Source : BBC NEWS

পত্রিকা

এক ঘন্টা আগে

যদিও বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়, তবে সরকারি ও নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলের আগে নির্বাচন সম্ভব নয়।

জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ফেব্রুয়ারি-মার্চে রমজান ও ঈদ থাকায় এই সময়ে নির্বাচন করা কঠিন হবে।

সরকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এপ্রিলেই নির্বাচন আয়োজন সবচেয়ে সুবিধাজনক সময় হতে পারে।

জুন পর্যন্ত সময় সীমা থাকলেও জুনে গরম ও বৃষ্টির কারণে নির্বাচন আয়োজনের ঝুঁকি বেশি। তাই এপ্রিলেই ভোট আয়োজনের চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চাইলেও জামায়াত রমজানের আগে এবং এনসিপি মৌলিক সংস্কারের পর ভোট চায়।

তবে নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো স্পষ্ট রোডম্যাপ না আসায় বিএনপি হতাশা প্রকাশ করেছে।

আগামী জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ হবে বলে জানা গেছে।

ততদিনে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, আসন পুনঃবিন্যাসসহ নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা আছে কমিশনের।

আরও পড়তে পারেন
পত্রিকা

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘সার্বভৌমত্ব নিয়ে শঙ্কা‘। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি মুখ এলাকায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা “আরাকা ওয়াটার ফেস্টিভাল” নামে একটি জলকেলি উৎসব আয়োজন করে।

তারা সামরিক পোশাকে ও অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে অংশ নেয় এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করে।

বাংলাদেশের ভেতরে প্রায় ১০ কিমি ঢুকে তারা স্থানীয় পাহাড়িদের সম্পৃক্ত করে এ আয়োজন করে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এই উৎসবে আরাকান আর্মি ও তাদের রাজনৈতিক শাখা ইউএলএর পতাকা, প্রতীক ও বক্তব্যের মাধ্যমে তারা নিজেদের মুক্তির প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রভাব বিস্তার করে।

ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এতে উপস্থিত ছিলেন এবং বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে থেকেও নিষ্ক্রিয় ছিলেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত সামরিক ও রাজনৈতিক প্রদর্শনী।

এর মাধ্যমে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের ভেতরে তাদের প্রভাব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।

যদি এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে এটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

নদি

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল বদল চায় এনসিপি’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক সংস্কার চায়।

তারা চায়, প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক নয় বরং মন্ত্রিপরিষদশাসিত সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হোক, যেখানে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে এবং সাংবিধানিক পদে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্তভাবে নিয়োগ হবে।

শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম তৈরির কথাও বলেছে দলটি।

শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এনসিপি জানায়, তারা ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চায়।

এনসিপি বলেছে, সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয়করণের কারণে বর্তমান কাঠামোয় স্বৈরতন্ত্রের ঝুঁকি আছে। তাই তারা মূলত আমূল পরিবর্তনের পক্ষে।

তারা আরও বলেছে, দুবারের বেশি কেউ যেন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হতে না পারেন এবং সাংবিধানিক নিয়োগের দায়িত্ব জাতীয় কাউন্সিলের হাতে থাকুক।

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক আসন বণ্টন, ১০০ নারী আসনে সরাসরি ভোটের প্রস্তাব তারা সমর্থন করেছে।

তারা চায়, নির্বাচন অবশ্যই হোক, তবে তার আগে সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়া দৃশ্যমান হতে হবে।

তাদের মতে, একটি সুষ্ঠু আইনসভা নির্বাচনের মাধ্যমেই গণপরিষদ গঠন সম্ভব। এনসিপি ফ্যাসিবাদী শাসনের আর পুনরাবৃত্তি চায় না।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি সংবিধান সংস্কারে কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে, বিশেষ করে আনুপাতিক ভিত্তিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন, এনসিসি (জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল) এবং গণভোট বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে।

দলটির মতে, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে সংসদের ক্ষমতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে এবং সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা ক্ষুণ্ন হবে।

বিএনপির আশঙ্কা, এনসিসি গঠিত হলে অনির্বাচিত ব্যক্তিরা ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসতে পারে এবং সংসদ ভেঙে গেলে তারা জবাবদিহিহীন থেকে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের ৭০টি সুপারিশের মধ্যে বিএনপি ১৪টিতে একমত এবং ৬টিতে আংশিক একমত, তবে বেশ কিছু প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়ে যুক্তি তুলে ধরেছে।

