Source : BBC NEWS
এক ঘন্টা আগে
শাসন কাঠামোর ব্যাপক পরিবর্তন— নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, শাসন কাঠামোতে ব্যাপক সংস্কার আনার সুপারিশ করে অন্তর্বর্তী আদেশের আওতায় নতুন নির্বাচনের আয়োজনের পক্ষে মত দিতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার বিষয়ক কমিশন।
আজ বুধবার সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে উপস্থাপনের জন্য তৈরি সংবিধান সংস্কার কমিশনের এই প্রতিবেদনে সংসদের দুই কক্ষবিশিষ্ট ব্যবস্থা, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, নিম্নকক্ষে প্রচলিত ব্যবস্থায় নির্বাচন বহাল রেখে সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় উচ্চকক্ষের নির্বাচনের সুপারিশ করছে।
কমিশনের সূত্রের বরাতে এখানে বলা হচ্ছে যে সংবিধান পুনর্লিখন নাকি সংশোধন করা হবে এ বিতর্কে না গিয়ে সংবিধানের মূলনীতির পরিবর্তন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রশাসনের কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে এই খসড়া সংবিধান সংস্কার প্রতিবেদনে।
ভোটের চাপ সবদিকে — আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠানের দাবি সামনে নিয়ে এসেছে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যে এ নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি গতকাল মঙ্গলবার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। বিএনপি বলছে, সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোরবিরোধী তারা।
নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপির এই অবস্থানের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে তরুণদের প্রতিনিধিত্বের দাবিদার জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংগঠনটি চায়, আগে গণপরিষদ নির্বাচন হবে এবং সেই গণপরিষদ সংবিধান পুনর্লিখন করবে। পরে গণপরিষদের সদস্যরাই আইনসভার সদস্য হবেন।
অন্যদিকে, আগামী নির্বাচনের বিষয়ে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে আঞ্চলিক দুই প্রভাবশালী দেশ ভারত ও চীনসহ বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থারও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ রয়েছে।
অবশেষে টিউলিপের পদত্যাগ— দৈনিক প্রথম আলো’র প্রধান শিরোনাম এটি। এই খবরটি আজ দেশের সকল পত্রিকারই প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ করার বিষয়টি উঠে এসেছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ আছে। সেসব অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশে তদন্ত শুরুর পর সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন তিনি। যদিও মন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতে দুর্নীতি দমনের দায়িত্বে ছিলেন মিজ সিদ্দিক।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন টিউলিপ সিদ্দিক। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
তবে সেই পদত্যগপত্রে মিজ সিদ্দিক লিখেছেন, তিনি ভুল কিছুই করেননি।
এতে বলা হয়েছে, ৩১শে ডিসেম্বর হঠাৎ করে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দিন ধার্য করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তখন সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, সরকারই এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে এবং তা দুই সপ্তাহের মধ্যে।
এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। বছরের প্রথম মাসের দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনও এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেনি সরকার। এখন সরকারের তরফে বলা হচ্ছে এই ঘোষণাপত্র বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেই দেয়া হবে। সরকার শুধু ফ্যাসিলেট করবে। এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়া হবে।
ঘোষণাপত্র প্রকাশের নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পক্ষ থেকে হতাশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
বক্তৃতা- বিবৃতির মাধ্যমে তারা সরকারকে সতর্ক করে বক্তব্যও দিচ্ছেন। সর্বশেষ গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক অনুষ্ঠানে সরকারের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া যারা উপদেষ্টা পরিষদে আছেন তাদের প্রয়োজনে পদ ছেড়ে জনগণের কাতারে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ১০ বার সংস্থাটির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ।
এসব ঋণের বিপরীতে সংস্থাটির পরামর্শে বিভিন্ন সময়ে দেশের অর্থনীতি ও আর্থিক খাতে নানা সংস্কার বাস্তবায়িত হয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে নেয়া ঋণের বিপরীতেও বিভিন্ন সংস্কার করেছে সরকার।
তবে এতসব সংস্কারের পরও দেশের অর্থনীতি ও আর্থিক খাতে গুণগত কোনও পরিবর্তন হয়নি। বরং, ক্ষেত্রবিশেষে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো বা এতে কাঠামোগত পরিবর্তন আনার প্রয়াস কখনো অতীতে সফল হতে দেখা যায়নি। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই এসব কর্মসূচির সুফল আসেনি। এর কারণ হচ্ছে নিজস্ব চিন্তাভাবনার পরিবর্তে অন্যের চিন্তা অনুসারে সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই সুফল পাওয়া সম্ভব নয়।
এতে বলা হয়েছে, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিএনপি। সেভাবেই দলটি তাদের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে।
