিত আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে বৃহস্পতিবার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও একদিকে মামলা শুনানির ভেন্যু নিয়ে রাতভর নানা নাটকীয়তা, এজলাস পুড়ে যাওয়া এবং অন্যদিকে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সব কিছু মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত শুনানিই হয়নি মামলাটির।

বেলা পৌনে বারটায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে পৌঁছান বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া।

আদালতের এজলাস কক্ষ পরিদর্শন করেন তিনি। পরে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সাথে কথা বলেন।

এ মামলার চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন জানান, “আজকের এ প্রেক্ষাপটে নিঃসন্দেহে এখানে আদালত পরিচালনা করার মতো কোনো পরিবেশ নাই। উনি এটা অবহিত হলেন, একমত হলেন।”

“মামলার পরবর্তী তারিখ কবে হবে আমাদের ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সাথে বিকেলে কথা বলে সেটা তিনি ঠিক করবেন,” মি. উদ্দিন।

পরে বিকেল সাড়ে চারটায় জানানো হয় আগামী ১৯শে জানুয়ারি এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

কিন্তু কোন স্থানে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম হবে সেটি এখনো নির্ধারিত হয়নি।

এদিকে, সকাল থেকেই বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের স্বজনরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত, কারামুক্তি, চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেছেন।

পরে দেড়টায় তারা সেখান থেকে শাহবাগ মোড় ‘ব্লকেড’ করে। এর ফলে চারপাশের সব সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়।

বেলা তিনটার দিকে শাহবাগ থেকে উঠে আবার শহীদ মিনারে অবস্থান নেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করার ঘোষণা দেয় তারা।

বিবিসি বাংলার যত খবর
অস্থায়ী আদালত

মামলা শুনানির ভেন্যু নিয়ে নাটকীয়তা কেন ?

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দুইটি মামলা হয়। এর মধ্যে মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতেই হত্যা মামলার বিচার হয়েছিল।

ওই মামলা বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন আপিল বিভাগে বিচারাধীন।

কিন্তু একই ঘটনায় বিস্ফোরক মামলাটিতে এখনও সাক্ষ্য গ্রহণই শেষ হয়নি।

সবশেষ গত ২৮শে নভেম্বর ঢাকা জজ কোর্টের একটি আদালতে এ মামলার শুনানির দিন ছিল।

কিন্তু সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের কারণে আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি হয়নি।

সরকারি গেজেট অনুযায়ী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে এ মামলার শুনানি হওয়ার কারণ দেখিয়ে ছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

একইসাথে ওই মাঠের ভূমি মালিকানা নিয়ে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল।

এছাড়া নিরাপত্তা ঝুঁকি ও জামিন শুনানিতে আইনি প্রতিবন্ধকতা থাকায় শুনানি মুলতবি করার আবেদন করে তারা।

এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কোন আদালতে এ মামলার শুনানি হবে তা নিয়ে রীতিমতো ধুম্রজাল তৈরি হয়।

কেরানীগঞ্জের অস্থায়ী আদালতে এ মামলার শুনানি হবে বুধবার বিকেল থেকে এমন একটি খবর প্রকাশিত হওয়ার পর মূলত এই ধুম্রজাল তৈরি হয়।

ওই আদালতে জামিন শুনানিকে ঘিরে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের আটই জানুয়ারির একটি চিঠিও রয়েছে।

পরে বুধবার রাত সাড়ে এগারটায় আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আলিয়া মাদ্রাসা মাঠেই বিডিআর মামলার আদালত বসবে।

এমনকি আজ বৃহস্পতিবার সকালেও একই তথ্য আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সকালে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আইনজীবীরা উপস্থিত হন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী পারভেজ হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বিচারকার্যের ভেন্যু গত ২৪ ঘণ্টায় কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আমরা জানতাম কেরানীগঞ্জ আদালতে হবে, পরে আবার জানানো হয় মাদ্রাসা মাঠে।”

“সকালে জজ কোর্টে যাই সেখান থেকে বিচারকের বেঞ্চ সহকারী জানায় মাদ্রাসা মাঠে হবে। সকালে যখন খবর পাই এখানে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, তখন জজ কোর্টে যাই,” বলেন মি. হোসেন।

পরে সেখানকার আদালতের বেঞ্চ সহকারী আলিয়া মাদ্রাসায় শুনানি হবে বলে জানায়।

মি. হোসেন এ মামলার ৩১১ জন আসামির আইনজীবী।

তিনি জানান, এ মামলায় সাড়ে পাঁচ শ’র বেশি জামিন আবেদন বিচারাধীন রয়েছে।

বকশীবাজার মোড়ে সেনাবাহিনী, পুলিশের সতর্ক অবস্থান

সকাল এগারটা নাগাদ বকশীবাজার মোড়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইবরাহিম মিয়ার গাড়িকে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।