তারা চায়, এসব সংস্কার পরবর্তী নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হোক।

কমিশন যে প্রস্তাবে দুই কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন ও গণভোট বাধ্যতামূলক করতে বলেছে, তা নিয়েও বিএনপি দ্বিমত পোষণ করেছে। তাদের মতে, এটি স্বৈরাচার রোধে যথেষ্ট নয়; বরং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানই সংবিধান রক্ষার পথ।

বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরত চায় এবং এনসিসির মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনেও আগ্রহী নয়। তারা মনে করে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় চর্চা ও প্রতিষ্ঠান গঠনের ওপর জোর দেওয়া জরুরি।

পত্রিকা

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘আট মাসে ২২ দলের জন্ম‘। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত বছরের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত আট মাসে ২২টি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে।

এর মধ্যে গত বছরের শেষ চার মাসে ১১টি ও চলতি বছরের প্রথম চার মাসে আরও ১১টি দলের যাত্রা শুরু হয়।

এ দলগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতোমধ্যে সাংগঠনিকভাবে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে, তবে অনেক দল এখনো জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠন ও দলীয় অফিস স্থাপন সম্পন্ন করতে পারেনি।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় এনসিপিসহ কয়েকটি দল নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে। অন্যদিকে, কিছু দল ইসির সব শর্ত পূরণ করে আবেদনও জমা দিয়েছে।

বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি। গত নির্বাচনের আগে নিবন্ধনের জন্য ৯৩টি দল আবেদন করলেও অধিকাংশই নিবন্ধন পায়নি।

যারা পায়নি, সেসব অনিবন্ধিত দলের তালিকা ইসি সংরক্ষণ করে রেখেছে। তবে শর্ত শিথিল হলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নিবন্ধিত ও অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সর্বশেষ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৩৯টি দল অংশ নেয়, আর সবচেয়ে কম ৩টি দল অংশ নেয় ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে।

এ প্রেক্ষাপটে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দলগুলোর সক্রিয়তা আগামী নির্বাচনকে আরও বহুমাত্রিক করে তুলতে পারে।

পত্রিকা

ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, বাড়ছে গ্রেফতারও‘। এ খবরে বলা হচ্ছে, গত কয়েক দিনে ঢাকাসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল বেড়ে গেছে।

ঢাকার বাড্ডা, মিরপুর, উত্তরা, যাত্রাবাড়ীসহ নানা এলাকায় হঠাৎ মিছিল করা হচ্ছে।

এই মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছদ্মনামে ছড়ানো হচ্ছে এবং বিদেশে থাকা নেতাদের কাছেও পাঠানো হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় এক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুধু শনিবারেই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতাকর্মীকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকার বাইরেও যেমন রাজশাহী, কুষ্টিয়া, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলায় মিছিল করে গ্রেফতার করা হয়েছে বহু নেতা-কর্মী।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, পুলিশ মিছিল বন্ধে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া মিছিল করলে আইন অনুযায়ী তা বন্ধ করা হবে এবং গ্রেফতার করা হবে।

মিছিলের ভিডিও দেখে শনাক্ত করে পরবর্তীতে গ্রেফতারও করা হচ্ছে।

বিশেষ করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিলে অংশ নিলেই গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন
পত্রিকা

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Eliminate gender disparities in laws‘ অর্থাৎ, ‘আইনে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন দেশের আইন, সংবিধান ও নীতিমালায় নারীদের প্রতি সবধরনের বৈষম্য দূর করতে ৪৩৩টি সুপারিশ করেছে।

এগুলো ১৫টি বিষয়ভিত্তিক ভাগে বিভক্ত এবং তাৎক্ষণিক, ভবিষ্যতের সরকার ও দীর্ঘমেয়াদি প্রত্যাশা—এই তিনটি স্তরে সাজানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রস্তাবগুলোর মধ্যে আছে সব ধর্মের নারীদের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করতে একটি একক পারিবারিক আইন চালু, বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমতা, অভিভাবকত্ব আইন সংশোধন, ও পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন আরও কার্যকর করা।

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ধর্ষণ আইনের সংস্কার, যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে নতুন আইন, গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের শ্রম অধিকার স্বীকৃতি, নারীদের রাজনীতিতে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০টি আসনে প্রতিনিধিত্ব—এসব প্রস্তাবও আছে।

