Source : BBC NEWS

আজ ঢাকা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা

এক ঘন্টা আগে

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বিএনপির যে দাবি তা আরও জোরালো করেছে দলটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপির প্রস্তাব ও পরামর্শ উপেক্ষিত হলে অনিবার্যভাবেই বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।

সরকারের উদ্দেশে গতকাল বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়ে সনদ তৈরি করবেন। সুতরাং এটা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি কিংবা টানাহেঁচড়া করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে।

মূলত, করিডর ইস্যু, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে দেওয়ার চেষ্টা, সরকারের ভেতরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হয়ে চাপ সৃষ্টি, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ দিতে গড়িমসিসহ নানা অভিযোগে সরকারকে শর্তহীন সহযোগিতার অবস্থান থেকে সরে আসার বিষয়টি বিবেচনা করছেন বিএনপির নেতারা।

আগামী জুন ও জুলাইয়ে সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার কী কী পদক্ষেপ নেয়, তা দেখে অগাস্ট নাগাদ চলতি বছরেই ভোটের দাবিতে প্রয়োজনে জোরেশোরে মাঠে অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দলটি।

আজকের পত্রিকা

এই খবরে বলা হয়েছে, চলমান পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন, এমনটা দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বিবিসি বাংলার বরাতে এই খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও।

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে পারেন, এমন গুঞ্জন উঠলে তার সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা করতে যান নাহিদ ইসলাম। এরপর তিনি এ তথ্য জানান।

তবে প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানান এনসিপি আহ্বায়ক।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও দেখা করেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা থেকে বের হয়ে নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে এনেছিলে একটা গণ-অভ্যুত্থানের পর। দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমি তো এভাবে কাজ করতে পারব না, যদি রাজনৈতিক দলগুলো তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বণিক বার্তাকে জানিয়েছে, গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনকি পদত্যাগের আগে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়ার জন্য ভাষণের একটি খসড়াও করা হয়েছিল।

আরও পড়তে পারেন-
বণিক বার্তা

এই খবরে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বিএনপির কৌশলগত পদক্ষেপ দৃশ্যমান। নির্বাচনি রোডম্যাপ আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘চাপে’ রাখা হচ্ছে।

আবার ভোট নিয়ে জামায়াতের তেমন তোড়জোড় নেই। নির্বাচন তাড়াতাড়ি করার বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দৃশ্যত কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

এছাড়া, বাইরে থেকে বিএনপির সঙ্গে এনসিপির একটা ‘দূরত্ব’-ও দেখা যাচ্ছে। তবে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপির নেতারা বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছেন।

কী বিষয়ে এনসিপির যোগাযোগ? এ নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা বলেন, এনসিপির যোগাযোগ বজায় রাখছে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখেই। নির্বাচনের আগে ও পরে এক ধরনের সমঝোতা চায় এনসিপি।

দেশ রূপান্তর

এই খবরে বলা হয়েছে, কয়েকদিন ধরেই দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়েছে এনসিপি।

বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে তরুণ নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ নিয়ে এনসিপি ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মুখোমুখি।

বিএনপি যখন এর জন্য সরকারকে দায়ী করছে তখন এনসিপি নেমে পড়েছে সরকারের হয়ে বিএনপির বিরোধিতা করার জন্য। এ প্রেক্ষাপটে তারা নির্বাচন কমিশন ভবনও ঘেরাও করেছেন। সেখানে গিয়ে সরকারের তিন উপদেষ্টাকে বিএনপিপন্থি দাবি করে পদত্যাগ দাবি করেছেন।

গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশের পর এনসিপি নতুন ধারার রাজনীতি তো হাজির করতে পারেনি বরং পুরনো পথেই হেঁটেছে। দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠছে।

অন্যদিকে, বর্তমানে সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টাও এনসিপির হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রাজনৈতিক দলগুলোর। এমনকি প্রকাশ্যে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। যা নিয়ে স্বস্তি নেই এনসিপির মধ্যেও। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে লেখালেখি হচ্ছে এনসিপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও।

জুলাইয়ের শক্তিগুলোর সঙ্গে ঐক্য পুনরুদ্ধারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সোচ্চার হয়েছেন তারা। একই সঙ্গে আত্মসমালোচনা চলছে এনসিপির নেতাদের মধ্যেও।

আরও পড়তে পারেন-
মানবজমিন

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গত ৫ অগাস্টে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষায় আশ্রয় গ্রহণকারীদের ব্যাপারে সেনাবাহিনী তার অবস্থান জানিয়েছে।