সেখানে আইনজীবীদের প্রবেশ করতেও বাধা দেয় তারা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের বুঝিয়ে বিচারকের গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়।

এ সময় এজলাস কক্ষ ঘুরে দেখেন বিচারক। পরে আইনজীবীদের সাথে কথা বলে বারোটা দশে চলে যান।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন জানান নভেম্বরে নিয়োগ পাওয়ার পর মামলাটির শুনানির দুইটি তারিখ পেয়েছেন।

তবে ভেন্যু জটিলতায় শুনানি হয়নি।

“আজকে আমরা সবাই আশাবাদী ছিলাম এটা নিষ্পত্তি হোক, কিন্তু বাস্তবে এটা হয়নি। তারিখ শিফট করা বা হিয়ারিং না হওয়ার পিছনে কোনো পরিকল্পনা আমার জানা এবং বিশ্বাস মতে নাই,” বলেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী।

কোথায় শুনানি হবে সেটি নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব এসেছে বলে জানান তিনি।

এর মধ্যে পুরানো জেলখানা, মহিলা কারাগার এই দুইটি স্থান আসামিপক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে।

এরপরের ভেন্যু হিসেবে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের অস্থায়ী আদালত ভবনকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তবে পরবর্তীতে স্থান জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অবস্থান

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কেন ?

সকাল পৌনে নয়টায় বকশীবাজারের মোড় থেকে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

এ সময় এপিবিএন এবং পুলিশের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাড়ে নয়টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও আলিয়া মাদ্রাসায় যাওয়ার প্রতিটি পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।

সরেজমিন বেশ কিছু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে জমায়েত হয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ সব দিক থেকে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে প্রবেশের সব রাস্তা এ সময় বন্ধ দেখা যায়।

মাদ্রাসার মূল গেইটে লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এ সময় কোনো রিক্সা, গাড়ি বা যানবাহন এ রাস্তায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না।

বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সাধারণ মানুষের সাথে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা করতেও দেখা যায়।

মো. রাফিউদ্দিন নামে একজন ব্যক্তি জানান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় এই এলাকায়। ফলে এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন।

“সকাল থেকে এক ঘণ্টা ধরে মোটরসাইকেল নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। প্রতিদিন এই রাস্তায় যাই, এখান দিয়েই যেতে দিতে হবে। তারা বলতেছে যাওয়া যাবে না,” বলেন মি. উদ্দিন।

বিরক্ত প্রকাশ করে মি. উদ্দিন বলেন, “কিছু হলেই রাস্তা বন্ধ না করে দাবি আদায়ের জন্য একটা ময়দান করে দেয়া উচিত।”

শিক্ষার্থীদের দাবি তারাও বিডিআর মামলার বিচার চান। কিন্তু নিজেদের প্রতিষ্ঠানের মাঠ পুনরুদ্ধার করতে চান। এই মাঠে আজ বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল।

মাদ্রাসার ফাজিল তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ বিল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরাও চাই পিলখানা হত্যা মামলার সুষ্ঠু বিচার হোক, কিন্তু আমরা আমাদের মাঠে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে এ ধরনের কার্যক্রম চাই না।”

“এজন্য আন্দোলন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। আমাদের মাঠকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে চাই না আমরা, আমাদের মতো পরিচালনা করতে চাই,” জানান মি. বিল্লাহ।

পূর্ব নির্ধারিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য মাঠের ভেতরেই একটি প্যান্ডেল বানানো দেখা যায়। পাশে ডেকোরেটরের অনেকগুলো চেয়ারও রাখা।

শিক্ষার্থীরা জানান গত তিন দিন ধরে এই মাঠেই তাদের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয়েছিল।

বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর
পোড়া এজলাস

এজলাসে আগুন দিলো কে বা কারা ?

