Source : BBC NEWS

এক ঘন্টা আগে
আজ মঙ্গলবারের বেশিরভাগ পত্রিকার প্রথম পাতায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত এবং জুলাই-অগাস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার খবরই গুরুত্ব পেয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য খবরও রয়েছে।
এ খবরে বলা হয়েছে, নয়া রাজনীতির বন্দোবস্তের স্বপ্ন দেখিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটলেও স্বস্তিতে নেই জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি।
রাজনীতিতে আলোচিত-সমালোচিত সব ইস্যুতে জড়িয়ে যাচ্ছে দলটির নাম। অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর সঙ্গেও বাড়ছে দূরত্ব।
এক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা কী হবে সেটিও স্পষ্ট নয়। সব মিলিয়ে তর্ক-বিতর্কের বৃত্তে আবদ্ধ এনসিপি। বিষয়গুলো নিয়ে আত্মসমালোচনা আছে দলটির ভেতরেও।
কার্যকর কৌশল নিয়ে এগোতে না পারলে এনসিপি’র ভবিষ্যৎ রাজনীতি শঙ্কায় পড়বে বলে মনে করেন দলটির কোনো কোনো নেতা।
টানা তিনদিনের আন্দোলনের পর শনিবার সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে।
এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর আহ্বানে এ আন্দোলন শুরু হলেও এটি ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এনসিপিসহ জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তি অংশ নেয়।
কিন্তু আন্দোলন সফলের পরপরই উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দু’টি ফেসবুক স্ট্যাটাস ব্যাপক আলোচনা – সমালোচনার জন্ম দেয়।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে চলা আন্দোলনের সময়ের কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা এবং মাহফুজের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়।
এসব ঘটনায় জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীদার জামায়াতের সঙ্গে এনসিপি ও এর ছাত্র সংগঠনের মধ্যে চরম বিরোধ তৈরি হয়েছে।
দল দু’টির নেতাকর্মীদের মাঝেও দেখা দিয়েছে পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে এ সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশেষ করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছে এনসিপি ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)-এর নেতারা।
একে অপরের উদ্দেশে তীর্যক বাক্য ছুঁড়ছেন তারা।
এনসিপি ও বাগছাস নেতারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জামায়াতের ভূমিকা সামনে আনছেন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচিতে গোলাম আযমের নামে স্লোগান দেয়ার সমালোচনা করে ফেসবুকে বক্তব্য দিচ্ছেন অনেকে।
সমালোচনা করতে গিয়ে শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যও দিচ্ছেন কেউ কেউ। বিষয়গুলো নিয়ে অস্বস্তি এনসিপি’র অন্দরে।

বাংলাদেশ থেকে গত ১৫ বছরে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত শ্বেতপত্র কমিটি।
এই বিপুল অঙ্কের টাকার একটি বড় অংশই বিদ্যুৎ খাতের বলে এ সংবাদে বলা হয়েছে।
ক্যাপাসিটি চার্জের নামে নেওয়া এই টাকাই পাচার করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল সোমবার বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর সংস্থাটি জানিয়েছে, অর্থপাচারে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাতজন ঊর্ধ্বতন ব্যক্তি সরাসরি জড়িত।
এছাড়া বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি পাওয়া কোম্পানিগুলোর প্রায় সব ক’টির মালিকই অর্থপাচারে জড়িত বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, বিগত সরকারের সাত ভিআইপি অর্থপাচারের মূল হোতা হিসেবে অভিযোগ রয়েছে।
এদের পরিচিতি ‘সেভেন স্টার’ গ্রুপ হিসেবে এ সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরা মিলেমিশে লুণ্ঠিত টাকা পাচার করে এখন নিরাপদে বিদেশে অবস্থান করছেন।
এই সেভেন স্টার গ্রুপে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক মুখ্য সচিব ও এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এবং সামিট গ্রুপের মালিক মুহাম্মদ আজিজ খান।
বিদ্যুৎ খাতের যারাই বিদেশে অর্থপাচার করেছেন ‘সেভেন স্টার গ্রুপকে’ কমিশন দিয়েই অর্থপাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গণমাধ্যমে এনসিপির পাঠানো একটি বিবৃতি সংক্রান্ত এ খবরটি।
এ সংবাদে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী এবং যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে, তাদের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন চলাকালে জাতীয় সংগীত থামানোর চেষ্টা এবং বিতর্কিত স্লোগান ঘিরে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় গঠিত দলটি।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এ বিবৃতিতে বলা হয়, ” যারা ১৯৭১ সালে এই জনপদের মানুষের জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে, আমরা চাই তারা নিজেদের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান জাতির সামনে ব্যাখ্যা করে জাতীয় সমঝোতা ও ঐক্যকে সুদৃঢ় করবে এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানের জন – আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে সহযোগী হবে।”