গতকাল রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভ্যুত্থানের পর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এ অবস্থায় ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন।

তাতে আরও বলা হয়, উদ্ভূত আকস্মিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করার চেয়ে তাদের জীবন রক্ষা করা প্রাধান্য পেয়েছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার-পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।

ওই সময় শুধু মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সেনানিবাসে আশ্রয় নেয়া রাজনীতিবিদদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী (পরিবারসহ), সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সাবেক সংসদ সদস্য সায়েদুল হক সুমন, সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম (পরিবারসহ), সাবেক সংসদ সদস্য ছোট মনির।

সমকাল

এই খবরে বলা হয়েছে, আপত্তিকর মন্তব্য ও কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত কয়েকজন উপদেষ্টা, যাদের বক্তব্যে এবং কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষু্ণ্য হচ্ছে, এমন বিতর্কিত উপদেষ্টাদের সরিয়ে দেয়ার দাবি আমরা তুলেছিলাম। অন্তর্বর্তী অস্থায়ী সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। অথচ সরকারের মুখপাত্র হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন যে, এই সরকারের সবকিছু করার ম্যান্ডেট রয়েছে।’

বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের এই নেতা আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে সবাই জানে ও বুঝে, উপদেষ্টা পরিষদে তাদের উপস্থিতি সরকারের নির্দলীয় নিরপেক্ষ পরিচিতিকে ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে বলেই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাদেরকে অব্যাহতি প্রদান করা প্রয়োজন।’

‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার গত বুধবারের বক্তব্য আবারও নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাকে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে’— যোগ করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সংবাদ

১০৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ— প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠার প্রধান খবর এটি।

এই খবরে বলা হয়েছে, দেশের ছয় জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ অন্তত ১০৫ জন জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে (পুশ ইন) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কুমিল্লা, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি ও ফেনী জেলায় এসব ঘটনা ঘটে। পরে এই ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে আটক করেছে বিজিবি।

এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলার জয়ধরভাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ২১ জন, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে ২০ জন, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মুরইছড়া সীমান্ত দিয়ে ৭ জন, ফেনীর ফুলগাজীসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৩৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ।

এছাড়া, কুমিল্লার সীমান্ত দিয়ে ১৩ জন এবং খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ পাঁচজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ।

বিজিবি জানিয়েছে, ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। আর প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের অধিকাংশই আগে থেকেই ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন কাজ করছিলেন। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত প্রক্রিয়া নেওয়া হবে।

প্রথম আলো

ICT investigation agency granted power to arrest suspects, অর্থাৎ সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন আইসিটির তদন্ত কর্মকর্তারা; ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর এটি।

এই খবরে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে তদন্ত কর্মকর্তারা সন্দেহভাজন ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে এবং প্রয়োজনে তল্লাশি ও জব্দ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে সরকার। গেজেটে ট্রাইব্যুনালের কার্যপ্রণালীর নিয়মে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে।

আগে, তদন্ত কর্মকর্তারা অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার বা অনুসন্ধান ও জব্দ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারতেন না।

দ্য ডেইলি স্টার

FALSE AFFIDAVIT IN POLLS: ACC writes to EC for action against Hasina, অর্থাৎ হলফনামায় মিথ্যা তথ্য: হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসিকে দুদকের চিঠি; ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের দ্বিতীয় প্রধান খবর এটি।

এই খবরে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হলফনামায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন।

এই অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নিতে ইসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এ কথা জানান।

এ সময় তিনি বলেছেন, ইসিতে জমা দেওয়া হাসিনার হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদ এবং দুদকের যাচাই করা প্রকৃত সম্পদের তথ্যের মধ্যে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

দুদক জানিয়েছে, ২০০৭ সালে একটি তদন্তের সময় শেখ হাসিনা দুদকে একটি সম্পদ বিবরণী জমা দিয়েছিলেন। সেই বিবরণী ও নবম জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালের ১৯ নভেম্বর ইসির কাছে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করা হয়।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ইসিতে দেওয়া হলফনামায় শেখ হাসিনা ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের সাড়ে ৬ একর কৃষিজমির কথা জানিয়েছিলেন।

কিন্তু দুদক দেখেছে যে, সে সময় তার মালিকানায় প্রকৃতপক্ষে ছিল ২৮ দশমিক ৪১১ একর জমি। শেখ হাসিনা হলফনামায় ২১ দশমিক ৯১ একর জমির তথ্য গোপন করেছিলেন।

নিউ এজ