Source : BBC NEWS

৫০ মিনিট আগে
নিউ এইজ পত্রিকার আজকের শিরোনাম- BNP assures partners of seat-sharing by Dec 18 অর্থাৎ ১৮ই ডিসেম্বরের মধ্যে শরিকদের সাথে আসন বণ্টন চূড়ান্ত করবে বিএনপি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শনিবার তার সমন্বিত আন্দোলনের অংশীদারদের আশ্বস্ত করেছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের জন্য আসন বণ্টন ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।
এই আশ্বাস দিয়েছে বিএনপি রাজধানীর গুলশানস্থ চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ৩৩ দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে। এই ৩৩ দল আওয়ামী লীগ শাসনের সময় বিএনপির সঙ্গে সমন্বিত আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল।
বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির ৩০০ আসনের মধ্যে ২৭২টিতে প্রার্থী ঘোষণা করার পর অংশীদারদের মধ্যে শঙ্কা ও অবিশ্বাস কমানো এবং সমন্বয় জোরদার করা। অংশীদাররা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, বিএনপি একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে কো-অ্যালায়েন্স নীতি থেকে দূরে সরে যেতে পারে, বিশেষ করে এমন প্রার্থী ঘোষণায় যেগুলো ঐতিহ্যগতভাবে জোটের সিনিয়র নেতাদের আসন হিসেবে ধরা হয়।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নাজরুল ইসলাম খান, আমীর খাসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। অংশীদারদের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট ও ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দও ছিলেন।

জাতীয় নির্বাচন বানচালের একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সতর্ক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ওসমান হাদির ওপর হামলাটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং সুসংগঠিত ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁর মতে, এই ঘটনার পেছনে শক্তিশালী একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে, যার লক্ষ্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বোঝা যায় ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে এবং প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহার করে মাঠে নেমেছে। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচন আয়োজনের পুরো প্রক্রিয়াই ভেস্তে দিতে চাইছে।
শনিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘খুবই প্রতীকী’ উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এর মাধ্যমে হামলাকারীরা নিজেদের শক্তির জানান দিতে চেয়েছে এবং স্পষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছে যে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতিকে নস্যাৎ করতে উদ্যত।

ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, এ আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এ অবস্থায় ভয় বা আতঙ্কে পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দলটির ধারাবাহিক কর্মশালার সপ্তম দিনে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন সূত্রের তথ্যে স্পষ্ট, এই সময়ে সবচেয়ে জরুরি হলো মানুষকে সাহস দেওয়া এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্য আরও শক্ত করা। একই সঙ্গে দেশের গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষকেও ঐক্যবদ্ধ করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তারেক রহমানের ভাষায়, বিএনপি যত বেশি সংগঠিত ও সক্রিয় হবে, ততই যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে এবং তাতে ষড়যন্ত্রকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হবে। তিনি দাবি করেন, এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলার শক্তি ও সক্ষমতা একমাত্র বিএনপিরই রয়েছে।

ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গুলিবর্ষণে জড়িত হিসেবে আলমগীর হোসেন এবং মোটরসাইকেলে করে হামলাকারীকে ঘটনাস্থলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
গোয়েন্দাদের ভাষ্য অনুযায়ী, সন্দেহভাজনরা দেশের ভেতরেই অবস্থান করছে এবং যে কোনো সময় তাদের আটক করা হতে পারে। এ ঘটনায় তথ্য দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বড় কোনো রাজনৈতিক দল বা আন্ডারওয়ার্ল্ড চক্রের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। তবে ফয়সাল করিম মাসুদ আদাবর থানার ছাত্রলীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে আলমগীর হোসেনের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করার ঘটনায় একজন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সন্দেহভাজনকে ধরিয়ে দিতে সরকার ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
এদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির অবস্থা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। গত শুক্রবার দুপুর ২টা ২৪ মিনিটের দিকে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা একটি মোটরসাইকেল থেকে এক ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
ঘটনার পরপরই ডিএমপির একাধিক ইউনিটের পাশাপাশি র্যাব, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে। আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পাশাপাশি হামলাকারীদের শনাক্ত করতে তথ্যদাতা নিয়োগ করে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গুলিবিদ্ধ হয়ে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল জানায়, তার মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আপাতত নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও সাপোর্টিভ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, অস্ত্রোপচারের পর হাদিকে ব্রেইন প্রটেকশন প্রটোকল অনুসরণ করে কনজারভেটিভ ব্যবস্থাপনায় রাখা হয়েছে। ব্রেইন স্টেমে আঘাতের কারণে তার রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দনে ওঠানামা দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রয়োজন অনুযায়ী সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে এবং হৃদস্পন্দন কমে গেলে সাময়িক পেসমেকার ব্যবহারের প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ফুসফুসে আঘাতের কারণে চেস্ট ড্রেইনের মাধ্যমে অল্প রক্ত বের হচ্ছে বলেও জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর প্রকাশ্য দিবালোকে গুলির ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরপরই এমন ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বেড়েছে এবং কেউ কেউ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদনও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, হামলাটি পরিকল্পিত ও প্রতীকী, যার উদ্দেশ্য নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করা। তিনি জানান, ষড়যন্ত্রকারীরা প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহার করে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি ও বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরপরই এমন ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন এক ধরনের পরীক্ষার মুখে পড়েছে। সরকার ও ইসি হামলাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা বলে মন্তব্য করেছেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এসব ঘটনায় নির্বাচন ঘিরে শঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ডেইলি স্টার পত্রিকার আজকের খবর- Parties vow unity against plots to derail Feb election অর্থাৎ ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতি।
দেশের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল রবিবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা জুলাই বিপ্লবের চেতনা এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে দাঁড়াবে।
এই প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে, যেখানে ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার পর আলোচনার বিষয় ছিল।
বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা সরকারের কাছে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। তারা বলেন, সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া ছাড়া নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হাদির ওপর হামলা একটি পরিকল্পিত ঘটনা, যা ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে।

বণিক বার্তা পত্রিকার আজকের খবর – ব্যয় সাশ্রয়ের পথে নেই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। অর্থ সংকটের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার যেখানে ব্যয় সাশ্রয়ের নীতি অনুসরণ করছে, সেখানে তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রণালয়টির পরিচালন ব্যয় ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে এবং ২০২৪–২৫ অর্থবছরে তা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ওই অর্থবছরে পরিচালন ব্যয় দাঁড়ায় ৪১০ কোটি টাকায়, যা আগের দুই অর্থবছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৮২৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে প্রায় ৪৮৭ কোটি টাকা পরিচালন ব্যয় হিসেবে নির্ধারিত। অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই ব্যয়ের বড় অংশ পরিচালন খাতে ব্যয় হওয়ায় সাশ্রয় নীতির সঙ্গে এই মন্ত্রণালয়ের ব্যয় প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।








