Source : BBC NEWS

সংবাদপত্র

এক ঘন্টা আগে

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে গত পাঁচই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর থেকেই ঢাকা- দিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।

প্রথমে বাংলাদেশিদের ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর সীমিত আকারে চিকিৎসা ও জরুরি বিষয়ে ভিসা চালু করলেও তার সংখ্যা খুবই কম।

গত ছয় মাসে বিভিন্ন ইস্যুতে দু্ই দেশের সম্পর্ক গত ৫৩ বছরের মধ্যে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে।

যদিও দুই দেশের সরকার পক্ষই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা বলে আসছে। এমনকি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে ঢাকার যে বিরাগ ছিল সেটিও কমেছে।

সে দেশে বসে শেখ হাসিনা কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে সে বিষয়ে দিল্লিকে জোরালোভাবে বলা হয়েছে।

গত মাসে ভারত- বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়েও আলোচনা হয়।

কিন্তু এরপরও কোন উদ্যোগ দেখা যায় নি বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

বিবিসি বাংলার যত খবর
দেশ রূপান্তর

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ফসলের সুরক্ষায় চাষির নির্ভরতা বালাইনাশক। সেই ভরসাকে পুঁজি করে দেশে এখন ১৫ হাজার কোটি টাকার কীটনাশকের বাজার।

আমদানি নির্ভর এতো বড় কৃষি রাসায়নিকের বাজার ঘিরে দাঁড়িয়ে গেছে শক্তপোক্ত সিন্ডিকেট।

বালাইনাশক বিদেশ থেকে আনার আগে নানা গণ্ডি পেড়োনোর বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।

‘সিন্ডিকেট’ সব নিয়ম নীতিকে পাশ কাটিয়ে অবৈধ উৎস থেকে কীটনাশক আমদানি করে প্রান্তিক কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করছে বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

এতে একদিকে যেমন সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে নিম্নমানের বালাইনাশক ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক।

এসব কীটনাশক চাষী বা পরিবেশের বারোটা বাজালেও তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

দেশে কীটনাশক আমদানি এবং পরে তা বিক্রি ও ব্যবহারের জন্য নিবন্ধন দেয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং।

প্রতিবেদনে এই উইং এর কতিপয় কর্মকর্তাই এই দুর্নীতির সাথে জড়িত বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

সমকাল

বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সাথে করা সামরিক, বেসামরিক সব চুক্তি জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

একই সাথে চুক্তিগুলোর মধ্যে যেগুলো জনস্বার্থবিরোধী, সেগুলো বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।

তারা বলেন, এই সরকারের বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাই যে, চুক্তি বাতিল করা যাবে না। পুরনো চুক্তি, প্রকল্প থাকবে কিন্তু আমরা একটি নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করব, তা হতে পারে না।

দেশব্যাপী অধিকাংশ মানুষের প্রতিরোধ উপেক্ষা করে পূর্ববর্তী সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তের দায় বাংলাদেশের জনগণ নিতে বাধ্য না।

গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সর্বজনকথার আয়োজনে ‘বাংলাদেশে ভারত রাষ্ট্রের আধিপত্য : স্বরূপ এবং করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

নয়া দিগন্ত

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে রাজধানীর শাহবাগ হয়ে উঠে আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু।

গণজাগরণ মঞ্চ দিয়ে দেশ কাঁপানো এই আন্দোলন থেকে ফলও পেয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে সে সময় আইনও পরিবর্তন করা হয়।

এরপর ফের আলোচনায় আসে কোটা সংস্কার আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পুরো সময় ছিল শাহবাগ সরগরম।

প্রতিদিন মিছিল মিটিং, পুলিশের ব্যারিকেড, জলকামান শাহবাগকে রূপ দেয় আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে।

এই শাহবাগেই ছাত্রলীগ হামলে পড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার ওপর। শাহবাগের আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে।

গণজাগরণ মঞ্চ থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলন দু’টিতেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে জনগণকে।

বিশেষ করে শাহবাগকে ঘিরে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তিনটি হাসপাতালের রোগীদের বেগ পেতে হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বারডেম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন সারা দেশ থেকে আসেন শত শত রোগী। সেখানে যেতে বেগ পেতে হয়েছে তাদের।

মানবজমিন

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দেড় দশকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক লুটের কারিগরদের অন্যতম শেখ আবদুল হাই বাচ্চু।

২০০৯ সালের পরে তিন বছরে বেসিক ব্যাংক লুটে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এ কেলেঙ্কারির ঘটনায় তুমুল সমালোচনা হলেও শেখ হাসিনা ছিলেন নির্বিকার।

বিষয়টি নিয়ে এমনকি তৎকালীন সরকারের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন আবদুল হাই বাচ্চু। সে সময় তার খুঁটির জোর হিসেবে আলোচনায় এসেছিল ‘ছোট আপা’ বা শেখ রেহানার নাম।

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কাছে ‘ছোট আপা’ হিসেবে পরিচিত শেখ রেহানা।

