Source : BBC NEWS

পত্রিকা

এক ঘন্টা আগে

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই কথা বলেন।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “সেই দিন আর নেই, বাংলাদেশ এখন আর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ কিস্তি না দিলে নিজেদের মতো করে বাজেট করব। আমরা তাদের কাছ থেকে ঋণ না নিলে ওদের অনেকের চাকরিই থাকবে না। তাই আমরা এখন একটি শক্ত পদক্ষেপ নেবো।”

তিনি বলেছেন, “ইন্দোনেশিয়ায় টাকা দিতে না পেরে অনেকের চাকরি চলে গেছে। মালয়েশিয়াতে মাহাথির মোহাম্মদ শক্ত পদক্ষেপ নেয়ায় অনেকের চাকরি চলে গেছে। আমরা যদি ঋণ না নেই, দেখবেন ওখানে কয়জনের চাকরি যায়…আমরা আইএমএফের সব শর্ত মেনে আর ঋণ নিতে চাই না। তাদের সহায়তা ছাড়াই অর্থনীতি ভালো আছে।”

নয়া দিগন্ত

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা।

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাত গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সেখানে ভারতের একটি ‘নজরদারি ড্রোন’ ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

ভারতের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, গতকাল রাতে ওই বৈঠকে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতার ওপর পূর্ণ আস্থা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।

তিনি বলেছেন, ভারতের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়ার সময়, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং কোন প্রক্রিয়ায় জবাব দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ রয়েছে।

বিবিসি বাংলা’র সাম্প্রতিক খবর:
দৈনিক প্রথম আলো

সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এ থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেজাল খাবার গ্রহণ ও সার্বিক খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনাচার ও অসংক্রামক রোগের বিস্তার বাড়ার কারণে পরিপাকতন্ত্রের রোগের ঘটনা বেড়েছে। নিজে নিজে ওষুধ সেবনের প্রবণতা বাড়াও এই রোগের ওষুধের বিক্রি বেড়ে চলার একটি কারণ।

সরকারের তথ্য বলছে, বছরে দেশের ওষুধের বাজারের আকার ৩৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর ৯৪ শতাংশই ব্যয় হয় ব্যক্তিখাতে। সরকারি ব্যয় মাত্র পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ।

দৈনিক আজকের পত্রিকা

Step up diplomacy as US tariff clock ticks away — দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিতের সময় ফুরিয়ে আসছে।

তাই, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক এড়াতে এখনই বাণিজ্য কূটনীতি জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

তাদের মতে, তিন মাসের শুল্কছাড়ের মেয়াদের মাঝেই কূটনৈতিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে।

গতকাল ঢাকায় দ্য ডেইলি স্টার আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান আসে।

চীন ও ভিয়েতনামের পর পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়। প্রতিবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক বাজারের নয় দশমিক তিন শতাংশের দখল রাখে বাংলাদেশক। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে সাত দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় বেশি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে এখনই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনায় নামতে হবে, নইলে রপ্তানি হুমকির মুখে পড়তে পারে।

দ্য ডেইলি স্টার

তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেগুলো মানা হলে গৃহযুদ্ধের মধ্যে থাকা রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জন্য মানবিক করিডোর ব্যবহার করতে দেয়ার বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট এলাকাকে অসামরিকীকরণ করাকেই মূলত মানবিক করিডোর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেখান দিয়ে খাদ্য, চিকিৎসা সহায়তা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহনের সুযোগ দেয়া হয়।

বেসামরিক, আহত বা অসুস্থদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ারও সুযোগ করে দেয় এ করিডোর।

এখন, বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, তীব্র যুদ্ধ ও সংঘাত রয়েছে এমন স্থানে বেসামরিক করিডোর বা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান বৃথা গেছে। উদাহরণস্বরূপ— ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধ, জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত তার আলোচনায় ব্যর্থ হয়েছে।

বণিক বার্তা

মিয়ানমারের রাখাইনে খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে বাংলাদেশ থেকে ‘মানবিক করিডোর’ দেয়ার বিষয়ে যে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে, এই প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়েছে।

গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত ব্রিফিং-এ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ‘রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর দিতে সরকার নীতিগত সম্মত হয়েছে’ সিদ্ধান্ত জানানোর পর রাজনৈতিক দল ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এমন একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সব দলের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে।

দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক চলার মধ্যেই গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, “এ বিষয়ে কোনও সংস্থার সঙ্গে সরকারের আলাপ-আলোচনা হয়নি। সাহায্য প্রদানের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন।”

 মানবজমিন পত্রিকা

এখানে বলা হয়েছে, নিজের সিদ্ধান্তে ঠিক থাকতে পারছে না সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। অন্তত তিনটি বিসিএসের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেও তা পেছাতে হয়েছে। এই কমিশনের নিয়োগের ক্ষেত্রেও ছিল সিদ্ধান্তহীনতা।

কমিশনে ছয়জন সদস্যকে নিয়োগ দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সে নিয়োগ বাতিল করেছে। পরে নতুন করে অন্য ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পিএসসির সদস্য এখন ১৫ জন।

পুনর্গঠিত পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের লিখিত ও ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির তারিখ পিছিয়েছে। এর আগে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ দু’দফা পেছান তারা।

দফায় দফায় পরীক্ষার তারিখ পেছানোর পেছনে পিএসসির ওপর ‘অদৃশ্য প্রভাব’ কাজ করছে বলে আলোচনা আছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারের দু’জন উপদেষ্টা এবং একটি রাজনৈতিক দলের চাপের কারণে পিএসসি কোনো সিদ্ধান্তে স্থির থাকতে পারছে না।

সমকাল

Some power plants guzzle 90pc more fuel than peers— নিউ এজ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র অন্য কেন্দ্রের তুলনায় একই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশি জ্বালানি ব্যবহার করে, যা দেশের আমদানিকৃত জ্বালানির অপচয়ের অন্যতম প্রধান কারণ এবং এটি শক্তি ব্যবস্থাপনায় একটি বড় ধরনের ব্যর্থতা।

আমদানি করা জ্বালানির অপচয় শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতিরই কারণ নয়, এটি ডলারেরও অপচয়। কারণ, এর একটি বড় অংশ ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে, যাতে দেখা গেছে যে একই প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরও কিছু কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৯০ শতাংশ বেশি জ্বালানি ব্যবহার করছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন— জ্বালানির মান, আমদানি ও পরিবহন খরচ, ডলারের দাম, প্লান্ট ফ্যাক্টর, এবং যন্ত্রপাতির গুণগত মানের ওপর জ্বালানির খরচ নির্ভর করছে। জ্বালানি বেশি ব্যবহারের জন্য এই সবগুলো বিষয়ই এককভাবে বা সামগ্রিকভাবে দায়ী।

নিউ এজ