Source : BBC NEWS
আপডেট হয়েছে এক ঘন্টা আগে
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে।
দলের শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন এবং নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার পরিকল্পনা করেছেন।
তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় দলটির ভূমিকা জনগণের কাছে স্পষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে, ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। দলটি কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়, যা নিয়ে বিতর্ক আছে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জামায়াত অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। দলটি নতুন করে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে এবং বিভিন্ন পদে তাদের লোকজনের নিয়োগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা থামছে না।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কোনো ভুল সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হলে দলটি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে।
দলের ভেতরে ও বাইরের অনেকেই মনে করছেন, জামায়াত বিষয়টি যথাযথভাবে সামাল দিতে পারেনি। তবে ভবিষ্যতে তারা কীভাবে এ ইস্যু সমাধান করবে, তা নিয়ে অপেক্ষা চলছে।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের কথা বললেও এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে মতপার্থক্য রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। বিএনপি ও তাদের মিত্ররা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিরোধিতা করছে।
তারা মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব কেবল জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও কিছু দল মনে করছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত।
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন বিদ্যমান ব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রস্তাব করছে। তারা ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের জন্য একীভূত আইন প্রণয়ন এবং নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের চিন্তা করছে।
চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে সরাসরি ভোট বাদ দিয়ে সদস্যদের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তাবও আছে। এতে নির্বাচনের খরচ কমলেও দুর্নীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা না থাকায় সরকারকে আলোচনা ও সমঝোতার পথে এগোতে বলা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের আলোচনা জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে হতে পারে বলে সন্দেহ বাড়তে পারে। তাই এ বিষয়ে সরকারের স্বচ্ছতা প্রয়োজন।
আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘ভোটের দাবিতে শিগগির মাঠে নামছে বিএনপি‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি শিগগিরই ভোটের দাবিতে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে। তারা চায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার করতে।
দলের নেতারা মনে করেন, নির্বাচন বিলম্বিত করতে সরকার ইউনিয়ন পরিষদ ও ছাত্র সংসদ নির্বাচন সামনে আনছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টার অভিযোগও করছে তারা।
অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর থেকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনগুলো স্থানীয় নির্বাচন আগে করার দাবি তুলেছে।
তারা বলছে, ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে।
বিএনপির অভিযোগ, সরকারের প্রভাবশালী মহল খালেদা জিয়াকে বিদেশে রেখে এমন একটি রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে, যা তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে বিএনপি দাবি তুলছে, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে জাতীয় নির্বাচন আগে করতে হবে।
তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শুরু করে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ এখনো তাদের অবস্থান চূড়ান্ত করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৪ সালে নিত্যপণ্যের দাম এবং জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়েছে। মানুষের আয়ে উন্নতি না হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির জীবন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর জন্য ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মানতে গিয়ে শতাধিক পণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে।
এতে ওষুধ, রেস্টুরেন্ট, পোশাক, সাবান, ইন্টারনেটসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের খরচ বেড়েছে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভ্যাট বৃদ্ধি নয়, বরং কর ব্যবস্থার আওতা বাড়ানো উচিত ছিল। কিন্তু সরকার নিয়মিত করদাতাদের ওপরই বেশি চাপ দিয়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং সাধারণ মানুষই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ মানুষের আয় কমিয়ে জীবনযাত্রা আরও কঠিন করবে।
অন্যদিকে ভোক্তারা অভিযোগ করছেন, করের বড় অংশই ব্যবসায়ী ও রাজস্ব কর্মকর্তারা মিলে আত্মসাৎ করেন। এতে সাধারণ মানুষই ভোগান্তিতে পড়ছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সরকারকে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। তারা মনে করেন, বর্তমান সংকটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর শুল্ক-কর বৃদ্ধি গণবিরোধী এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নতুন চাপ সৃষ্টি করবে।
নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘বাড়তি ভ্যাট শুল্কের খড়গ সব খাতেই‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খরচ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। জরুরি ওষুধ, চশমা, শিশুদের খাবার থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁর বিল এবং মোবাইল সেবার খরচ বাড়ছে।
চশমার ওপর তিনগুণ ভ্যাট, রেস্তোরাঁর বিলের ওপর ভ্যাট দ্বিগুণ, এবং মোবাইল সেবায় সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে ২৩ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। পোশাকের ক্ষেত্রে ভ্যাট দ্বিগুণ হওয়ায় ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ড পোশাক কিনতেও বাড়তি অর্থ গুণতে হবে।
টিস্যু, মিষ্টি, ফলের রস, এবং শিশুদের প্রিয় কেক বা সসের দাম বেড়েছে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে। আমদানি করা ফল, চামড়ার কাঁচামাল, এবং ডিটারজেন্টের ওপরও শুল্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া আকাশপথে ভ্রমণের খরচ বাড়াতে আবগারি শুল্কও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর সুপারিশ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে। দুইটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই পরিবর্তন কার্যকর হয়েছে।
