Source : BBC NEWS

ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক

এক ঘন্টা আগে

এতে বলা হচ্ছে, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সংসদ নির্বাচনের আইন সংস্কারের যেসব সুপারিশ করেছে তার অন্যতম হচ্ছে, একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার বিধান বাতিল করা।

কমিশনের পক্ষে বলা হচ্ছে, মূলত দুটি কারণে এই সুপারিশ করা হয়েছে। প্রথমত, উপনির্বাচনের ব্যয় কমানো। দ্বিতীয়ত, প্রভাবশালী কোনো প্রার্থীকে একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না দিয়ে সংশ্লিষ্ট আসনের প্রকৃত প্রার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।

অনেকে বলছেন, একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ না থাকলে রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের জন্য নির্বাচনে বিজয়ে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

কারণ, এর আগে প্রভাবশালী একটি দলের শীর্ষ নেতাকে একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব কটি আসনে জিততে দেখা যায়নি। একটি আসনে জিতে দলের এবং নিজের মুখ রক্ষা করেন।

২০০৮ সালের আগে পাঁচটি আসনে ভোট করা যেতো, এখন একজন প্রার্থী সবোর্চ্চ তিনটি আসনে প্রার্থী হতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে সংবিধানের ৭১ অনুচ্ছেদ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান সাংঘর্ষিক। এজন্য সংবিধানের ৭১ অনুচ্ছেদ সংশোধনের কথা বলছেন অনেকে।

আরো পড়তে পারেন
কালের কণ্ঠ

নেতা-সন্ত্রাসীতে আঁতাত— আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এ খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীদের নামে চলছে চাঁদাবাজি। চাঁদার টাকা না পেলে দেয়া হচ্ছে হুমকি, চলছে মহড়া ও হামলা।

অনেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাতে আরও অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির।

মূলত, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে সন্ত্রাসীরা।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা এবং সন্ত্রাসীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে এসব তথ্য পেয়েছে সংবাদপত্রটি। এমনকি সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে আগের ‘সেভেন স্টার’ ও ‘ফাইভ স্টার’ গ্রুপের মতো জোটও করতে চাইছে বলে জানা গেছে।

কারা অধিদপ্তরের সূত্র বলেছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানীর অন্তত ২৭ জন সন্ত্রাসী জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। জেল থেকে বেরিয়ে তারা নিজেদের হারানো ‘অপরাধ সাম্রাজ্য’ আবার নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্রিয় হয়েছে।

আজকের পত্রিকা

দেশে চারটি প্রদেশের কথা ভাবছে কমিশন— প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম এটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের পুরনো চারটি বিভাগ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনাকে প্রদেশ করার সুপারিশের কথা ভাবছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের ব্যবস্থাপনা প্রদেশের হাতে দেয়ার পক্ষে এ কমিশন।

গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংবিধান, নির্বাচন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে।

প্রতিবেদন জমা না দিলেও এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যরা। তারা তাদের সম্ভাব্য কিছু সুপারিশের কথা তুলে ধরেন তখন।

এর মধ্যে চারটি প্রদেশ করার বিষয়টিও রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে তারা এটি করতে চায়।

তবে, এসব প্রদেশের পারিচালন কাঠামো কেমন হবে, কাজ কী কী হবে, সেই ভাবনা এখনও জানা যায়নি।

প্রথম আলো

আজ নয়া দিগন্তের প্রধান খবর— শিবগঞ্জ সীমান্তে দফায় দফায় ধাওয়া, সংঘর্ষ। শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনার কথা বলা হয়েছে এতে।

এদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে অন্তত অর্ধশত ককটেল।

এছাড়া সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ভারতীয়রা। পাথর, ইটপাটকেলও ছোড়া হয় ওপার থেকে।

স্থানীয়দের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তের শূন্যরেখায় বাংলাদেশ অংশে এসে ভারতীয় কয়েকজন নাগরিক আম ও বরই গাছ কাটা শুরু করে। এ সময় বাংলাদেশিরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।

তখন দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সীমান্তের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ।

এ ঘটনায় বিকেলে বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ।

পাশাপাশি তাদের দিক থেকে তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে বলে জানায়। অপরদিকে, ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে বিজিবি।

নয়া দিগন্ত

এতে বলা হচ্ছে, থাইল্যান্ড সীমান্তের অদূরে মিয়ানমারের একাধিক স্ক্যাম সেন্টারে কয়েক মাস ধরে জিম্মি অবস্থায় দিন পার করছেন ১৮ জন বাংলাদেশি। থাইল্যান্ডে মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের নিয়ে সেখানে জিম্মি করা হয়েছে।

এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেছেন, রিপোর্ট ভয়াবহ। বাংলাদেশি দালালদের মাধ্যমে প্রলুব্ধ হয়ে উন্নত জীবনের আশায় তারা কঠিন পথে পড়েছেন।

ঢাকার প্রাপ্ত রিপোর্ট মতে, হাত বদলের পর স্ক্যাম সেন্টারগুলোতে বাংলাদেশিদের জিম্মিদের ওপর নির্যাতন চলছে বেশ। প্রাণে বাঁচতে তারা বিভিন্ন মারফতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে উদ্ধারের আকুতি জানাচ্ছেন। কিন্তু দুর্গম ও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ থাকায় স্ক্যাম সেন্টারের রিয়েল টাইম পিকচার পাচ্ছে না সরকার। তাদের উদ্ধারেরও কূলকিনারা নেই।

এ বিষয়ে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মনোয়ার হোসেন মানবজমিনকে বলেন, আমরা আমাদের মতো চেষ্টা চালাচ্ছি। মিয়ানমারকে একাধিকবার অবহিত করেছি। থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী ওই এলাকাটা কারেন বিদ্রোহীদের দখলে। স্ক্যাম সেন্টারগুলোর নিয়ন্ত্রণও তাদেরই হাতে। তাই এটা একটি জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে।

মানবজমিন

এতে বলা হচ্ছে, ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা দেশের অর্থনীতিকে ‘খুব নাজুক’ বলে অভিহিত করেছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে বিনিয়োগ অন্যদেশে চলে যাবে বলে তাদের আশঙ্কা।

প্রবৃদ্ধির ‘ধার কমে গেছে’, ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ ‘কমে গেছে’, কর্মসংস্থানে সমস্যা ‘রয়ে গেছে’ বলে তাদের অভিমত। অর্থনীতির ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার ‘আগের সরকারের মতোই’ কাজ করছে, বলছেন ব্যবসায়ীরা।

গতকাল শনিবার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি-২০২৪ আয়োজিত ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার, জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে এসব কথা ওঠে আসে।

সেখানে কেউ কেউ বললেন, এখন প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ‘যতটা মনোযোগ’ পাচ্ছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ততটা মনোযোগ ‘পাচ্ছে না’।

এই সরকার কী ধরনের অর্থনৈতিক উত্তরাধিকার রেখে যাবে সেই প্রশ্নও তুলেন কেউ কেউ। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এখনই আলোচনা করা দরকার বলে মত দিয়েছেন তারা।

সংবাদ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করে দিয়েছে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে আগামী অর্থবছরের জন্য ৮ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আকার কমানো হলেও বাজেটের ব্যাপ্তি ৮ লাখ কোটি টাকার নিচে নামবে না বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য মোট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিল পতিত আওয়ামী লীগ সরকার।

বিগত সরকারের আমলে গোষ্ঠীতন্ত্রের স্বার্থরক্ষা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে প্রতি বছরই বাজেটের আকার বাড়ানো হয়েছে। যদিও তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান হয়নি কখনই।

ফলে ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে নেয়া ঋণের আকারও বড় হয়েছে নিয়মিত।

বণিক বার্তা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে অন্তত সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দখলের পর ফোকলা করার অভিযোগ উঠেছে।

এর মধ্যে রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের ক্ষমতা বলে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড ভেঙে সেখানে বসানো হয় তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের। বিশ্ববিদ্যালয় দুইটির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের অভিযোগ তোলা হয়েছিল।

খবরে বলা হয়েছে, আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় — অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডে ঢুকে কয়েকশ কোটি টাকা লুটেছেন তারা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর পাঁচই আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে লাপাত্তা দখলদাররা।

এ সুযোগে কর্তৃত্ব বুঝে নিচ্ছেন পুরোনো মালিকরা। তবে বিপুল বেহাত অর্থ ফেরত নিয়ে সন্দিহান তারা।

সমকাল

BNP once again vows national unity govt, অর্থাৎ জাতীয় সরকার গঠনে আবারও অঙ্গীকার করলো বিএনপি— ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম এটি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোটের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল ও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছিল তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে।

গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। দলটি এর আগেও বলেছিল, ক্ষমতায় গেলে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করবে তারা।

সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছিলেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি ভবিষ্যতে জাতীয় সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতে চায়।

এই সেমিনারে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুই ধরনের সংস্কার চাই। তবে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা রাজনৈতিক সংস্কারের ওপর বেশি জোর দিতে চাই।

গণঅভ্যুত্থান একটি বিষয় পরিষ্কার করেছে, পরিবর্তনের জন্য জনগণের মধ্যে তীব্র আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।

তবে রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন না করলে আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা বেশ কঠিন হবে বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল।

ডেইলি স্টার