পুলিশের হাতে চায়নিজ রাইফেল, সাব মেশিনগান, ৯ এমএম পিস্তলের মতো ‘মারণাস্ত্র’ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) কাছে। পুলিশের কাছে থাকা মারণাস্ত্র জমা নেয়া হবে।
গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভা শেষে সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মারণাস্ত্র শুধু থাকবে এপিবিএনের হাতে। পুলিশের অভিযানে যেতে মারণাস্ত্রের প্রয়োজন নেই।
কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আজ শুধু সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেকোনো সিদ্ধান্ত সাথে সাথে বাস্তবায়ন হয় না। কিছুটা সময় লাগবে।”
পুলিশের হাতে কোন কোন ধরনের অস্ত্র রাখা যাবে, কিভাবে কাজ করবে, সেসব বিষয় ঠিক করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এ সংবাদে বলা হয়েছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ‘পুশ ইনের’ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের কাছে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ।
অনতিবিলম্বে পুশ ইন বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে নয়ই মে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদটিতে বলা হয়েছে।
সাত ও আটই মে পুশ ইন করার পর বাংলাদেশ ওই কূটনৈতিক পত্র পাঠায়। যদিও ২০০ থেকে ৩০০ ব্যক্তিকে খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্তে জড়ো করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
যাদের মধ্যে ৭৮ জনকে নয়ই মে বিএসএফ একটি জাহাজে বরে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত মান্দারবাড়িয়া চরে ফেলে গেছে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় ‘ভারতের পুশইন’ নিয়ে গুরুত্বের সাথে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, “৭ ও ৮ মে ভারতের বিএসএফ ২০২ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশইন’ করেছে। এসব জায়গায় জনবসতি নেই।”

সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান আশিক চৌধুরী।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিনিয়োগ বিষয়ে একের পরে এক প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে উদ্যোগী হন।
বিনিয়োগ আকৃষ্টের হিটম্যাপ তৈরিসহ যার মধ্যে রয়েছে ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজন, স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা পেতে ইলন মাস্কের স্টারলিংকের নিবন্ধন, শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক মহাকাশ অনুসন্ধানে নাসার সঙ্গে চুক্তি, সব বিনিয়োগ প্রচারণা সংস্থাকে একই ছাদের নিচে নিয়ে আসা।
এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন লজিস্টিক অবকাঠামো শক্তিশালী করতে চট্টগ্রাম বন্দরে ডেনমার্কভিত্তিক এপি মোলার মায়ের্স্কের বিনিয়োগ।
নিত্যনতুন এমন সব উদ্যোগ নিয়ে চৌধুরী আশিক সাড়া ফেলে দিয়েছেন। বিশেষত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে হইচই চোখে পড়ার মতো।
নিয়োগ পাওয়ার পর গত সাত মাসে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে অনেক ধরনের কর্মযজ্ঞে হাত দিয়েছেন আশিক চৌধুরী।
তবে বিনিয়োগ অবকাঠামো গড়ে তোলার প্রচারণামূলক ওইসব কর্মকাণ্ডের প্রতিফলন প্রকৃত বিনিয়োগ আকৃষ্টে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান নয়।
বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের সূচক হিসেবে বিডায় নিবন্ধিত বিনিয়োগ প্রস্তাবের সংখ্যা যেমন নিম্নমুখী, তেমনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) নিট প্রবাহও কমেছে।
অন্যদিকে শিল্পের মূলধনি যন্ত্র আমদানিও নিম্নমুখী।
সব মিলিয়ে বিনিয়োগ আকৃষ্টে মি. চৌধুরীর প্রচারণা বা তৎপরতা যতটা আলোচিত হচ্ছে, প্রকৃত বিনিয়োগ পরিস্থিতি তার ঠিক বিপরীত।

অবৈধ ক্লিনিক, দালাল চক্র ও ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে সীমিত আকারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা চেয়েছেন সিভিল সার্জনরা।
একই সঙ্গে হাসপাতাল ও কর্মস্থলের নিরাপত্তায় আনসার বা ‘ স্বাস্থ্য পুলিশ ‘ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন তারা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে এসব দাবি ও প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আদলে প্রথমবারের মতো দু’ দিনের এই আয়োজনে সারাদেশের সিভিল সার্জনরা অংশ নিচ্ছেন।
সরকারের কাছে দাবি ও প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকার সিভিল সার্জন মো. জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, ” অবৈধ ক্লিনিক ও ল্যাব, ভুয়া চিকিৎসক, দালাল চক্র ও ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে সিভিল সার্জনদের সীমিত আকারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া জরুরি। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রায়ই হুমকির মুখে পড়েন।”
” এ জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে আনসার বা ‘স্বাস্থ্য পুলিশ’ মোতায়েন করা যেতে পারে। দক্ষ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি এবং দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন” বলেন মি. রহমান।

‘Activities of AL, affiliates banned ‘ দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার এ শিরোনামের অর্থ ‘আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। ‘
জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগে সরকার গতকাল আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই দলটির নিবন্ধনও স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলটি এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ সুনির্দিষ্ট। একইসাথে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এবং সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ ব্যবহার করেছে।

‘ Tuku, Shahidul, Ziaul, Mollah Nazrul shown arrested ‘ নিউ এজ পত্রিকার এই শিরোনামের অর্থ ‘টুকু, শহীদুল, জিয়াউল, মোল্লা নজরুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ‘
শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের পাঁচ ও ছয়ই মে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হত্যার মামলায় সোমবার সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, প্রাক্তন পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং প্রাক্তন উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মোল্লা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের সভাপতিত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে ১২ই অগাস্টের মধ্যে শাপলা চত্বর মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার পর এই আদেশ দেওয়া হয়। গত ১২ই মার্চ শেখ হাসিনা এবং অন্য চার পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অন্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেয়া হয়েছে তারা হলেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর এবং পুলিশ সাবেক মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার এবং বেনজির আহমেদ।
তদন্ত শেষ করার জন্য আরও সময় আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে ট্রাইব্যুনাল।
