Source : BBC NEWS

সেনাবাহিনী

যে কোনো ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপ, জনস্বার্থবিরোধী আচরণ কিংবা বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পারে, এমন কর্মকান্ড কখনোই কাম্য নয় মন্তব্য করে বিবৃতি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে বরখাস্ত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনা সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছে আইএসপিআর।

এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল প্রেসক্লাবে গিয়ে তাদের বক্তব্য শোনেন। সেনাবাহিনীর প্রচলিত বিধান অনুসারে দাবি – দাওয়া যাচাই ও সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।

তবে রোববার কিছু অনভিপ্রেত আচরণ এই সুশৃঙ্খল বাহিনীর ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগ কোনো তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে না পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি উপস্থাপনের পরামর্শও ওই প্রতিনিধি দল দিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

তবে পর পর দুবার সফল বৈঠক শেষে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দল ফেরত যাওয়ার সময় কতিপয় উশৃঙ্খল বরখাস্তকৃত সেনা সদস্যদের উস্কানিতে তাদের গাড়ির সামনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং অশ্রাব্য ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয়।

সারাদিন জুড়ে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহমর্মিতার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালেও এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছু সংখ্যক বিশৃঙ্খল সাবেক সদস্যকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয় বলে সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে আইএসপিআর।

সেনাবাহিনী সংবেদনশীলতার সাথে বিষয়টি বিবেচনা করছে বলেও উল্লেখ করেছে আইএসপিআর।

সাংবিধানিক কাঠামো ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দায়িত্বশীল আচরণ করতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

আইএসপিআর জানিয়েছে, গত ১৪ই মে এ ধরনের মোট ৮০২টি আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১০৬টি আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে।

বাকি আবেদনগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে‌ বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।