ভ্যাট এবং শুল্ক বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি পণ্যে ও সেবায় অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও চাপে ফেলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে জনপরিষেবা খাতে পানির, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বারবার বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা ওয়াসার পানির দাম গত দেড় দশকে ১৬ বার বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের পাইকারি এবং খুচরা দামও একাধিকবার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসব মূল্যবৃদ্ধির জন্য লুক্কায়িত খরচ, দুর্নীতি এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দাম বাড়ানোর পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখার পরিবর্তে সরকার বরং নতুন করে মূল্য বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশা ছিল দুর্নীতি বন্ধ করে জনপরিষেবা খাতের খরচ কমানো। কিন্তু তা না করে, খরচের বোঝা আরও বাড়ানো হয়েছে।
বিশেষত বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি চার্জসহ বিভিন্ন অযাচিত চুক্তি এবং প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের ফলে জনগণের ওপর চাপ বেড়েছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানির সেবা খাতে যে দুর্নীতি ও অদক্ষতা রয়েছে, তা দূর করা গেলে খরচ অনেকটা কমানো সম্ভব।
তাছাড়া, স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর পরিবর্তে আমদানিকৃত এলএনজি-তে নির্ভরশীল হওয়া খরচ বৃদ্ধির বড় কারণ।
সরকার বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে এসব উদ্যোগের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা মনে করেন, সঠিক পর্যালোচনা ও সংস্কারের মাধ্যমে খরচ কমিয়ে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা জরুরি।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ পরিস্থিতি দিন দিন সংকটে পড়ছে। ডলার সংকট, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ঘাটতি, উচ্চ সুদের হার ও করকাঠামোর পরিবর্তন ব্যবসা-বিনিয়োগকে নাজুক করে তুলেছে।
আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাচ্ছেন। ২০২১ সাল থেকে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে, যা ২০২৪ সালে আরও তলানিতে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা ও উচ্চ সুদের কারণে ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকছেন। দেশের স্টার্টআপ খাতও বড় ধরনের বিনিয়োগ হারাচ্ছে।
বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপে বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে। মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যা বিনিয়োগের নেতিবাচক সংকেত দেয়।
বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি ভালো নয়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উপযুক্ত নীতিমালার অভাবে সৌদি আরবের মতো বড় বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়েছেন। আবাসন ও শিল্প খাতেও স্থবিরতা বিরাজ করছে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীতি সংশোধন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি ছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।
আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী বিনিয়োগ বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হলেও ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরাতে আরো কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘MRT-1 unlikely to be ready before 2030‘ অর্থাৎ, ‘২০৩০ সালের আগে এমআরটি-১ প্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনা কম’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার প্রথম পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্প, এমআরটি-১, ২০৩০ সালের আগে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
২০১৯ সালে অনুমোদিত এই প্রকল্পের কাজ এখনও মূল পরিকাঠামো নির্মাণ পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর এবং নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত সংযোগ তৈরি করা।
এর ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার অংশ হবে পাতালপথ।
প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, কিন্তু করোনা মহামারি এবং জাপানের উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)-এর ধীর অনুমোদন প্রক্রিয়ার কারণে ব্যাপক বিলম্ব ঘটে।
এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ১২টি প্যাকেজের মধ্যে মাত্র একটি প্যাকেজের কাজ শুরু হয়েছে, যেখানে ডিপোর জন্য ভূমি উন্নয়ন কাজ ৮৭ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
তবে প্রধান কাজ, যেমন টানেল তৈরি, ট্র্যাক বসানো এবং ট্রেন কেনার জন্য এখনও কোনো ঠিকাদার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
২০২৬ সালের নির্ধারিত সময়সীমা পূরণ অসম্ভব বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা ধারণা করছেন, প্রকল্প শেষ হতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
প্রকল্পের মোট খরচও বাড়তে পারে, কারণ ডলারের বিনিময় হার এখন অনেক বেশি। পুরো প্রকল্প শেষ হলে এটি দৈনিক আট লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে এবং ঢাকার যানজট ও দূষণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Govt still pays high capacity charge‘ অর্থাৎ, ‘সরকার এখনও হাই ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে যাচ্ছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টেন্ডার ছাড়া অনুমোদিত বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর কারণে সরকার এখনও অযৌক্তিকভাবে উচ্চ ক্ষমতা চার্জ প্রদান করছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৭৩ শতাংশ বেশি চার্জ পাচ্ছে।
ক্যাপাসিটি চার্জ হলো এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মান নয়, বরং বিনিয়োগের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীরা লাভ পায়।
২০২৪ সালের অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার বিশেষ বিদ্যুৎ আইন বাতিল করেছে, যার আওতায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অনুমোদন পেয়েছিল।
তবে চলমান প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিপিডিবি বিশ্লেষণে দেখা যায়, টেন্ডারের মাধ্যমে তৈরি হওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর তুলনায় টেন্ডার ছাড়া তৈরি হওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে নির্মাণ খরচ এবং ক্যাপাসিটি চার্জ অনেক বেশি।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো প্রকল্প জনসাধারণের নজরের বাইরে থেকে অনুমোদন পেয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা এই ব্যবস্থাকে “জনগণের অর্থ ব্যক্তি পকেটে স্থানান্তরের হাতিয়ার” বলে সমালোচনা করেছেন। ক্ষমতা চার্জের মাধ্যমে গত ১৪ বছরে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, যা দেশের ডলার সংকট ও অর্থনৈতিক সমস্যা বাড়িয়েছে।