কেবল বেসিক ব্যাংক নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত অন্যান্য ব্যাংকের বড় অনিয়মের ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্টদের মধ্যকার আলোচনায় বারবার এসেছে শেখ রেহানার নাম।

যদিও আওয়ামী লীগের দেড় দশকে বিষয়টি প্রকাশ্যে উচ্চারণের সাহস হয়নি কারো।

বেসিকের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য চার প্রধান বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালীর চেয়ারম্যান, পরিচালক এবং এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও সর্বেসর্বা ছিলেন শেখ রেহানা।

বণিক বার্তা

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শুল্ক – কর বাড়ানোর কারণে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আদায় করা যাবে বলে প্রাক্কলন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এতে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি কমবে।

অর্থাৎ এই ১২ হাজার কোটি টাকা মানুষের পকেট থেকে যাবে। যদিও পাঁচই জানুয়ারি এনবিআর এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, নতুন করে যেসব পণ্য ও সেবার শুল্ক – কর বাড়ানো হয়েছে, সেখানে নিত্য পণ্য নেই।

এতে জনসাধারণের ভোগ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না, মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না।

কিন্তু এরই মধ্যে সরকার মাল্টা আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে।

এতে মাল্টা আমদানিতে খরচ বাড়বে কেজিতে ১৫ টাকা। মোট শুল্ক – কর দাঁড়াবে কেজিতে ১১৬ টাকা। বাজারে মাল্টার দাম চড়া, কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা।

মাল্টার মতো বিভিন্ন ফল, রান্নার গ্যাস, মুঠোফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহার, রেস্তোরাঁয় খাবার, বিস্কুট, টিস্যু, ঢেউটিন, রংসহ শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক–কর বাড়িয়েছে সরকার।

গত বৃহস্পতিবার মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন হার ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে।

প্রথম আলো

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার ভ্যাট ট্যাক্স বাড়ানোতে ভালো নেই সাধারণ মানুষ। গলদঘর্ম খেটেও পরিবারের সব চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। খরচের ফর্দ কাটছাঁট করেও কুলাতে পারছে না অনেকে।

মূল্যস্ফীতির চাপে জীবনযাপন নিয়ে যখন তাদের হাঁসফাঁস অবস্থা, তখনই নতুন করে ভ্যাট ট্যাক্সের খড়্গ।

আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ব্যবধান যখন বেড়েই চলছে, তখন এই সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী বলে এরই মধ্যে বলা শুরু হয়েছে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে।

চাল-ডাল থেকে শুরু করে মাছ, মাংস সব কিছুতেই দাম বাড়ানোর যে প্রতিযোগিতা, তাতে সাধারণ মানুষের খেয়ে পরে টিকে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এমন সংকটের মধ্যেই নতুন করে শতাধিক পণ্য ও সেবায় সরকারের ভ্যাট – ট্যাক্সের জেরে জীবনযাত্রার ব্যয় আরেক দফা বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, সরকারের পদক্ষেপ দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়াবে।

কালের কণ্ঠ

অর্থাৎ কর আদায় বাড়াতে চাপ বাড়াবে আইএমএফ।

বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আহরণের হতাশাজনক অবস্থায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের আওতায় অবশিষ্ট তহবিল বিতরণকে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের শর্ত করে বাংলাদেশ সরকারের উপর কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে।

এখন পর্যন্ত, এই ঋণ কর্মসূচির অধীনে কিস্তির শর্ত পূরণের জন্য বাংলাদেশকে অবশ্যই বাধ্যতামূলক মানদণ্ড হিসেবে পরিমাণগত কর্মক্ষমতা মানদণ্ড পূরণ করতে হবে যা এখনো পারেনি বাংলাদেশ।

আইএমএফের প্রতিনিধি দল তাদের শেষ ঢাকা সফরে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে তারা কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে একটি পরিমাণগত কর্মক্ষমতা মানদণ্ড করবে।

ঋণের চতুর্থ কিস্তি প্রকাশের আগে বাংলাদেশের কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করতে গত মাসে ঢাকায় ছিল।

 দ্যা ডেইলি স্টার

External interest payment surges by 60pc on megaproject loans‘ নিউ এইজ পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। অর্থাৎ মেগা প্রকল্পের ঋণের বিদেশে পরিশোধিত সুদ ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের সামগ্রিক সুদ পরিশোধ ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মেগা প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য নেয়া বিদেশি ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ ৬০ শতাংশ বাড়ার কারণে সামগ্রিক সুদের এই হার বেড়েছে।

গত সপ্তাহে দেশের সামগ্রিক ঋণের উপর প্রকাশিত অর্থ বিভাগের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যাপক বৃদ্ধির তুলনায় গত অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলেছেন প্রতিবেদনটি বিগত আর্থিক বছরের সামগ্রিক ঋণ পরিশোধের একটি অযৌক্তিক চিত্র প্রকাশ করেছে।

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলের শেষ বছরে ডলারের তীব্র ঘাটতি এবং ঋণের ফাঁদ নিয়ে উদ্বেগ দেখা তৈরি হয়েছে।

 নিউ এইজ