কমিশন আরও বলেছে, নারী শ্রমিকদের জন্য ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি, পুরুষদের জন্য ২ সপ্তাহ পিতৃত্বকালীন ছুটি, গর্ভাবস্থায় চাকরি থেকে বরখাস্ত বন্ধ ও সমান মজুরি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

অভিবাসী নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতেও কমিশন সুপারিশ করেছে।

নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় পুনর্গঠন, সব মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার ইউনিট গঠন এবং সবখানে নারী-পুরুষ সমতা বাস্তবায়নের জোর সুপারিশও করা হয়েছে।

পত্রিকা

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, ‘Dhaka-Chattogram Highway: Illegal crossings fuel deadly accidents‘, অর্থাৎ, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক: অবৈধ ক্রসিং মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে সম্প্রসারিত হলে মাঝখানে বড় একটি ডিভাইডার রাখা হয়, যাতে বিপরীত দিকের যানবাহনের সংঘর্ষ এড়ানো যায়।

কিন্তু ৫ই অগাস্টের বিশৃঙ্খলার পর পরিস্থিতি খারাপ হলে স্থানীয়রা মাঝখানের ডিভাইডার কেটে অবৈধভাবে রাস্তা পার হওয়ার পথ তৈরি করে।

মূলত দীর্ঘ ঘুরপথ এড়াতে এই কাজ করছে তারা, যা প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কুমিল্লা অংশে একাধিক অবৈধ পারাপার পয়েন্ট দেখা গেছে। মাত্র ১৫ কিমি পথেই নন্দাপুর থেকে সুয়াগাজী পর্যন্ত ১২টি অবৈধ ক্রসিং চিহ্নিত হয়েছে।

দাউদকান্দি, চান্দিনা, বুড়িচং, সদর দক্ষিণ ও চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন বাজার ও পেট্রোল পাম্পের পাশে এসব রাস্তা সবচেয়ে বেশি। অনেক জায়গায় ডিভাইডার পুরোপুরি তুলে ফেলা হয়েছে বা মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে, ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, পুরাতন ও নতুন মিলিয়ে অনেক অবৈধ রাস্তা তৈরি হয়েছে, যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সড়ক বিভাগ জানলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্লো গাড়ি হাইওয়েতে নিষিদ্ধ করা, অবৈধ পারাপার বন্ধে কনক্রিট ব্যারিয়ার বসানো, এবং কঠোর নজরদারি জরুরি। নাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

পত্রিকা

দেশ রূপান্তরেরর প্রধান শিরোনাম, ‘ছয় প্রকল্পের চারটিই হচ্ছে না সময়মতো‘। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ছয়টি প্রকল্প সমাপ্তির তালিকায় থাকলেও, এর চারটি প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যাচ্ছে না।

এসব প্রকল্প সময়মতো শেষ না হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দরপত্রে আগ্রহীর অভাব, সরঞ্জাম আমদানিতে বিলম্ব এবং স্থানীয় বিরোধের মতো নানা কারণ রয়েছে।

বরিশাল, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, গাজীপুর, পটুয়াখালী, মাদারীপুর ও ভোলায় এসব প্রকল্পের কাজ চললেও, নির্ধারিত সময়ে তা শেষ হওয়া সম্ভব নয় বলে ক্রীড়া পরিষদ জানিয়েছে।

ফলে, এসব প্রকল্পকে আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন পরিকল্পনায় আবার অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রকল্পগুলো শেষ করতে আরও ছয় মাস সময় চাওয়া হয়েছে, তবে এ সময় বাড়লেও ব্যয় বাড়ানো হবে না।

বাংলাদেশে বেশিরভাগ উন্নয়ন প্রকল্পই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না। কোনো প্রকল্প তিন বছর মেয়াদি হলেও তা শেষ হতে পাঁচ থেকে সাত বছর বা তারও বেশি সময় লাগে।

পরিকল্পনা কমিশনের মতে, দুর্বল প্রকল্প পরিকল্পনা, বাস্তবায়নে সমন্বয়ের অভাব, ও যথাযথ প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে সময়মতো উন্নয়ন কাজ শেষ হয় না।

ফলে প্রকল্পগুলো বছরের পর বছর ঝুলে থাকে, যা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা আনে।

পত্রিকা