খালেদা জিয়া দেশে থাকাকালেই বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলো। খালেদা জিয়ার পরামর্শে দুই শতাধিক আসনে দলটির প্রার্থী চূড়ান্ত করে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা রয়েছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বিকল্প প্রার্থীদেরও। এই প্রার্থীরা নির্বাচনের জন্য গত পাঁচই অগাস্টের পর থেকেই কাজ করা শুরু করেন।
বিশেষ করে গত মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে চলতি বছরের শেষ বা পরের বছরের দ্বিতীয় ভাগে নির্বাচন আয়োজন হতে পারে এমনটি ঘোষণা করা হলে নড়েচড়ে বসে রাজনৈতিক দলগুলো। অন্য দলগুলোর মতো বিএনপিতেও নির্বাচনি আমেজ তৈরি হয়।
গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে নির্বাচনের দাবি তোলে বিএনপি। তাদের এই দাবির পর আন্দোলনে থাকা জোটসঙ্গী ও জামায়াতে ইসলামীসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা আরও ব্যাপকতা পেয়েছে।
Tk 15000cr of 366 people, entities frozen বা ৩৬৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১৫ হাজার কোটি টাকা জব্দ— ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম এটি।
এখানে বলা হয়েছে, অর্থপাচারের অভিযোগে গত বছরের অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩৬৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মোট ১৫ হাজার কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে যে ১১২টি মামলার বিপরীতে ওইসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং অর্থপাচার ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দেয়।
এদিকে, জব্দ করা ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, হাসিনার বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের অ্যাকাউন্টও রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আমলাদের চাহিদাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি এবং অন্য ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছিল কমিশন। তবে এখন কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে থাকছে না সেই প্রস্তাব। আমলাদের চাপে এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটছে কমিশন।
সমকাল জানতে পেরেছে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ক্যাডার কর্মকর্তাদের আন্দোলন আমলে নিয়ে নতুন করে সুপারিশ প্রতিবেদন তৈরি করছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ বাস্তবায়নে ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত জমা দেওয়ার সময় চেয়েছিলো কমিশন।
গতকাল মঙ্গলবার কমিশনের চাহিদার ভিত্তিতে তাদের এ সময় দিয়েছে সরকার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের দুই সদস্য জানান, খসড়া প্রতিবেদন তৈরির শুরুতে তারা বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনও দেশের প্রশাসনের বিষয়টি বিবেচনায় নেননি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সুপারিশ প্রস্তুত করা হয়েছিলো।
নিয়ন্ত্রণহীন দখল-চাঁদাবাজি— ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, সারা দেশে দখল ও চাঁদাবাজির ঘটনা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেন্দ্র থেকে বারবার নির্দেশনা দেওয়া হলেও মাঠ পর্যায়ে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।
কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সামনে আনতে ভয় পাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। এই দখলবাজি নিয়ে এর মধ্যে প্রাণও গেছে কয়েক জনের।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর গণহারে যে মামলা হয়েছে সেখানেও বাণিজ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে এগুলো স্বীকারও করা হয়েছে। কিন্তু এখানেও কার্যকর কোনও পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
এখানে বলা হয়েছে, ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে, সেখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার (আরপিও)’ বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ আইন ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ছাড়াও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সাংবিধানিক বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুপারিশ থাকবে বলে জানা গেছে।
সাংবিধানিক বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষে সদস্যদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক রাখা এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ১০০-তে উন্নীত করে ওই সব আসনে সরাসরি ভোটের (ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট) ব্যবস্থা করা।
এই সংস্কার কমিশনের একাধিক সদস্যের সঙ্গে আলোচনায় জানা যায়, আরপিও সংস্কারে কমিশনের যেসব সুপারিশ থাকছে তার মধ্যে রয়েছে নির্বাচনের সময় সশস্ত্র বাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় আবারও অন্তর্ভুক্ত করে তাদের বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া, দলীয় প্রার্থী হতে তৃণমূলের ভোটে জিতে আসাসহ আরও অনেককিছু।
এসব ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যতিক্রমসহ মূলত আওয়ামী লীগ আমলে বাতিল করা বিধানগুলোই ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করতে যাচ্ছে সংস্কার কমিশন।