২০১৩ সাল থেকে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অবস্থিত এ আদালতেই বিডিআর বিদ্রোহ মামলার শুনানি চলছে।

এছাড়াও জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রমও এ আদালতে হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান দীর্ঘদিন ধরে‌ই নিজেদের প্রতিষ্ঠানের মাঠ ফিরে পেতে তারা আন্দোলন করছিলেন।

রাতে আগুনে পুড়ে পুরো এজলাসের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিচারকের চেয়ারটি থেকে সকাল সাড়ে নয়টায়ও নিভু কাঠ কয়লা জ্বলতে দেখা যায়। উড়ছিলো ধোঁয়া।

ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন সদস্যকে এ সময় ওই কক্ষ পরিদর্শন করতে দেখা যায়।

বিচারকের চেয়ার

লালবাগের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “রাত চারটা বিশে খবর পেয়ে এখানে আসি। রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দেয়া ছিল।”

“স্থানীয়দের সহায়তায় গেইট পর্যন্ত পৌঁছাই। নানা প্রতিকূলতার কারণে ভেতরে ঢুকতে পারিনি আমরা। আমরা এসে আগুনের শাখা বিশাখা পাইনি, ধোঁয়ার কুণ্ড দেখেছি। এখন সরেজমিন তদারকি করছি আমরা,” বলেন মি. রহমান।

তবে আগুনের সূত্রপাত বিষয়ে কোনো কথা এখনই বলতে চাননি তিনি।

আগুনের লাগার খবর শিক্ষার্থীরা পেয়েছিলেন কি না এমন প্রশ্নে একজন শিক্ষার্থী জানান তারা একেবারেই বিষয়টি জানতেন না।

রাত বারোটার পর থেকেই বকশীবাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছিলেন তারা।

আরবী সাহিত্যে কামিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজির উদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বকশীবাজার মোড়ে রাতে আমরা আন্দোলন করছিলাম। তখন হঠাৎ দেখি ফায়ার সার্ভিসের হর্ন বাজতেছে, শুনে তাদের রিসিভ করি। বলি কী হইছে, কোথায় আগুন লাগছে। তারা জানায় পুলিশ কল দিছে অস্থায়ী আদালতে আগুন লাগছে।”

এই শিক্ষার্থীদের দাবি ঘটনাস্থলে যেতে তারাই ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে সহযোগিতা করেছিল। তবে গেইটে তালা থাকায় ফায়ার সার্ভিস ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।

যদিও গেইটের তালা আগেই কেটে নেয়ার হয়েছে বলে দাবি করেছেন এই শিক্ষার্থীরা।

“রাত সাড়ে বারোটার দিকে পুলিশের গাড়িতে দুই জন সাদা পোশাকধারী এসে তালা কেটে ফেলে। পরে আমরা ধাওয়া করার পরে পুলিশের গাড়িতে উঠেই তারা চলে যায়,” জানান একজন শিক্ষার্থী মাহমুদ বিল্লাহ।

এজলাসে কে বা কারা আগুন দিয়েছে সে বিষয়ে জানেন না বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

শাহবাগ মোড়ে অবস্থান বিডিআর পরিবারের সদস্যদের

শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ অবরোধ

এদিকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত, কারামুক্তি, চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিডিআর সদস্যদের স্বজন এবং চাকরিচ্যুত সদস্যরা বুধবারের ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেছেন।

পরে দুপুর দেড়টার দিকে তারা শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ মোড় ‘ব্লকেড’ করতে রওনা দেন।

সেখানে প্রায় ঘণ্টা দুই অবস্থান নেন তারা। এতে আশেপাশের সব রাস্তায় যানজট সৃষ্ট হয়।

পরে শাহবাগ থেকে আবার শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করার ঘোষণা দেয়া হয়।

শহীদ মিনারে কথা হয় বিডিআরের চাকুরিচ্যুত সিপাহি শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের সাথে। তিনি বিবিসি বাংলাকে জানান, বিডিআরের বিশেষ আদালতে সাত বছরের সাজা খাটা শেষে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।

মি. রহমান বলেন, “অফিসিয়াল মামলায় সাত বছরের সাজা খাটছি। দাবি একটাই চাকরি পুনর্বহাল, বন্দিদের মুক্তি। সিপাহি হিসেবে সেদিন পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। আমার মতো অনেক নিরপরাধকে সাক্ষী না দেয়ার কারণে আসামি করা হইছিল।”

২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের এ ঘটনার দিন রাঙামাটিতে নিউ লংকর ক্যাম্পে সিগনাল ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন কুতুবউদ্দিন।

“আমাদেরকে বলা হয় আমরা সমর্থন করছি। ওই ইউনিট ক্লোজ করে আমাদেরকে জেলে নিয়া যায়। এখন চাকরি চাই,” বলেন মি. উদ্দিন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

এ ঘটনায় করা মামলা দুটিতে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। হত্যা মামলার আসামি ছিল ৮৫০ জন; অপরদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলাটিতে ৮৩৪ জনকে আসামি করা হয়।